somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা.....

১০ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাঞ্চনজঙ্ঘা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় শুনেছিলাম..... কিন্তু এর আগে যখন গেছি তখন কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সৌভাগ্য হয়নি। দেখার সুযোগ হবেই বা কিভাবে!... তেঁতুলিয়া থেকে সারা বছর-তো আর কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়না! সাধারণতঃ অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত আকাশে যখন মেঘ থাকেনা, আবার কুয়াশাও পড়া শুরু হয়নি... শুধুমাত্র তখনই তেঁতুলিয়া থেকে দেখা যায় বরফে ঢাকা ধবল পাহাড়ের চুড়া...দার্জিলিং-এর কাঞ্চনজঙ্ঘা! এবার মোক্ষম সময়ে তেঁতুলিয়ায় গিয়ে দূর থেকে দেখে এলাম চমৎকার সুন্দর সেই কাঞ্চনজঙ্ঘা! বাংলাদেশের আর কোন প্রান্ত থেকে কোন বরফ ঢাকা পাহাড় চুড়া দেখার সুযোগ পাবেননা আপনি।


তেঁতুলিয়া থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা.... সকালের ছবি।


একটু কাছ থেকে..... জুম করে তোলা।


আরও কাছে টেনে এনে তোলা....

ছবিতে তেঁতুলিয়ার ধানক্ষেত আর কাঞ্চনজঙ্ঘার মাঝখানে যে কালচে পাহাড়টা দেখা যাচ্ছে...ওই পাহাড়ের এপারের ঢালে শিলিগুড়ি শহর। রাতে তেঁতুলিয়া থেকে শিলিগুড়ির আলো দেখা যায় স্পষ্ট। ওই পাহাড়েরই অপর ঢালে দার্জিলিং। দার্জিলিং-এ যারা বেড়াতে যান...তাঁদের কাছে প্রধান আকর্ষণ বরফে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘার উপর সূর্যোদয়ের সময় দিনের প্রথম সূর্যকিরণের ঝিকিমিকি!... অভুতপূর্ব সে এক ভাললাগা দৃশ্য!

তেঁতুলিয়া থেকে এত ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়না। সকাল আট-টা থেকে সূর্যকিরণ যখন তেজ হতে থাকে তখন স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা। সকাল দশটা পর্যন্ত বেশ ভাল দেখা যায়। তারপর আস্তে আস্তে আস্তে ঝাপসা হতে থাকে কাঞ্চনজঙ্ঘা। শেষ বিকেলে সূর্যকিরণ আবার যখন তির্যক হয়ে পড়ে বরফ পাহাড়ে... তখন অপূর্ব মহিমায় অন্যরূপে ধরা দেয় কাঞ্চনজঙ্ঘা!


বিকেলের রক্তিম আলোয় কাঞ্চনজঙ্ঘা!

তেঁতুলিয়ার আরও কিছু ছবি...


মহানন্দা নদী, সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া, বিএসএফ-এর ওয়াচ টাওয়ার....তার উপরে কাঞ্চনজঙ্ঘা!


তেঁতুলিয়া বাজারের তেঁতুল গাছ!


মহানন্দার পাড়ে.. টিলার উপরে.. তেঁতুলিয়ার চমৎকার জেলা পরিষদ ডাকবাংলো। ডাক বাংলোর মূল অংশটি বৃটিশ আমলে তৈরী.. যা এখন নো-মেন্স ল্যান্ডে পরেছে!


৪৩৬ নম্বর সীমান্ত পিলার। ছবিতে বামের চা বাগান-টি ভারতীয় ভূ-খন্ডে.... ডানের সড়কটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।


মেরা লাডলী অনিন্দিতা দাঁড়িয়ে ভারতীয় ভূ-খন্ডে... আমি ক্যামেরা হাতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।


বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টের মাইলফলক.....
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:০৩
৬৭টি মন্তব্য ৬২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×