বিক্ষিপ্ত ভাবনা-
যদি মিডিয়ার তদন্ত রিপোর্ট সঠিক হয়- তাহলে ২০০৪ সালে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি- আক্রান্ত দুজন লেখক (ড. হুমাযূন আজাদ এবং অভিজিৎ রায়) একই জঙ্গি গোষ্ঠী দ্বারা আক্রান্ত। তাহলে মহাজোট সরকার জঙ্গী দমনের কথা বলে ক্ষমতায় এসে এবং দ্বিতীয় দফায় ৫ জানুয়ারী নির্বাচন না হলে জঙ্গিরা ক্ষমতার মদত পাবে বলে যে কথা বলেছিল- সেটার ভিত্তি সম্পর্কে আমার জানার ইচ্ছা।
আশা করি এ ইচ্ছাকে কেউ রাজনৈতিক বিবেচনা করবেন না।
সমাজ রাষ্ট্র আর রাজনৈতিক দলগুলোর নিত্যকপটতার কারণের এ প্রশ্ন মনে এসেছে। যে কোনো বিচারে অভিজিতের উপর হামলা ও তাকে হত্যা করা জঘন্যতম অপরাধ। তার হত্যাকারীদের খুঁজে বের করে সরকার শাস্তি নিশ্চিত করবে- এ আশা করতে পারি।
এর আগে একজন মওলানা খুন হয়েছেন; টিভি উপস্থাপক; সরকার তার খুনেদের ধরতে পারেনি। সাগর রুনি খুন হযেছে; তারো একই হাল।অধ্যাপক আফতাব খুন হয়েছেন- সম্ভবত ওই মামলা এখন তামাদি।
এ রকম আরো অনেক খুন।
প্রতিদিন 'বন্দুকযুদ্ধ' হয় জানি; কিন্তু জঙ্গি ছিনতাই করা সরকার সমর্থকরা (গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী), কিম্বা জঙ্গিরা এ দেশে আইনের আওতায় বিচারিক প্রক্রিয়ায় সময় কাটানোর সুযোগ পায়। ভাবতে ভালো লাগে- দেশের আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৩:০৪