somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সস্তা আবেগি কারখানা ও সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

২৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সস্তা আবেগি কারখানায় দেখছি সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর বক্তব্য ' বাঙালি জাতীয়তাবাদের এখন আর দেওয়ার কিছু নাই' শিরোনামে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎধর্মী লেখার ভিত্তে নানা বিশেষজ্ঞ মতামত! এটি ২৩ জুন প্রকাশ করেছিল আলোকিত বাংলাদেশ। আমি সেটি ২৮ জুন শেয়ার করার পর তা দেখলাম অনেকেই এমন ভাবখানা প্রকাশ করলেন--- যেনো সিরাজুল ইসলাম ক্যাডা! কিছু বোঝে। হোন ব্যাডা আমি যা কই। এইডা কোনো কতা অইলো--- এ টাইপের কথাবার্তা।

আমাদের যে সব মানুষ ব্যাক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী স্যার তাদেরই একজন। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর রাজনৈতিক আদর্শ সমাজতন্ত্র। কিন্তু সমাজ বিশ্লেষণ এবংপর্যবেক্ষণে তার নির্মোহ স্বীকারোক্তি কারো বিপক্ষে যেতে পারে। তার সামাজিক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষণ কারো কাছে খ্রাপ লাগতেই পারে; কিন্তু তাকে ঘিরে যাচ্ছে তাই মন্তব্য অগ্রহণযোগ্য।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীরা আছেন বলে এখনো কিছু মানুষ অবশিষ্ট আছেন বলে মনে হয়--- যারা সময় সময় সত্যটা উচ্চারণ করতে পারেন। জ্ঞান চর্চার জায়গাটা রাজনৈতিক আদর্শ চর্চার অদর্শ হতে পারে--- তবে সেটি কোনো বিবেচনায় দলান্ধ হবার প্রেরণা যোগাতে পারে না।

জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের জীবনাচরণ পর্যবেক্ষণ করলেই তা সহজেই অনুমেয়। সম্ভবত আমাদের আবেগি জাতির আবেগ এতটাই মচমচে যে তাতে টোকা দেবার অবস্থা নেই বলে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার কিম্বা জামাল নজরুল স্যাররা পলিটিকস, এথনেসিটি নিয়ে সরাসরি কোনো আলাপে আসেননি।

তবে সিরাজুল ইাসলাম চৌধুরী স্যার তার ৮০ বছরের জীবনেও তার অবস্থান থেকে সরেননি --- এটা তার সাহস, প্রজ্ঞা ও দেশ- সমাজের প্রতি দায়বদ্ধার উদাহরণ। অন্যরাও দেশ প্রেমিক নন সেটি নয়; আবেগি বাঙালির বিরাগভাজন হয়ে ড,. ইউনূসের হেনস্তা হতে চাননি।

আমরা এতটাই সুবিধাবাদী লোক যে, আমরা চাই জগতের সব কথাগুলো আমার মতই হোক। এটা কি কখনো সম্ভব। বা এটা কখনো হয়েছে।


স্যারের সাক্ষাতকারের চুম্বক অংশ----

প্রশ্ন : কমিউনিস্টরা কেন বাংলা ভাষার প্রতিষ্ঠা কিংবা মধ্যবিত্তের অ্যাসপিরেশনের লড়াইটাকেই তখন সবচে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছিল?

সিরাজুল : কমিউনিস্ট পার্টি কিন্তু মধ্যবিত্তেরই পার্টি আসলে। কমিউনিস্ট পার্টির এখানে প্রধান দুর্বলতা হলো, তারা কৃষকের কাছে যেতে পারে নাই। এই জন্য দেশে বিপ্লব হয়নি। শ্রমিক এবং কৃষক এই দুইয়ের মধ্যে কেবল শহরকেন্দ্রিক শ্রমিকের ওপর নির্ভর করেছে। কিন্তু শ্রমিক তো তেমন নাই। কাজেই মধ্যবিত্ত তরুণদের মধ্যেই কমিউনিস্ট পার্টির মূল তৎপরতা ছিল। পাকিস্তান হওয়ার পরে কমিউনিস্ট পার্টির জন্য দুটো বিষয় খুব তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। একটা হলো, অনেক নেতা-কর্মী দেশ ছেড়ে চলে গেল। দ্বিতীয় হচ্ছে, পাকিস্তান রাষ্ট্রও কমিউনিস্টদের খুব অত্যাচার করতে শুরু করল। সবাইকে ধরে ধরে জেলে দিচ্ছে। যেমন সরদার ফজলুল করিম। উনি তো রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন দেখতেই পারেন নাই। কারণ উনি তখন জেলে। তাকে জেলে নেওয়া হয়েছে ১৯৪৯ সালে। ছাড়া পেলেন ১৯৫৬ সালে। ফলে, কমিউনিস্ট পার্টি কিন্তু রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের কারণেই রাষ্ট্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেছিল। রাষ্ট্র কিন্তু কংগ্রেসের ওপর ঝাপায় নাই।

প্রশ্ন : বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রসঙ্গে একটু আসি। যখন রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে, তখন ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগানের ভিড়ে কেউ কেউ এরম শ্লোগানও তুলত যে, ‘বাংলা ভাষার রাষ্ট্র চাই’। ফলে, নতুন যে রাষ্ট্রটি তৈরি হবে সেটা যে একান্তভাবে বাঙালিদের হবে, এবং নিরঙ্কুশভাবে বাঙালির দাপট স্বাধীন বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা হবে, এই পরিণতির বীজ কি সেই বায়ান্নোতেই রোপিত হয়ে গেছিল?

সিরাজুল : হ্যাঁ, সেটাই তো হয়েছিল। দেখতে হবে, জাতীয়তাবাদের ভিত্তিটা কী ছিল? পাকিস্তানি জাতীয়তার ভিত্তি ছিল ধর্ম। বাঙালিরা যে পাকিস্তান চেয়েছে সেটা ধর্মরাষ্ট্র হবে এমন কিন্তু তারা চায়নি। তারা একটা রাষ্ট্র চেয়েছে যেখানে তারা মুক্ত হতে পারবে। তারা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা চেয়েছে। জমিদার হিন্দু, মহাজন হিন্দু, চাকরি-বাকরিতে হিন্দু, ব্যবসা-বাণিজ্যে হিন্দু- ওদের হাত থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য পাকিস্তান দরকার। সেই অর্থনৈতিক মুক্তি তো পাকিস্তান দিচ্ছে না। চাকরি-বাকরিতে অবাঙালিরা চলে এসেছে। উচ্চপদে বাঙালি মুসলমানদের কেউ নেই। ফলে একটি বাঙালি জাতীয়তাবাদী আকাক্সক্ষা তৈরি হয়েছিল। সেই আকাক্সক্ষাটাই পরে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। যাত্রা শুরু ওই ’৪৮ সাল থেকে।

প্রশ্ন : আমি ঠিক যাত্রা শুরুর কথা বলি নাই। ওইটা নিয়ে আসলে তর্কও নাই। আমার প্রশ্নটা ছিল, বাংলাদেশ রাষ্ট্র এখন অবাঙালিদের জন্য একটি নিপীড়নযন্ত্র হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে।

সিরাজুল : নিপীড়ন জিনিসটা আসলে পুঁজিবাদী রাষ্ট্র এই দিক থেকে দেখতে হবে। এটা একটা ভুল কনসেপ্ট তৈরি হয়েছে যে, বাংলাদেশ একটা জাতিরাষ্ট্র। বাংলাদেশ কোনো জাতিরাষ্ট্র নয়। আজকের পৃথিবীতে জাতিরাষ্ট্র বলে কোনো রাষ্ট্র নেই। এখানে একটা জাতি প্রধান আছে বটে, কিন্তু অন্য জাতিগোষ্ঠীও আছে। রাষ্ট্র এবং জাতি এক না। একটা রাষ্ট্রে একাধিক জাতি থাকতে পারে। রাষ্ট্র হচ্ছে একটা রাজনৈতিক প্রপঞ্চ, আর জাতি হচ্ছে নৃতাত্ত্বিক বর্গ। বাংলাদেশকে আমরা জাতিরাষ্ট্র বলবো না। এখানে বাঙালি ছাড়াও নানা জাতিগোষ্ঠীর মানুষ থাকে। আধুনিক বিশ্বে এখন এটাই সত্যি। আমেরিকানরা একসময় বলত এখানে সবাই আমেরিকান। এখন তাদের মানতে হচ্ছে যে, সকলেই অ্যামেরিকান না, নানা জাতি আছে তার মধ্যে। অ্যাংলো-স্যাক্সন ছাড়াও তো ওখানে স্প্যানিশ আছে, পর্তুগিজ আছে, বাঙালি আছে। তাই, জাতিরাষ্ট্র নয়, আমরা চেয়েছি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এটা জাতিরাষ্ট্র হওয়ার কথা ছিল না, যদিও জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশ পুঁজিবাদী রাষ্ট্র তাতে সন্দেহ নেই। আমি বলতে চাচ্ছিলাম, এই রাষ্ট্রের একটা ‘মুসলিম’ চরিত্র আছে, এবং একটা ‘বাঙালি’ চরিত্র আছে। পুঁজিবাদী চরিত্র এই রাষ্ট্রের আছে, এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে পুঁজিবাদ যেভাবে কাজ করে সেটা বাংলাদেশ রাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হবে তার অনেকখানি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু, একই সঙ্গে, রাষ্ট্রের চরিত্র নির্ধারণের ক্ষেত্রে এটা যে একটা মুসলিম রাষ্ট্র...

সিরাজুল : না, মুসলিম রাষ্ট্র আমরা বলি না তো...

প্রশ্ন : এই অর্থে মুসলিম রাষ্ট্র যে এই রাষ্ট্রের একটা মুসলিম ক্যারেক্টার আছে। রাষ্ট্র যখন হিন্দুকে ট্রিট করে তার মধ্যে এই ব্যাপারটা থাকে...

সিরাজুল : এই ক্যারেক্টারটা দেওয়া হয়েছে। আমরা যখন ’৭১ সালে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করলাম সেটা তো একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ধর্মনিরপেক্ষ হবে যে রাষ্ট্রটা।

প্রশ্ন : সেরম একটা রাষ্ট্র হয়ত হতে পারত, কিন্তু আমরা এখন যে রাষ্ট্রটা পাচ্ছি...

সিরাজুল : সেটা হয় নাই, কারণ পুঁজিবাদের চরিত্রই হচ্ছে বৈষম্যমূলক, এবং সেখানে যাদের ক্ষমতা আছে তারা অন্যদের কন্ট্রোল করবে। এখানে মুসলমানদের হাতে ক্ষমতা বেশি, তারা সংখ্যায় বেশি বলে। কাজেই তারা হিন্দুদের মাইনরিটি বলে ট্রিট করে, তাদের সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে। আসলে রুলিং ক্লাসটাই কন্ট্রোল করছে সব কিছু। ইকনমিক টার্মস ছাড়া এটাকে ব্যাখ্যা করা যাবে না। নৃতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা দিয়ে এর সুবিধা হবে না।

প্রশ্ন : সেটা একটা লম্বা তর্কের বিষয়। মার্ক্সিস্ট যারা তারা মনে করবেন যে মূলত ইকনমিক টার্মসেই এটাকে ব্যাখ্যা করতে হবে। কিন্তু মার্ক্সিজমের যারা ক্রিটিক করে তারা অন্য কতগুলো বৈশিষ্ট্যের ওপর গুরুত্ব দেবেন...

সিরাজুল : অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো আছে, কিন্তু সেগুলোকে আমরা কেন খামাখা প্রাধান্য দেব?

প্রশ্ন : একটু পেছনে ফিরি। পূর্ববঙ্গে সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনে একটা বাঁকবদল আছে। তরুণ বয়সে আপনাদের পছন্দ ছিল মানিক-জীবনানন্দ-সুধীন-বুদ্ধদেবরা। অথচ ওই সময়েই পূর্ব পাকিস্তানে একটা ভিন্ন সংস্কৃতি জারি ছিল, যেটা কতগুলো সংবাদপত্রের নাম থেকেই বোঝা যাবে- আজাদ, ইনসাফ, মাহে নও, মোহাম্মদী। এই যে একটা ভিন্ন ধারা, যেটি মূলত পাকিস্তান আন্দোলনের লিগ্যাসি ধরেই বাহিত হচ্ছিল, এটা কোনোভাবেই আপনাদের ওপর আছর ফেলতে পারে নাই। একটা নতুন এসথেটিকস নিয়ে আপনারা আবির্ভূত হচ্ছেন। এটা কীভাবে সম্ভব হলো?

সিরাজুল : পত্রিকাগুলোর নাম থেকেই বোঝা যায় সেটা ছিল মুসলিম ধারা। এই নামগুলো আধুনকি না, সামন্তবাদী গন্ধ আছে এর মধ্যে। এটা পুরাতন এবং আগের জামানার। কিন্তু নতুন শিক্ষিত হচ্ছে যে তরুণ সে নিজেকে আধুনিক মনে করছে। আধুনিক তরুণ-তরুণী তো ওই নামে সন্তুষ্ট হবে না। আমরা যখন পত্রিকা বার করছি তখন নাম দিচ্ছি আগামী, দেয়াল পত্রিকা করছি নাম দিচ্ছি ঝামেলা। রক্ষণশীল ধারাটাও একই সাথে চলছে। ফররুখ আহমেদ, মোফাখখর হোসেনরা ওই ধারায় কবিতা লেখেন। তারা ওই ধারাটা পাকিস্তান আমল থেকে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু ওই ধারা তো আর চলবে না। আধুনিকতা আসছে, ইউরোপের প্রভাব পড়ছে, তারা এখন তো ওই ধর্মীয় বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসবে। সেই সাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদ তো আছেই। একদিকে আধুনিকতা, আরেকদিকে বাঙালি জাতীয়তাবাদ; দুটো মিলে যাচ্ছে। মিলে যাওয়ার ফলে একটা উদারনৈতিক চিন্তা চলে আসছে। এখন আর মোহাম্মদী আর মাহে নও তো আমাদের সন্তুষ্ট করবে না।

প্রশ্ন : আগের প্রজন্মের সাথে আপনাদের হিসটোরিক্যাল লিংকটা বুঝতে চাই। আপনারা বাঙালি মুসলমান সমাজের একটা নতুন প্রজন্ম। যে প্রজন্ম আধুনিকতাকে গ্রহণ করছে এবং পুরনো রক্ষণশীলতাকে পরিত্যাগ করছে। কোনো পূর্বসূরী প্রজন্মের সাথে আপনাদের হিসটোরিক্যালি লিংক করা যায়?

সিরাজুল : ধারা দুটোই ছিল। আমাদের সাহিত্য রুচি তো গড়ে উঠছে বাংলা সাহিত্য থেকে। আমরা বঙ্কিম-শরৎ-মধূসূদন পড়ে বড় হচ্ছি, বাঙালির যে ঐতিহ্য সেটা তো আমরা ধারণ করছি। বাঙালির ঐতিহ্যের সাথে পাকিস্তান আন্দোলন পর্বে একটি নতুন বিষয় যুক্ত হলো : মুসলমানত্ব। পাকিস্তান তো এই মুসলমানত্বেরই প্রতীক। এই ইতিহাসটা খুব কৌতূহলউদ্দীপক। মীর মশাররফ হোসেন যখন সাহিত্যচর্চা করেন তার মধ্যে কিন্তু এই মুসলমানত্ব নাই। সাম্প্রদায়িকতাটা তৈরি করছে হিন্দু মধ্যবিত্ত। মূল অপরাধী হচ্ছে ব্রিটিশ, তারা উস্কানি দিয়েছে। মুসলমান মধ্যবিত্তের চেয়ে অন্তত পঞ্চাশ বছর এগিয়ে থাকা হিন্দু মধ্যবিত্তের এটা পছন্দ হচ্ছে না যে মুসলমান সমাজ বিকশিত হচ্ছে। সংকটটা হচ্ছে এখানে যে, মুসলমানরা ইতিমধ্যে সংখ্যায় বেড়ে গেছে। ১৯৩৫ সালের পর থেকে বাংলা প্রদেশে যে মন্ত্রীসভাগুলো গঠিত হচ্ছে তার সবগুলোতেই নেতৃত্ব দিচ্ছে মুসলমানরা। এটার ফলে হিন্দু মধ্যবিত্তের বিক্ষোভ বাড়ছে। সাম্প্রদায়িকতা এভাবে তৈরি হচ্ছে। পানি এবং জল নিয়ে প্রচ- বিরোধ হচ্ছে। ব্রাহ্মণ্যবাদীত্ব ছিল, ছোঁয়াছুঁয়ির বাছবিচার ছিল। জসীমউদ্্দীনের মতো কবি, তাকে বন্ধুর বাড়িতে গেলে অন্য থালায় খেতে দেওয়া হত।

প্রশ্ন : মৃণাল সেনের কথা বলছেন বোধহয়?

সিরাজুল : হ্যাঁ, তুমি পড়েছ ওইটা? খাবার দিচ্ছে অন্য থালায়, সেই থালা ধুতে হচ্ছে। নজরুলকেও মেসে শৈলজানন্দ একইভাবে ট্রিট করেছেন। সাম্প্রদায়িকতার জন্য তাই মুসলমানের চাইতে হিন্দুর দায় বেশি। সেজন্যই পাকিস্তান হয়েছে। নইলে তো পাকিস্তান হওয়ার কথা ছিল না।
- See more at: Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×