বাটনে একটা চাপ দিলেই যে কোন কিছুই শেয়ার দেয়া যায়। শেয়ার দেয়া অতি সহজ কাজ। কিন্তু শেয়ার দেয়ার আগে ভাবা উচিত- এই শেয়ারটা কেন দিচ্ছি?
নিজের ভালোলাগার জন্য বা অন্যের উপকারের জন্য?
যদি দুটোর উত্তরই ‘না’ হয় তাহলে শেয়ার দেয়া উচিত নয়। আপনার একটা ভুল শেয়ারে কেউ কারো কাছে অপদস্থ হতে পারে।
কয়েকদিন ধরে দেখছি টাইমলাইনে হুজুররা কিভাব দ্রুত তারাবীহ পড়াচ্ছেন তার শেয়ার চলছে। হ্যালো! আপনাকেই বলছি। হুজুগে মাতাল হবার আগে ভাবুন প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। কাউকে হেনস্থা করা এ যুগে খুব সহজ প্রক্রিয়া।
যা শুনলাম, যা দেখলাম সব প্রচার করলাম। ব্যাপারটি এমন নয়। এমন করলে অনেক কিছুই ভুল হয়ে যায়।
আপনি নিজের চোখে দেখার পরও বিষয়টি ভুল হতে পারে। চোখ সব সময় সঠিকটা নাও দেখতে পারে। মনে রাখা উচিত, ঘটনার পেছনেও ঘটনা থাকে।
নিজের বিবেকের সাথে সাথে মাথার বুদ্ধির সংযোগ ঘটান। যেটি উপকারী পোস্ট সেটি বেশি শেয়ার করুন, যেন মানুষ কিছু শিখতে পারে। আমরা এখন মন্দতে উৎসাহ পাই আর ভালোতে নিরানন্দ।
মনে রাখুন আপনার একটা সঠিক শেয়ার সৎকর্মের অন্তর্ভুক্ত। অণু পরিমাণ ভালো কাজের জন্য হয়ত পুরস্কার আপনিও পেতে পারেন।
সিদ্ধান্ত আপনার।
সবাই এই পবিত্র মাসে একে অন্যের জন্য দোয়া করুন।
সবাই সুস্থ থাকুন।
©রুবাইদা গুলশান
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩