হাজীর হাটি গ্রামের প্রখ্যাত আলেম শাহ সুফি হযরত খাজা মাওলানা আব্দুল ওয়াছেহ্ (রহ.) তরিকতপন্থী ছিলেন। কৈশোরের বাড়ি ছাড়ার পর দীর্ঘদিন পর তিনি আবার তাঁর নিজ গ্রামে ফিরে এসেছিলেন।
ব্রিটিশ আমলে তিনি প্রথমে লক্ষৌ ও পরে আজমির শরিফে হাদিস, তাফসীর, আরবি সাহিত্য, ইসলামী দর্শন, যুক্তিবিজ্ঞান, ইসলামি আইন এবং ইতিহাস শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত হয়ে এলাকায় এসে তরিকতপন্থী মতবাদ প্রচারে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
জানা যায় প্রখ্যাত আলেম শাহ শাহ সুফি হযরত খাজা মাওলানা আব্দুল ওয়াছেহ্ (রহ.) মহাকবি হাফিজ, সুফি সাহিত্যের পণ্ডিত ও লেখক জামি ও রুমির সাহিত্যে বিশেষ পাণ্ডিত্য অর্জন করেছিলেন।
দিল্লিতে অবস্থানকালে সুফি ও দার্শনিক মৌলানা আশরাফ আলী থানভি (রহ.) এর সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল তাঁর। এই বাড়ির শুরুটা হয়েছিল মারেফত ও আধ্যাতিকতা দিয়ে কিন্তু পরবর্তীতে দেশের মুল ধারার রাজনীতিতে জড়িয়ে পরেন এই বাড়ির এক সন্তান। তারই ধারাবাহিকতায় এলাকা ও এলাকার বাইরেও এই বাড়ির বিশাল একটি পরিচিতি গড়ে ওঠে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী'তে উল্লেখ আছে এই বাড়ির কথা। তিনি দুবার এই বাড়িতে গিয়েছিলেন, রাত যাপন করেছেন! সম্প্রতি ঐ অঞ্চলের ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে একটি প্রকাশনার কাজ শুরু করছি আমরা।
এটি আমার নানা বাড়ি। পোষ্টে যার কথা বলেছি তিনি আমার বড় বাবা। এই বাড়িতে আমার জন্ম। এই বাড়িতে ৩ বার আমার বন্ধুদের নিয়ে গেছি আমি।
- প্রথম আলো ব্লগের ৭৬ জন ব্লগার সহ একবার সেখানে গিয়েছিলাম, যার খবর প্রথম আলোতেও প্রকাশিত হয়েছিল।
- ২য় বার গিয়েছিলাম প্রায় ৬৮ জন সমমনা লেখক কবি সাহিত্যিকদের নিয়ে।
- ৩য় বার গিয়েছিলাম ৮১ জন বন্ধু বান্ধব লেখক ব্লগার কবি সাহিত্যিক দের নিয়ে।