somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামী(?) ব্যাংক এবং জামাতে ইসলামের কর্মকান্ড কি ইসলামিক ?

০২ রা মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত পরশু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও প্রতিকার কমিটির নবম সভা শেষে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেছেন স্পষ্টভাবে বলেছেন, “ইসলামী(?) ব্যাংক তাদের লভ্যাংশের শতকরা ৮ ভাগ জঙ্গিবাদের পেছনে ব্যয় করছে।” ইসলামী ব্যাংকের টাকা, ব্যাংক ফাউন্ডেশনে হস্তান্তর সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক পরিপত্রের মাধ্যমে তা বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তথাকথিত জামাতে ইসলাম পরিচালিত তথাকথিত ইসলামী ব্যাংক যে খোদ ইসলামী শরীয়ত পাল্টে দিয়েছে- তাও ফাঁস করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বলেছেন, ‘ইসলামী ব্যাংকের যাকাত ফান্ডের টাকা ৮ দফায় ব্যয় করার কথা থাকলেও ব্যাংক তা ১৬ দফায় করছে।’ বলাবাহুল্য, এটা সুস্পষ্টরূপে কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর খেলাফ। এটা সম্পূর্ণরূপে ইসলামী শরীয়তের সাথে সাংঘর্ষিক। এটা চরম-পরমরূপে ইসলামের সাথে প্রকাশ্য বিরোধিতা। এটা কাট্টা হারাম। স্পষ্ট কুফরী। সম্পূর্ণ নাজায়িয। বরং মুরতাদী। বলাবাহুল্য, শুধু এবারই বা অতীতের যাবতীয় কর্মকা-ের ফিরিস্তিতে জামাত বহুবার মুরতাদ বলে প্রতিপন্ন হয়েছে। এখনও তা বহাল রয়েছে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক তথাকথিত নিবন্ধিত হবার জন্য জামাত মহান আল্লাহ পাক উনার আইন উঠিয়ে দিয়েছে। ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব অস্বীকার করেছে। ইসলামে হারাম ঘোষিত নারী নেতৃত্ব গ্রহণ করেছে। অর্থাৎ ৯৭ ভাগ অধিবাসী মুসলমানের এদেশে, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে- প্রকাশ্য ইসলামের অবমাননা করেছে। ৯৭ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে। তারপরও এ মহা ইসলাম বিরোধী বরং ইসলামের চরম শত্রু এ দলটি ইসলামের নামে নিরবিচ্ছিন্নভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গতকারণেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের এদেশে এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কাজ অব্যাহত রাখার কারণে জামাত স্পষ্টরূপে ইসলামদ্রোহী তথা রাষ্ট্রদ্রোহী অভিযোগে অভিযুক্ত হয়। পাশাপাশি উল্লেখ্য, এই জামাত নেতা মইজ্জা রাজাকারই জঙ্গিদের উত্থানের চরম মুহূর্তেও বলেছিলো, ‘দেশে কোনো জঙ্গি নেই।’ আরো মিথ্যা আস্ফালন করে সে উল্লেখ করেছিলো, ‘জঙ্গিরা মিডিয়ার সৃষ্টি।’ দেশবাসী জঙ্গিদের সিরিজ বোমা হামলাসহ বিবিধ জঙ্গিপনা প্রত্যক্ষ করেছে। শুধু তাই নয়, ধৃত জঙ্গিদের ষাট ভাগই গোয়েন্দা তৎপরতায় জামাতী প্রোডাক্ট প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু তারপরেও জামাতীরা একটি কারণে পার পেয়ে যাচ্ছে। সেটি হলো- তাদের কথিত নিবন্ধন। আমরা বলি, এদেশে দুর্নীতিবাজ পুলিশ, র‌্যাব এমনকি সেনা বাহিনীর সদস্যরাও কী চাকুরিচ্যুত হয়নি? এদেশে ডাক্তার, প্রকৌশলী এমনকি বিচারপতিরাও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়ে বরখাস্ত হয়নি? দুর্নীতিবাজ সরকারি শৃঙ্খলিত বাহিনীর লোকেরাও যদি বরখাস্ত হতে পারে তবে অনিয়ম, রাষ্ট্রদ্রোহিতা জঙ্গিপনা তথা ইসলাম বিরোধিতার কারণে জামাতে ইসলামীর নিবন্ধনও বাতিল হবে না কেন? প্রসঙ্গত এখনও কী অনেক দল আছেনা, যারা রাজনীতি করছে কিন্তু নিবন্ধিত হতে পারেনি? তাহলে নিবন্ধন কী এমনই এক জিনিস যে, তা একবার হলেই আর বাদ দেয়া যাবে না। বলাবাহুল্য, সাধারণ নিয়মেই নিবন্ধনহীন দলও যেমন নতুন করে নিবন্ধনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে- তেমনি নিবন্ধিত দলও নিবন্ধনের যোগ্যতা হারাতে পারে। বলাবাহুল্য, তথাকথিত জামাতে ইসলামী এমনি এক দল- যারা সব দিক থেকে নিবন্ধনের সব ধরনের যোগ্যতা হারিয়েছে। বিশেষ করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে যখন সুর্নিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে জামাতে ইসলামীর মূল অর্থননৈতিক ভিত্তি ইসলামী ব্যাংকের লাভের ৮ ভাগ জঙ্গিদের পিছনে ব্যায়ের কথা উচ্চারিত হয়; তখন আর এ বিষয়ে - কোনো মতেই চুপ থাকা যায় না। কোনোভাবেই বরদাশত করা যায় না। মেনে নেয়া যায় না। সঙ্গতকারণেই আমরা আশা করবো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদের সাথে জামাতের সংশ্লিষ্টতা আরো সম্পূর্ণরূপে উদঘাটন করবেন। জঙ্গিদের জন্য তাদের শাস্তির নিশ্চিত করবেন। এবং অনিবার্যকারণেই তাদের নিবন্ধন বাতিল করে ইসলামের নামে ধর্মব্যবসা ও রাজনীতি হতে বিরত করে- রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষা করবেন।

সবুজ বাংলা ব্লগেও প্রকাশিত
১১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×