একদা করিয়াছিলাম পণ ছোটবেলায় মনে
সুখি হইতে হইবে আমায় এই জীবনে,
বড় উচ্চাশায় করিলেন ভর্তি স্কুলেতে পিতা
ফি বছর রেজাল্ট দেখে বুঝিলেন সবই বৃথা।
বিদ্যা অর্জন নিতান্তই কঠিন শক্ত মর্ম তাহার,
অবশেষে উপলব্ধি করিলাম এ নহে কর্ম আমার।
পিতার বকুনি আর অবিরত মাতৃ তিরষ্কারে
পড়িল বেজায় ফোস্কা আমার দেহ অন্তরে,
প্রতিক্লাস পার করিতে সবার লাগে একবছর
বিধাতার কল্যানে আমার লাগে তিন বছর।
ফেল পাশের অথৈ সাগরে করিলাম ফাইভ পাশ,
ছোটবোন আমার বড়ই মেধাবী ততদিনে মেট্রিক পাশ।
কালোমুখ খানি করিয়া কালো ঘুরিয়া বেড়াই পথেঘাটে
লোকমুখে শুনি অতিশয় ঠাশা গোবর আমারই ঘটে!
লজ্জাশরম চিনি না আমি ছিল না কখনও মনে
লজ্জা হইল নারীর ভূষন মুখস্ত করেছিলাম প্রাণপণে!
এমন করিয়া বছর ঘুরিয়া অবশেষে পড়িলাম যৌবনে,
যৌবনের তরে নানা রঙ লাগে মিঠামিঠা এই মনে!
পাশের বাসার রীনা আপু আর পাশের পাড়ার ফুলি
এমন করিয়া জাগিয়া উঠিল হৃদয়ে প্রেমের কলি,
প্রেমের খেলায় তথাপি আমি রইলাম আনলাকি
টাঙ্কি মারতে বড়ই ওস্তাদ তাতে নেই কোন ফাঁকি!
প্রত্যেক মাসে নতুন প্রেমে সহসাই পড়ি আমি,
এত ভালোবাসা হৃদয়ে কেন সাড়া দেয় না তুমি!
বিদ্যাবুদ্ধি শিকায় উঠিল রেজাল্ট গেল জলে
নারী হৃদয়ে কঠিন গিট্টু শুধু বাঁকা পথে চলে,
চেহারা সুরত খারাপ হইলেও বাপের আছে টাকা
প্রেমই জীবন প্রেমই মরণ, নারী ছাড়া মন ফাঁকা!
যৌবন আমার বিরহে কাটে পাইলাম না কোন সাড়া,
প্রতি প্রণয়ে গিট্টু লাগে পার হয় না ফাঁড়া!
ভরা যৌবনে একলা থেকে শেষ সময়ে বিয়ে
বৌ আসিল আমার ঘরে মাথায় টিকলী দিয়ে,
বাসর ঘরে ঢুকিলাম আমি মনে অনেক আশা নিয়ে
বৌ যদি হয় মনের মতো করিব না আর বিয়ে।
বৌয়ের রূপের বাহার দেখিয়া মাথাই গেল ঘুরে,
দেশান্তরী হইলাম আমি প্রেমের আশা ছেড়ে!
লেখার সময়কালঃ ৩১-০৮-১৯৯৮
কাজী ফাতেমা আপু’র কবিতা তুই তো ছেলে অপরাধী....... পড়ার পর সহসাই মনে পড়িলো কোন এক প্রাগৈতিহাসিক আমলে কবিতা নামক এই চীজখানা প্রসব করিয়াছিলাম। হার্ডকপি আগেই ছিল, আজকে সফটকপি পোস্ট করিলাম আর উৎর্সগ তাই কাজী ফাতেমা আপু’কেই!
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, জুলাই, ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১১