somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঘা যতিন

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
বাউল সম্রাট লালন শাহ

ইলামিত্র



নামঃ যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ওরফে বাঘা যতিন।
(ব্যক্তিগত ভাবে জনদরদি, দক্ষ্য সংগঠক, দেশপ্রেমীক, মেধাবী, সাহসী, ডানপিটে ছিলেন। ছিলেন ভালো অভিনেতাও)

নামকরণঃ একাকি পথে বাঘের কবলে পড়লে, মল্লোযুদ্ধ করে বাঘ হত্যা করে। অতপরঃ নাম হয় বাঘা যতিন। অাসলে নামের সাথে বাস্তবতারও বিশাল মিল। ব্যক্তি জীবনে যতীন্দ্র নাথ ছিলেন বিশাল সাহসী।

বাবাঃ উমেশচন্দ্র মুখোপাধ্যয়।

মাঃ শরৎশশী দেবী। (একাধারে একজন কবি, উন্নয়ন কর্মী, সমাজ সেবক ও সাংস্কৃতিক কর্মী ছিলেন। ব্যক্তিগত ভাবে পরোপকারী,সাহসী ও প্রতিবাদী ছিলেন।)

বোনঃ একমাত্র দিদি বিনোদবালা।

জন্ম ও জন্মস্থানঃ ১৮৭৯ সালের ৭ ডিসেম্বর বৃহত্তর যশোর জেলার ঝিনাইদহ মহাকুমার(বর্তমান ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানার) রিশখালী গ্রামে। বসত ভিটা ছিলো নবগঙ্গা নদীর কুল ঘেসে।

শিক্ষাঃ ১৮৯৫/১৮৯৮ সালে এন্ট্রান্স পাশ করেন। এরপর কলেজে ভর্তি হলেও অার পড়া হয়ে উঠেনি। যোগদেন স্বাধীনতা অান্দোলনে।বিপ্লবী সংগঠনে।

কর্মজীবনঃ ১৮৯৯ সালে ফরিদপুরের ব্যারিস্টার কেনেডীর সেক্রেটারি হিসেবে যোগদেন। হাওড়া ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার (১৯১০) হলে চাকুরি হারান। এবং পরে অার কোন ভালো চাকুরি পাননাই। অবশেষে ব্যবসা শুরু করেন।

রাজনৈতিক জীবনঃ ১৯০৩ সালে শ্রী অরবিন্দের সাথে পরিচিত হয়ে রাজনৈতিক জীবনে পদার্পণ করেন। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ অান্দোলনে গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

জাতীয়তাবাদীঃ যতীনদ্রনাথ ছিলেন জাতীয়তাবাদের মূর্তপ্রতীক। তাইতো জাতীয় জীবনের সকল অপমানকে নিজের অপমান মনে করতেন। এজন্য তার সমগ্র সত্তা ব্যাকুল হয়ে উঠেছিলো দেশের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য।

গ্রেফতারঃ ১৯১০ সালে হাওড়া ষড়যন্ত্র মামলায় গ্রেফতার হন এবং একবছর পর ১৯১১ সালে জামিনে মিক্তি লাভ করেন।

ঠিকাদারিঃ পুলিশের চেখকে ফাঁকি দিয়ে যশোর ঝিনাইদহ রেল পথের ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন।

বিবাহঃ মা-এর দেখা নির্ধারিত ইন্দু বালা দেবীকে বিবাহ করেন।

সন্তানঃ বাঘাযতিন ৪ সন্তানের জনক ছিলে।তারা হচ্ছেনঃ অতীন্দ্র, অাশালতা,তেজেন্দ্র এবং বীরেন্দ।

বসবাসঃ ৫ বছর বয়সে বাবার মৃত্যুর পর মাতুলালয় কবর্তমান #কুষ্টিয়া জেলার কয়া গ্রামে গমন করেন। প্রাথমিক শিক্ষার হাতে খড়ি সেখানেই হয়। তবে পরবর্তীকালে তিনি অাত্মগোপনে চলে যান।

ধর্মীয় জীবনঃ তিনি নিয়মিত ভগবাদ্ গীতা পাঠ করতেন। এবং ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতেন।

প্রিয় খেলাঃ ফুটবল। তিনি ভালো ফুটবল খেলতেন।

সামাজিক অবদানঃ যতীনের উদ্যোগে তার বন্ধুবর অমরেন্দ্র চট্রাপাধ্যায় নদীয়াতে হস্ত নির্মিত তাঁত বয়নে ছটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। কয়েক একর জমি ইজারা নিয়ে শশীদার সাহায্যে গোসাবায় যুব সমবায় ও জমিদারি সমাজের নামে পলিটেকনিক, কুটিরশিল্পো, হোমিওপ্যাথি ও অায়ুর্বেদ দাতব্য চিকিৎসালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

মৃত্যুঃ ১৯১৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর মুখমুখি সংঘর্ষে অাহত হন এবং ১০ সেপ্টেম্বর বালেশ্বর সরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হাসপাতালে রক্ত বমির মধ্যে হাসতে হাসতে বলেছিলেনঃ
এতো রক্ত ছিলো শরীরে?
ভাগ্য ক্রমে, প্রতিটি বিন্দু অর্পন করে গেলাম দেশমাতার চরণে।


বাঘা যতিনের কয়েকটি ছবিঃ














তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট

ছবিঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:২২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×