somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশে ও তুলোনামুলক প্রতিবেশি দেশ

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ইতিহাসের পাতায় বাংলার স্বাধীনতার চিত্র


অামাদের প্রতিবেশি দেশ মাত্র ২টা। বলাচলে ভারতের পেটের মধ্যে অামাদের বাস। অাজকে একটু অামাদের অান্তর্যাতিক সম্পর্ক ও অবস্থার কথা অালোচনার কথা চেষ্টা করছিঃ

প্রতিবেশি দেশ একটা দেশের জন্য খুবগুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়। যদি রাষ্ট্রটি হয় ছোট বা দরিদ্র।

প্রতিবেশি মানেই সিমান্ত।অার সিমান্ত মানেই বিভিন্ন সমস্যা- সম্ভাবনা, উদারতা, বন্ধুত্ত্ব অথবা খবরদারি বা প্রভাব বিস্তার ইত্যাদি।

ভারত দাবি করে তারা অামাদের বন্ধু রাষ্ট্র। বন্ধু হিসেবে ভারত অামাদের কি কি প্রদান করেছে একটু দেখার চেষ্টা করিঃ
১) সিমান্ত হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, নিয়মিত হত্যা করেই চলেছে।
২)২০০৭ সালের ঝড়ে ভারত অামাদের যে চাউল দিয়েছিলো তা ছিলো খাবারের অনুপযোগী।
৩) রেল ক্রয়ঃ কিছুদিন অাগে বাংলাদেশ সরকার ভারতের নিকোট থেকে ৪টা রেল ইন্জিন ক্রয় করে। যার ২টা ইন্জিন পুরাতন বলে পত্রিকায় অভিযোগ অাসে।
৪) বাংলাদেশ ভারতকে স্থল পথ ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে। বিনিময়ে ভারত হয়ে ভুটানে ব্যবসা করার যথাযথো সুযোগ এখনো পায়নাই।
৫) ভারতের সমস্দ টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে চলছে কিন্তু বাংলাদেশের কোন চ্যানেল ভারতে চলে না।
৬)ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য তেমন কোন বৃহত্তর বিনিয়োগ করে নি। যা বিনিয়োগ বা অনুদান প্রদান করেছে তা অনেক কঠিন ও অলাভ জনক শর্তেঃ
ক) বিদ্যুৎ যা অনেক বেশি দামে ভারত থেকে কিনছে সরকার।
খ)রাস্তা উন্নয়নের জন্য যে টাকা ঋণ দিয়েছে ভারত সরকার, তার শর্তও অনেক হাস্যকর। রাস্তা করবে বাংলাদের, পরিকল্পোনা ভারতের, সুদ বিশ্বের অন্য সকল ঋণ দাতা প্রতিষ্ঠান থেকে অনেক বেশি
গ) অারো অনেক বিষয় যা বাংলাদেশকে ন্যয্য কর বা ফি দেওয়া হচ্ছে না

অপর দিকে প্রতিবেশি হিসেবে চীন মায়ানমার ও চীন পাকিস্থান এর মধ্যকার বিষয় একটু দোখিঃ
#মায়ানমার বা পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় উন্নয়ননে চীন বিশেষ ভুমিকা রাখছে।
#সামরিক সহায়তার ক্ষেত্রে চীন মায়ানমারকে অনেক ভারিভারি অস্ত্র বিক্রয় বা সামরিক উন্নত প্রশিক্ষণ বিনিময় করেছে। যা উদাহরণ হিসেবে মায়ানমার ও চীনের সেনা বাহীনির দিকে লক্ষ্য করলে বুঝা যাবে। দেনিতে পারেন তাদের সামরিক ক্ষাত ও অবস্থা।

সর্বপরি, এসব দেশে সুযোগসুবিধা বিনিময় করছে দুদেশ। অপর দিকে বাংলদেশের পররাষ্ট্রনীতি দুর্বল হওয়ার কারণে বালাদেশ তেমন কিছুই অাদায় করতে পারেনি বিদেশি দাতা ও প্রতিবেশি ২দেশ থেকে।

একজন সামরিক বিশেষজ্ঞের লেখা একটা বই পড়েছিলাম। তাতে লেখা ছিলো প্রতিবেশি দেশের সমিহ পেতে হলে এবং নিজেদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখতে একটা শক্তিশালী সেনাবাহিনীর কোন বিকল্পো নেই। অামাদের সেনা বাহীনির কি অবস্থা তা অাপনারা ভালোই জানেন।

দেশের সার্বিক উন্নয়নে যা প্রয়োজন তার মাঝে অন্যতম হলো জাতীয় ঐক্য। ধারাবাহিক উন্নয়ন। দেশপ্রেমিক নাগরিক। দূর্নীতি মুক্ত প্রশাসন ব্যবস্থা। এখন উপরিউক্ত বিষয় গুলো যদি লক্ষ করা হয় তবে সবই অামাদের দেশ ও জনগণের মাঝে অাছে তবে সেটা খাতা কলমে। যদি অামাদের দেশপ্রেম থাকতো তবে একরাস্তা মাসে ১বার সংস্কার করা লাগতোনা। যদি অামরা দূর্নীতিমুক্ত হতে পারতাম তবে দেশ অনেক এগিয়ে যেতো। লাগতোনা সুইপার ও ঝাড়ুদারের চাকুরিতে ৮লক্ষ টাকা অরো অনেক কথা এভাবে উল্লেখ করা যাবে।

সমস্যা হচ্ছে, অামাদের যা উন্নয়ন হচ্ছে তাতেও দূর্নীতি হচ্ছে। ফলে ক্ষয় ক্ষতির মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।

ভারতের দিকে একটু তাকায়ঃ ভারতে তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র দেশ হলেও অনেক নাগরিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোনো দুইনাম্বারি করেনা। দেশের সার্বিক ক্ষেত্রে সবাই সচেতন। এক কথায় দক্ষিণ এশিয়ার একটা মডেল রাষ্ট্র।

মায়ানমারের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে সামরিক দিক থেকে অনেক এগিয়ে যাচ্ছে মায়ানমার। সহায়তা পাচ্ছে চীন ও রাশিয়ার।


বেইজিং মিয়ানমারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছেসাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং মিয়ানমারকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। যার মধ্যে আছে ফাইটার, গ্রাউন্ড অ্যাটাক ও ট্রান্সপোর্ট, ট্যাঙ্ক, আরমার্ড মোটরযান, নৌবহর ও এয়ার মিসাইল। চীন মিয়ানমারে পাকা রাস্তা, রেললাইন স্থাপন করে দিয়েছে ও বিনিময়ে মিয়ানমারে তাদের মিলিটারি ট্রুপসের প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রত্রিকার সূত্র মতে, চীন মিয়ানমারের কোকো দ্বীপে একটি ইলেকট্রনিক নজরদারি কেন্দ্র স্থাপন করেছে ও ভারত মহাসাগরে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে একটি নৌঘাঁটি নির্মাণ করছে। প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমার হচ্ছে চীনের ভাষায় ‘মুক্তার মালা’। মালাক্কা প্রণালীতে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে মোকাবেলা করার জন্য কৌশলগতভাবে মিয়ানমারকে চীনের প্রয়োজন। উপরন্তু মিয়ানমার, কী উপকূলবর্তী অংশ কী উপকূল দূরবর্তী অংশ, জ্বালানি-খনিজসম্পদে সমৃদ্ধ।



উপরের বিষয় গুলি যদি বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার সাথে তুলোনা করা হয় তবে খুব সহজেয় দেশের বাস্তব অবস্থা বোঝা যাবে। "
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। গানডুদের গল্প

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮




তীব্র দাবদাহের কারণে দুবছর আগে আকাশে ড্রোন পাঠিয়ে চীন কৃত্রিম বৃষ্টি নামিয়েছিলো। চীনের খরা কবলিত শিচুয়ান প্রদেশে এই বৃষ্টিপাত চলেছিলো টানা ৪ ঘন্টাব্যাপী। চীনে কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর প্রক্রিয়া সেবারই প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×