--এই যে টুনি, তুমি অমন করে চেয়ে থাকো কেনো, পলক পড়ে না তোমার?
--চুপটি করে বসে আছো, একটু্ও দুষ্টুমি তুমি করো না, আর আমি! বাবা মা দুষ্টুমির জন্য খালি বকে আর বকে।
--কেমন করে যে ওদের বোঝানো যায়! তুমি ওদের বুঝিয়ে বোলো টুনিসোনা।
এমনি করেই কেটে যায় বছর মাস। কেটে যায় প্রকৃতির নিয়মে। মীম বড় হয়, একদিন বিয়ে হয়, চলে যায় অন্যের ঘরে। কিন্তু নিজের ঘর থেকে কাউকে নিয়ে যেতে পারে না ও। অবশ্য টুনিসোনাকে নিতে তো কোন বাধা নেই!
অন্য ঘরেও পেরিয়ে যায় দিন, যুগ। মীম দু'ছেলের মা হয়। এদিকে টুনির খবর রাখে না কেউ।
অনেক বছর পর একদিন কি জানি খুঁজতে গিয়ে টুনিকে চোখে পড়ে তার। কেন জানি হঠাৎ করে চোখ পানিতে টলমল করে ওঠে। টুনিকে তার বিছানায় এনে বসায়, যেমনটি বসাতো আজ থেকে অর্ধশতাব্দী পূর্বে।
--টুনি, মন খারাপ তোমার, না? কতকাল তোমায় দেখি না! দেখো, আমি না, আর তোমার সেই ছোট্ট খেলার সাথীটি নেই। আমার চুল পেকে গেছে দেখো। তুমিতো খালি ড্যাবড্যাব করে চেয়েই থাকো।
--তুমি ছোট্টবেলায় আমার খেলার সাথী ছিলে, কিন্তু আজ আমি কত বড় হলাম, একদিন তো আমি তোমাকে ছেড়ে চলেও যাবো। তুমি কি করবে তখন?
টুনিসোনা তার হাসি হাসি মুখে ড্যাবড্যাব করে মীমের দিকে চেয়ে থাকে। সে জবাব দিতে পারে না।
উত্তর জানলে তো দেবে!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০০৯ সকাল ৮:১৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



