somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই কারণে চলে যাওয়া!?

০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


জানিনা, আর কখনো দেখা হবে কিনা...!

বুক ফেটে কান্না আসছে। ছোটবেলা থেকে বেশ কিছুদিন আগ পর্যন্ত কষ্ট কাকে বলে বুঝিনি আমি। বুঝিনি কষ্ট পেলে কেমন লাগে। কিন্তু যখন বুঝলাম, তখন আমার কাছে কষ্ট লাঘব করার মতো কোনো উপায় নেই! একটামাত্র যে উপায় আছে, তা হলো তোমার ফিরে আসা... কিন্তু তুমি স্পষ্ট করে...

আমি মেনে নিচ্ছি- খুব মাঝখানে খুব কষ্ট আমি তোমাকে দিয়েছি। তুমি বলতে, দেখো- আমার বুকটা খুব ব্যাথা করে। তুমি আমার সাথে এমন করোনা! আমি তোমার কথা মেনে নিতাম। শান্ত-সুবোধ বালক হয়ে যেতাম। কিন্তু বুঝতাম না- তোমার বুকের ব্যাথাটা কেমন। কেমন করে ব্যাথাটা হয়... যখন বুঝলাম...

০২
আমি তথাকথিত স্মার্ট নই। তাই তোমাকে একটু বেশি মাত্রায় আগলে রাখতে চাইতাম। এটা আগে বুঝিনি। এখন বুঝি। তুমি বাইরে গেলেই শুধু কখন ফিরবে কখন ফিরবে করে করে তোমার কান ঝালাপালা করে দিতাম। তুমি কখন কোথায় থাকছো- বারবার জানতে চাইতাম। আসলে আমি বাড়িতে, তুমি হোস্টেলে। মাসে একবার তুমি আসতে পারতে আমার কাছে। আমাদের এই যে দূরত্ব, সেটাই আমার কাছ থেকে তোমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে বোধহয়...

বোধহয় বলছি। কারণ- আমি এখনো আশা করি তুমি ফিরবে।

এই সময়টাতে এসে তুমি বড় বেশি করে অচেনা হয়ে গেছো। আমার ওই বাড়াবাড়ি রকমের খোজ খবর নেয়াটা তুমি আন-নেসেসারি বাইন্ডিং বলছো। কিন্তু আমি তো কখনোই তোমাকে বাইন্ডিঙে রাখিনি! স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে যে শেয়ারিং কেয়ারিং, সেটাকে তুমি বাইন্ডিং বলো কী করে!?

যা হোক।
আমি হাজারবার তোমার কাছে ক্ষমা চেয়েছি। কেঁদে কেঁদে তোমার পা ধরে অনুরোধ করেছি- ফিরে এসো। তুমি যেয়োনা। কিন্তু তুমি নির্বাক। যেনো আমার কান্না তোমার কাছে জাস্ট একটা সাউন্ড পলিউশন ছাড়া আর কিছুইনা! উফ...! আমি তোমার মায়ের কাছেও ক্ষমা চেয়েছি- উনিও হেসে উড়িয়ে দিয়েছেন... ইশ!

কী যে তীব্র যন্ত্রণায় পুড়ছো আমাকে! বলে বা লিখে কোনো দিন সেটা প্রকাশ করা যাবেনা। আজ বড় অবেলায় ব্লগে পাতায় লেখে রাখলাম... জানি, তুমি আসো এখানে। নীরবে চলেও যাও... ধরে নিচ্ছি, তুমি আসবে। দেখে যাবে আমার আজকের আর্তনাদ।

০৩
শুধু একটা কথা-ই এখন বলার- তুমি যেয়োনা প্লিজ... আমি একেবারে শূন্য হয়ে যাবো। আরো কী হবো বলতে পারবোনা... প্লিজ ফিরে এসো... একটা ভালোবাসার দিকে আগের সেই মুগ্ধতা নিয়ে তাকাও!

আমি আর কোনোদিন তোমাকে কোনো কষ্ট দিবোনা। আমি যেখানে থাকবো, সেখানে তুমি সব সময় যত্নে থাকবে... এসো প্লিজ... একবার আমার ডাক শুনো...
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১১ দুপুর ২:১৩
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×