somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হিরোজ অব ৭১

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বছরের সবচেয়ে দীর্ঘ রাতটা নাকি আজ। এক বন্ধুকে দেখলাম, একাকিত্বের হতাশা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছে। আরেকজন দেখলাম, আজ যাদের বাসর রাত, তাদেরকে ঈর্ষা করে লিখেছে। হুম, ব্যাচেলরদের জন্য আজকের রাতটা একা কাটানো কষ্টের বৈকি।

আজকের রাতটা আমি একটা গেইম খেলে কাটিয়ে দেবো বলে ভাবছি। একটু দেরীতে হলেও আজ বিকেলে প্রায় ১০ বারের চেষ্টায় গেইমটা আমার সেটে ইন্সটল দিতে সক্ষম হয়েছি। গেইমটার নাম "হিরোজ অব ৭১" । আপনারা অনেকেই গেইমটি খেলেছেন। যারা খেলেননি, তাঁরা মিস করেছেন। একাত্তরের চেতনাকে যারা হৃদয়ে ধারণ করেন, তাঁদের অবশ্যই গেইমটি খেলা উচিৎ।

দারুণ একটা কাহিনী আছে গেইমটির প্রেক্ষাপটে। একেবারে একাত্তরের আবহেই মনে হবে আপনি যুদ্ধ করছেন পাকিদের সাথে। গ্রাফিক্স, সাউন্ড, মেকিং, থিম -সবটাই দারুণ লেগেছে আমার। বিজ্ঞানমনষ্ক দেশপ্রেমী তরুণেরা আমাদের চমকে দিয়েছে এটা বানিয়ে। এই বিজয়ের মাসে এর চেয়ে সুন্দর উপহার আর কিছু হতে পারে না।

অনেকবার খেললাম গেইমটা। বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারছি না। আমি আবার ঘাপটি মেরে পড়ে থেকে জীবন বাঁচানোর যোদ্ধাদের দলে নই, বরং জীবন বাজি রেখে সামনাসামনি লড়াইয়ের পক্ষে। তাই বেশিক্ষণ টিকে থাকা যাচ্ছে না। এই পর্যন্ত একটা গেইমে সর্বোচ্চ ১০০ টার মতো পাক হানাদার মেরেছি। তিনজন যোদ্ধার ভূমিকায় খেলা যায়, ব্যবহার করা যায় তখনকার ব্যবহৃত প্রায় সব অস্ত্রই। তবে গেইমটা খেলা বেশ কঠিন। এ প্রসঙ্গে নির্মাতাদের বক্তব্য- "দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া নয়"। একটু কঠিন তো হবেই! কতগুলো গুলি আছে, জানতে পারছি, আরও কত সহায়তা পাচ্ছি গেইমে, বাস্তবে কি এমনটা পেয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা? নিশ্চয়ই না। তাই বেশি সহজ করে ফেললে গেইমটার মর্যাদা থাকতো না।

আজকের রাত হানাদার নিধনের উল্লাসে মেতে ওঠার রাত। আজকের দীর্ঘ রজনী একা থাকার প্রশ্নই তাই ওঠেনা।

সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

মামুনুলের মুক্তির খবরে কাল বৃষ্টি নেমেছিল

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৯:৪৯


হেফাজত নেতা মামুনুল হক কারামুক্ত হওয়ায় তার অনুসারীদের মধ্যে খুশির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। কেউ কেউ তো বলল, তার মুক্তির খবরে কাল রাতে বৃষ্টি নেমেছিল। কিন্তু পিছিয়ে যাওয়ায় আজ গাজীপুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×