সেদিন ভাবলাম, অনেকদিন চর্চা নেই বিধায় ইদানিং ভুলভাল ইংরেজি বলছি, এর একটা বিহিত করতে হবে। গ্রামারের বই পেলাম আব্দুর রবের, পেলাম চৌধুরি অ্যান্ড হুসেইনের, পেলাম না পিসি দাসেরটা। ছোটবেলায় কেনা বইগুলো এখনও কিছু কিছু আছে। ভাবলাম, পিসি দাসের বইটাই তো সবাই কেনে, আমিও অনেককে সাজেস্ট করি। যাই নিলক্ষেত থেকে কিনে নিয়ে আসি।
নিলক্ষেত বইয়ের মার্কেট ঘুরে ফুটপাথ থেকে শুরু করে দোকানে দেখি একই লেখকের বই হলেও সেগুলো আলাদা আলাদা। ফুটপাথে পুরাতন বইয়ের এক দোকানে পেলাম ময়লা অথচ আসল একটা বই। সেটা বেশি মোটা, এখন বাজারে যেটা বেশি বিকোয় সেটার প্রায় দ্বিগুণ মোটা। খুলে দেখি এটা বেশি ডিটেইলে লেখা। আমার দরকার অল্প কথায় জিস্ট ইংরেজি গ্রামার।
কয়েক দোকান ঘুরে তাজ লাইব্রেরি থেকে এই বইটা কিনলাম। তিনি দাম চাইলেন ১২০টাকা। অথচ পাশের এক দোকানেই দাম ৮০টাকা পর্যন্ত রাখতে রাজি। সেটা বলতেই বিক্রেতা জানালেন, একই লেখকের লেখা দেখতে এক হলেও ভেতরে পার্থক্য নাকি আছে!
তারপর বইটা কিনে এনে বিপদেই আছি। খালি স্পেলিংয়ে ভুল চোখে পড়ে। আজ দেখি ৭৯ পাতায় hand এর adjective লিখে রাখছে handsome. এটা কীভাবে হয়? আবার handful তো noun. কনফিউশন থেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিলে এক বন্ধু জানালো, সঠিক উত্তর handy.
এই যদি হয় অবস্থা, তবে দেশের মেধাবিরা কী শিখছে? তাদেরকে ভুল শিক্ষা দেয়া হচ্ছে নাকি? নিলক্ষেতের দোকানিরা তো ইন্টারনেট থেকে পিডিএফ ফরম্যাট নামিয়ে এই বইগুলো নিজেরা প্রিন্ট করে বাঁধাই করে। সঠিক পিডিএফ হলেও তো ভুল হবার কথা না! আমি আসলেই কনফিউজড। ভারত থেকে আনা পিসি দাসের আসল বই মনে হয় এটা না।
নিলক্ষেত আছে বলেই আমরা সুলভে বই পাই, এটা ঠিক। কিন্তু বইয়ের মানের দিকেও নজর দেয়াটা জরুরি।
-দেব দুলাল গুহ
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪২