"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে, যদিও একেকজনের কোশ্চেন সেট একেকটা, তবে সিটগুলা সিঙ্গেল ডেস্কের হওয়ায় সামনের আর পেছনের সিটের খুব বেশি দুরত্ব ছিলোনা। এক ঘন্টা ত্রিশ মিনিটের মাথাতেই আমার মোটামুটি সব দাগানো শেষ, যেটা শিওর সেটাও দাগাইছি যেটা শিওর নাহ সেটাও অনুমানের উপর দাগাইছি। এরমধ্যে পাশের সিটের একজন ইশারায় কিছু জিজ্ঞেস করলে তারেও কোশ্চেনের উত্তর বলে দিছি এমন ভাবে বলছি যেন এই উত্তরগুলো শতভাগ সঠিক।
সামনের সিটের মেয়েটাকে এভাবে প্রায় ৯ টা প্রশ্নের উত্তর বলেছি, সেট মিল না থাকলেও সে যে কোশ্চেন পড়ে শুনাইছে সেটা স্পষ্ট শুনেই তাকে উত্তরগুলো বলেছি, আমার কনফিডেন্টলি দেয়া উত্তরগুলাই সে দাগালো। পরীক্ষা শেষে সবাই যখন একসাথে বের হচ্ছি মেয়েটা দৌড়ে এসে আমাকে থ্যাংকস জানালো, এমন ভাবে বিনয়ের সাথে থ্যাংকস জানালো যে মেয়েটার পকেটে হাজার পাচেঁক টাকা থাকলে সেটাও আমার হাতে ধরাইয়া দিতো কৃতজ্ঞতা সরুপ। মেয়েটা চলে গেলো, আমার মুখে মাস্ক, মাস্কের ভিতরেই মুচকি হাসছিলাম, বোঝার কথানা তবে মনে মনে বললাম বইন তোরে যে ৯ টা প্রশ্নের উত্তর আমি খুব কনফিডেন্টলি বলছি এর একটাও আমি শিওর নাহ তবে নয়টাই ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও ফিরিয়ে দেয়া যায়না।
মেয়েটা নিশ্চয়ই বাসায় গিয়ে এলোপাথাড়ি গালাগালি করবে যখন কোশ্চেন মিলিয়ে দেখবে সে যেগুলো আমার কথামতো দাগাইছে সবগুলাই ভুল, তবে একদিক থেকে আমি নিজেকে স্বান্তনা দিচ্ছি, মেয়েটা তো আর আমার নাম জানেনা, তো সে বাসায় গিয়ে আমাকে গালাগালি করলেও আমার নাম নিয়েতো আর গালি দিতে পারবেনা, আর নাম না নিয়ে গালি দিলে সে গালিতো আমার গায়েও লাগবেনা.... তাইনা?
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬