somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহিষের হাসি একটি মৃগেল স্বরছেঁড়া কাক

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মহিষের হাসি

অন্ধচেতনা ভেঙে আরো গভীর কোনো গহ্বর ডেকেছিলো। তুমুল ঝড়ের আড়ে বটের ফল ঝরে পড়ছিলো লাল বেদানা ফলে। উদাসীন কাদাগন্ধ চিনে রাখে, চিনে রাখে বিপন্ন নিধান। ঘেঁটুফুল ইশ্কুল, বাড়িঘর ভাঁজ করা, সস্তা ছাতার পাড়ে সূর্যচিহ্ন আছে। চেনা চোখ, চোলাইমদের গন্ধ কারো কোলের গণিতে, মনে পড়ে। ত্রিকোণমিতি শিখে ইস্রাফিলকে ধার দিয়েছিলো মহিষের শিং। বালিরঙ হাওয়া ঘুরে হাওয়ার বাহন, চোখের পাপড়ি চিনিয়েছিলো কালিকাপুরাণ। তারপরও বিরান, সুমসাম। নর্দমার পাশে দাঁড়িয়ে একলা শরীর, আঙুলের ফাঁকে চারকোল, কার্টিজ কাগজে ঘষে ঘষে বানায় মহিষের মুখ। অদূরে মহিষ নিষ্পাপ হাসে। নিষ্পাপ তবু এ হাসির অর্থ যে জানে-- সেইই জানে একা।



একটি মৃগেল

জানলা দিয়ে দেখা ভূগোল যতটা না গোল তারচে’ আনুভূমিক দেখে যখন ফুরিয়ে গেলো চোখ-- দৃশ্য এসে বাজালো পূরবীসন্ধ্যা। ছয়টি তার ঝিরিঝির উড়ে পাগলের ত্বকে হয়ে গেলে ধান-- কম্পিত পুকুর উগরে দেয় একটি মৃগেল। ওগো মায়াময়, দাও বাষ্পমুগ্ধ সকাল। মৃগেল এসে সাঁতার শেখায় বনে বনে পাতা আর পতঙ্গদের। সাঁতার শিখতে লাগে জলস্রোত-- নেমে গেলো শৈশবে দেখা পাহাড়ি খালের পথে। সূর্যখোলার স্মৃতি চোখে মেখে দেহের রঙে রাঙায় স্রোত। এই স্রোত পাথরে পাথরে লেগে বাতাসের হিহি। মৃগেল তার কানকো সামলে রাখে-- পতঙ্গ যেমন সামলায় পেখম।


স্বরছেঁড়া কাক

পথঘাট কিচ্ছু চিনি না-- এমন মনে হয়। রোদ আর ধূলি একই রঙ-- এমন মনে হয়। যে ঘ্রাণ না নিলে আমি প্রতিদিন মরে যাই-- ক্রমশ দিগন্তের আত্মীয়। এইখানে বাঁপাশে একটু উপরে পুড়ে যায় ছায়াছায়া গাঁয়ের শান্ত পুকুর। কাউকে বলি না। অথবা কেউ জানে না। আমি গিয়েছিলাম। কখনো যাই নি। এমন মনে হয়। পাখিরা আত্মঘাতী হলে নিভে না নক্ষত্র, নিভে না বাগানের ল্যাম্পপোস্টে ম্লান আলো। অথবা ভাঙে না ঘুম কারো। যে ছুঁতে চায়-- ক্রমশ একটি করে আঙুল ঝরে যায়। আঙুল প্রথম তৃষ্ণার স্বর-- এমন মনে হয়। আমাদের রোদ আর ধূলি বড়ো স্মৃতি ও বেদনাময়। বেদনা শহরতলির স্বরছেঁড়া কাক।


৫টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×