সাঁস ভি কাভি বহু থি...থি কেয়া ?!? - পর্ব - ১
আমার বিয়ে হয়েছে এক বছরের কিছু বেশী। আর আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়েছে আমার প্রায় তিন মাস আগে। সে স্বামী সংসার নিয়ে সুইডেনে স্থায়ীভাবে আছে। বললাম একারণে যে, যদিও আমাদের দুইজনের মাত্র তিনমাসের ব্যবধানে বিয়ে হয়েছে, তারপরও আমার ক্ষেত্রে অনেকটা দায়সারা ভাব দেখলাম। অনেক বিষয় ছিল যা বিয়েতে কোনভাবেই ভুল হবার কথা না। যেমন, প্রথবার মেয়ের বাড়ীতে সাজ-সামগ্রী নিয়ে গেলে মিষ্টি না নিয়ে যাওয়া, বিয়েতে কালো শাড়ী না দেয়া, বিয়েরে পর ঘরে পড়ার শাড়ী না দেয়া ইত্যাদি। যেসব উপঢৗেকন আমার বোন বিয়ের সময় পেয়েছিল এবং আমার মা সেসব নিয়ে খুব বলে বেড়াত "আমার মেয়ে এটা পেয়েছে ওটা পেয়েছে...", ঠিক আমার বিয়ের সময় যখন কনে পক্ষকে সেসব দেবার কথা বললাম আমার মা একেবারেই আগ্রহ দেখায় নি। পরের মেয়ে হয়তো..এত দিয়ে কি হবে..!! আমার মা'র এই ধরণের নীচু মানসিকতার সাথে আমার আগে পরিচয় হয়নি।
আমাদের বাসায় কখনও খুব একটা মেহমান আসে না। কারণ আম্মা পছন্দ করে না। আমার আম্মা ডে শিফটের টিচার। দুপুর ১২ থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত তার কাজ। শুক্র-শনি ছুটি। কিন্তু তার ব্যস্ততা প্রকাশ থাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশী। বাসায় কেউ এলেই সে যে কত ব্যাস্ত...এবং তার কত কাজ ফেলে সে এখানে সময় দিচ্ছে...তা বারেবারে মনে করিয়ে দেয়।
বিয়ের পরপর আমি আমার বউকে নিয়ে সুন্দরবন বেড়াতে যেতে চাইলে আমার শশুড়বাড়ী থেকে কোন আপত্তি না তুললেও আমার আম্মা আমার বউকে চাপ দেয়ার চেষ্টা করেছিল যাতে না যাই। কেন করেছিল, তা আমার কাছে আজও পরিষ্কার নয়। তার মধ্যে সবসময়ই প্রভাব খাটানোর একটা প্রবণতা আছে। কিস্তু, আমার সাথে না পেরে বউয়ের উপর চেষ্টা করে আরকি!
বিয়ের পরপর একদিন আমার মা খাবার বেড়ে টেবিলে খেতে ডাকলো। খুশি মনেই বউ সহ গেলাম। গিয়ে দেখি কয়েকদিনের ফ্রিজের বাসী তরকারী আর বড়জোড় একজনের খাবার। শেষে ওইটাই দুজনে খেলাম। এরপর থেকে, মানে বিয়ের দুদিন পর থেকেই নিজে রান্না করে...যত কষ্টই হোক না কেন। সবার জন্যই করে এবং তার শশুড়-শাশুড়ীকে নিজ হাতে বেড়ে খাওয়ায়।
আসছে পর্বে দেখুন আরও চমক...চোখ রাখুন আমার ব্লগে
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





