যে শাহবাগ ছিল সরকারের সমতুল্য সরকারের ছত্রছায়ায় বেপরোয়া উক্তি ‘অবশ্যই সরকারের চেয়ে শাহবাগের গণজাগরণ বেশি শক্তিশালী।’
‘সরকারের এত স্পর্ধা কোথায় যে আমাদের দাবি মানছে না!’
এত দিন সরকারী নেতাদের খেয়ালে এই ব্যাপারটা আসে নাই। হঠাৎ করে দেড় মাস পরে আজকে নেতাদের নজরে আসল আর হুংকার দিয়ে উঠলেন ‘ আজ অনেকেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের ধারক-বাহক হয়ে গেছেন। আজ যাঁরা শাহবাগে গলা ফাটাচ্ছেন, তাঁরাই অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে শেখ হাসিনা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় ‘শেম শেম’ ধ্বনি দিয়েছেন।‘
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা ঠিক নয়। আবেগ দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতি করতে হয় বাস্তবতার নিরিখে। তিনি গণজাগরণ মঞ্চ বন্ধ করে দেওয়ার পক্ষে মত দেন।‘
আবেগ দিয়ে রাজনীতি না হলে শাহবাগে কি হয়েছিল? শাহবাগে কিন্ত আবেগ ই ছিল আপনি ই ভাল জানেন সব থেকে
কি ভয়াবহ ব্যাপার।
পাশার দান উল্টে গেছে। শাহ বাগের মধু যেটুখু খাওয়ার ছিল সেটুকু খাওয়া হয়ে গেছে। এই বার আখের ছোবড়া আপনারা কি করেন?
নিশ্চয়ই রাস্তায় ছুড়ে ফেলেন।
গুড বাই শাহবাগ।
এইবার শুরু হবে তোমাদের চুল ছেড়া বিশ্লেষন করে শাস্তি পর্ব। কে করবে?
না না প্রিয় আওয়ামী লীগই করবে। কেন করবে?
কারন তাদের কিছু ইসলামী ভোট চাই।
এইটা ভোটের খেলা। শুনুন ডাঃ ইমরান সাহেব, বিরাট নেতা হয়ে গেছিলেন, ধরা কে সড়া জ্ঞান করেছিলেন। আওয়ামী পুতুল সেজে বিএনপির নামে কুৎসা রটাতে আপনার এক বিন্দু সময় লাগেনি। প্রস্তুত থাকুন। আপনার সাধের আওয়ামীলীগ ই আপনার বিচার করবে।
শুনুন ডাঃ ইমরান ছাগল দিয়ে হালচাষ হয়না।
কাদের দাবীতে জানেন?
হেফাযতে ইসলামের দাবীতে।
কারা হেফাযতে ইসলাম? খবর কেঊ ভুল করেও বলবেন এটা জামাত শিবিরের দল। (যদিও এই সামুতে অনেকেই একে জামাতের বিটীম হিসাবে প্রমান করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিল) এটা বাংলাদেশের তৌহিদী মুসলমানদের দল। জামাতের এত সমর্থন কিন্তু নাই।
দলমত নির্বিষেশে সব ইসলামী মনের মানুষ গুলো এক হয়েছে আজকের শাহবাগের আন্দোলনের বিরুদ্ধে।
তাদের দাবী ঠিক আছে। ভূল ছিলেন আপনারা। শেখ হাসিনার সস্তা রাজনীতির চালে এক নাস্তিক কে বানানো হল শহীদ। আমরা ভূলি নাই।
আজকে সামুও তার ছবি শহীদী মর্যদায় ইমন ভাইর পাশে দিয়েছিল। সরকার তোষননীতি হিসাবে। অবশ্য কিছুদিন পর তা নেমে যায় গনচাপে পড়ে। আমরা ভূলি নাই।
শেখ হাসিনা ছুটে যায় রাজিবের বাড়ী। শহীদ ঘোষনায়। আজকে সেই রাজীব হত্যার আপডেট কি?
বাড়াবাড়ি কোন কিছুই ভালনা।
আমি কোন হত্যাই সমর্থন করিনা। হোক সে নাস্তিক।
প্রিয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনার হটকারী সিদ্ধান্তের কারনে আজকে ৩-৫ লাখ ব্লগার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।
আশা করেছিলাম আপনি বা আপনার সরকার থেকে এব্যাপারে পরিস্কার নির্দেশ না থাকবে যে গুটি কয়েক ব্লগার ছাড়া কেউই প্রিয় মহানবী (সঃ) কে নিয়ে কিছু বাড়াবাড়ি করে নাই। কোথায় আপনার নির্দেশনা।
এই আপনি, আপনিই কিন্তু আসিফের মত কিছু অসভ্য কে পুলিশ পাহারায় ভি আই পি প্রোটেকশন দিয়েছেন। আজকে কোথায় ৪-৫ লাখ ব্লগারের জীবনের নিরাপত্তা।
আপনার ভূল ডিসিশনের জন্য আজকে ব্লগাররা সারা বাংলার ধর্মোন্মাদ বাংলাদেশীর মুখোমুখী।
আপনি আপানার গদি বাচাতে যদি হেফাযতে ইসলামীর সব কথায় জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর করেন, আমাদের কি অন্যায় হবে হেফাযতে ইসলামীর সাথে এক হয়ে আপনার আপসারনে আওয়াজ তুলতে?
পারবেন ৪-৫ থেকে লাখ ব্লগারের লেখনী সামলাতে?
বার বার আমি আমার বিভিন্ন লেখায় প্রমান করতে চেয়েছিলাম এই দেশে যুদ্ধাপরাধীর বিচার ৯০% মানুষ চায় কিন্তু সেটা উভয় দলের ঐক্যের মাধ্যমে।
এই সেই শাহবাগ যে শাহবাগে ভর দিয়ে আওয়ামীলীগ নির্বাচনী বৈতারনী পার হতে চেয়েছিল।
কখনই আন্তরিক ছিলনা, তাহলে অনেক আগেই বিচার হয়ে যেত।
শেখ হাসিনা এখন কি করতে পারে?
যে গনজাগরনের প্রশান্তি হাসিনা মাসখানেক উপভোগ করেছে আজ সেই গনজাগরন বুমেরাং হয়ে ফেরত গেল তার কাছে।
শেখ হাসিনা এখন যে কোন মূল্যে এখান থেকে বের হতে চায়। আলরেডী হেফাজ়তে ইসলামের সাথে নেগোশিয়েশনে গেছে। যার ফলশ্রুতিতে এলোপাথাড়ী ব্লগ বন্ধ। ব্লগার এ্যারেষ্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে।
এই গোজামিলে কিছু বিএনপি মাইন্ডের ব্লগার ধরে নেবে আওয়ামীলীগ। কারন আওয়ামীলীগের মূল উদ্দেশ্যই যেভাবে পার মধু খাও।
আজকে আমার প্রশ্ন আপনি যে সব নাস্তিক ব্লগারদের ধরেছেন, কেন আপনি গেলেন রাজীবের বাসায়? কি উদ্দ্যেশ্য? যদি বলেন, না জেনে গেছেন তা হলে বিরাট হাসির ব্যাপার হবে।
যদি বলি এই ব্লগাররা আপনার নাস্তিকতা কে উৎসাহিত করা দেখে উৎসাহিত হয়েছে। কি আপনার বক্তব্য?
আমি অপেক্ষায় আছি
আপনার হেজাব আর তসবিহ পড়া ছবি দেখার জন্য
আমি অপেক্ষায় আছি আপনি বিএনপিকে আলোচনায় ডাকবেন।
আমি অপেক্ষায় আছি জামাতের সাথে আপনার নমনীয় আচরন দেখার জন্য
আমি অপেক্ষায় আছি আরো কিছু মানূষ মেরে আপনি দিশেহারা হয়ে তত্ত্বাবধায়ক কে না দিয়ে আপানার জেদ বজায় রাখার জন্য হয়ত সুপ্রিম কোর্টের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।
আর্মির হাতে আপনি ক্ষমতা মনে হয়না দেবেন না। কারন আপনার আর্মি ভীতি আছে। তারপরো তালগোল পাকিয়ে তাও করতে পারেন।
কিন্তু বিএনপি কি করবে জানেন? একদফা দাবীতে মার্চ করছে আপনার অপসারন।
আপনার এই মুহুর্তে কি করা উচিত আপনি জানেন?
আর একটা লাশ না ফেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তত্বাবধায়ককে ক্ষমতা দিয়ে নিজের দল ঘোচান। কি হবে ভাবুন তো ৬ তারিখ লং মার্চে যদি একটা লাশও পড়ে?
পারবেন সামলাতে? আর একবার ভাবুন তো? নিজের সাথে সাথে দলের কর্মীদের কথাও ভাবুন।
প্রশাষন কিন্তু ভেঙ্গে পড়ছে। কিছু পুলিশ যা খুশী তাই করছে। আবার কিছু পুলিশকে অফিসারকে আপনি ওএসডি করে রেখেছেন। আপনি কি ভাবছেন তারা বসে আছে আপনার গুনগান করার জন্য।
শেষ কথা যত বেশী লাশ পড়বে মানূষ কিন্তু আপনাকে ই দুষবে আপনার পার্টিকেই দূষবে। এটা কিন্তু ১৯৭৪ না। বা ২০০১ না। যুগ কিন্তু অনেক পরিবর্তনশীল।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



