দীর্ঘ ১৬ বছর পর পাকিস্তানকে হারাবার অধরা স্বপ্ন পূর্ন করল বাংলাদেশ! যে স্বপ্ন পূর্ন হতে পারত ২০১২ অথবা ২০১৪ এর এশিয়া কাপে সেই স্বপ্ন থমকে গিয়েছিল কখনও ২ রানে অথবা কখনও ৩২৬ রানকেও অপর্যাপ্ত করে। কিন্তু ২০১৫ সালে এসে বিগত দিনের সকল পরাজয়, সকল হাহাকার যেন শক্তিতে রুপান্তর হয়ে ধরা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কাছে। ব্যক্তি নির্ভরতা ঝেড়ে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘টিম বাংলাদেশ’ হিসেবে। তারই ধারাবাহিকতায় অসাধারণ পেশাদারি মনোভাব প্রদর্শন করে পাকিস্তানকে পর পর দুই ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার করে পরাজিত করে সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ। এই সিরিজ জয়ে লুকিয়ে আছে অতীতের অনেক হিসেব। বিশ্ববাসী জানল, বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ বিশ্বের বুকে মর্যদাপূর্ন অবস্থানে অধিষ্ঠিত হয়েছে এবং আরো জানল বাংলাদেশ যে কোন দলকে এখন ঘোষনা দিয়েই হারানোর সামর্থ রাখে। সিরিজ বাংলাদেশ অনেকবারই জিতেছে। তবে এশিয়ার তিন পরাশক্তির বিপক্ষে এই প্রথম এল সিরিজ জয়। এই ঐতিহাসিক বিজয়ের মাধ্যমেই অর্জিত হলো বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম এক মাইল ফলক।
সিরিজ নির্ধারনী এই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশী বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং এর মুখে প্রথমেই ধাক্কা খায় পাকিস্থান। দেখে শুনে খেলতে থাকা পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের প্রতিরোধ ভাঙেন রুবেল হোসেন। তারপর শুরু হয় নিয়মিতভাবে উইকেট পতন। তবে মাঝখানে হারিস সোহেল, নাসিম ও ওয়াহাব মিলে ভালো প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। তাদের রানের উপর ভর করে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ২৩৯ রান।
২৪০ রানের মাঝারি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম ও সৌম্য সরকারের শুরুটা ছিল আত্মবিশ্বাসী। শাহরিয়ার নাফীস ও মাহমুদউল্লাহর পর বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টানা দুই ম্যাচে দুই শতক করেন তামিম। দারুনভাবে দিলেন তার প্রতি সমালোচনার জবাব। অপর প্রান্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ব্যাটিং এ আস্থার প্রতীক হয়ে উঠা মুসফিকুর রহিমও পূর্ন করেন অর্থ শতক।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এই ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের জন্য টাইগার্সদেরকে আমরা সামহোয়্যারইন ব্লগের পক্ষ থেকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। আশা করি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আগামীতেও বিজয়ের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।
আলোকচিত্র কৃতজ্ঞতাঃ espncricinfo
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৩৬