বিশ্বকাপে তাসকিনের বলে মিড উইকেটে ক্রিজ ওয়াকেস এর ক্যাচ মিস করলো তামিম। ডু অর ডাই মুহুর্তে যখন তামিম ওয়াকেস এর ক্যাচ মিস করলো তখন সবাই-ই একবার হলেও তামিম কে ঠিকই গালি দিয়েছিল। ঠিক তখন তামিম ইকবাল এর চেহারার দিকে কি আপনি তাকিয়েছিলেন? তামিমের চেহারাটা খুব বিষন্ন দেখাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল তামিম যেন এক এতীম সন্তান, পৃথিবীতে তার আপন কেউই নাই। চোখে মুখে কেমন যেন কাঁদো কাঁদো ভাব, তার সঙ্গে যেন কেউই তখন ছিলনা। হয়তো ভাগ্যই তামিমের সাথে ছিলনা। তখন আমরা ঠিকই ভুলে গিয়েছিলাম তামিমের অতিতের সকল রেকর্ড, ভুলে গিয়েছিলাম ২০০৭ এ শ্রীলংকার বিপক্ষে তামিমের সেই উড়ন্ত ক্যাচের কথা, ভুলে গিয়েছিলাম ২০১৪ টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আল আমিনের বলে ব্যাকওয়ার্থ পয়েন্টে নেওয়া ডোয়াইন ব্রাভোর সেই বাজপাখির ন্যায় ক্যাচটি, ভুলে গিয়েছিলেন ওই একই ম্যাচে নেওয়া ক্রিজ গেইলের ক্যাচটির কথা যেটা তামিম নিয়েছিলেন বাউন্ডারী সিমানার নিকট হতে ৩ বারের প্রচেষ্টায় দুরন্ত কৌশলে।
.
এবার সাকিব আল হাসানের গতকালের রোহিত শর্মার ক্যাচের কথায় আসা যাক। রোহিতের ক্যাচ মিস করার পরে সাকিব যেন অনেকের কাছে একজন হিংসাত্বক জীব। বেশিরভাগ সময়েই বাউন্ডারী এরিয়াতে ফিল্ডিং করেছিলেন। উইকেট পেয়েও বাড়তি কোনো উদযাপন করতে দেখা যায়নি তাকে। আবার আল আমিনের বলে রোহিত শর্মা আউটের হবার পরে দলের সবাই একসঙ্গে উইকেট সেলিব্রেশন করলেও সাকিব সেই সিমানা দড়ির কাছেই দাড়িয়ে ছিলেন। নিজের কষ্ট নিজেই বুঝেছিলেন সাকিব। কিন্তু তার কষ্ট বুঝিনি আমরা, গালি দিয়েছিলাম। ভুলে গিয়েছিলাম সেদিনের তামিমের মত এই দিনের সাকিবকেও, ভুলে গিয়েছিলাম সাকিবের পূর্বের রেকর্ড। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এর বিপক্ষে রুবেলের বলে সাকিবের নেওয়া ইয়োন মর্গানের সেই দুরন্ত ক্যাচের কথাও ভুলে যাই আমরা! কি আশ্চার্য! কি আশ্চার্য! তাইনা?
-এভাবে আমরা ভুলে যাই তাদের। ভুলে যাই তাদের কৃতিত্ব, ভুলে যাই তাদের বিরত্বগাথা দিনগুলো। ভাগ্য তাদের সঙ্গে ছিলনা। আবার যখন ভাগ্য সঙ্গে থাকবে তখনও আমার চিল্লাইতে থাকব, তামিম, তামিম, সাকিব, সাকিব! এ যেন লজ্জাজনক আশ্চার্যের কথা, তাইনা?
ছবি :-নেট
ইডিট:-নিহত