সকালে(০৯ জুলাই ২০১৮) পেপার পড়ছিলাম। প্রথম আলোর ১৩ নাম্বার পেজে, " যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসী আয় আসা বাড়ছে" শিরোনাম দেখে থমকে গেলাম। আমি সাধারণত খেলা আর সম্পাদকীয় পড়ি, আর অন্য বিষয়গুলোতে কোনরকমে চোখ বুলাই। আজ একটু পড়লাম, ভাবলাম, এখন দু-চার লাইন লিখব(আংশিক কপি-পেষ্ট) ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসা বাড়ছেঃ
সদ্য সমাপ্ত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরে(২০১৬-১৭) এসেছিল ১৬৮ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ডলার। সে হিসাবে এক বছরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবাসীআয় বেশি এসেছে ৩০ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। প্রতি ডলার ৮৩ টাকা ধরে হিসাব করলে তা দাঁড়ায় ২ হাজার ৫৬১ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। (" আম্রিকান প্রবাসীরা, সাবধানে থাইকেন! না জানি এই খবর শুনে টেম্পু সাহেব আপনাদের উপর কোন শর্ত আরোপ করে?)
দেশ অনুযায়ী প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রবাসী আয়(রেমিটেন্স) পাঠানোর ক্রমঃ
১. সৌদি আরব
২. সংযুক্ত আরব আমিরাত
৩. যুক্তরাষ্ট্রের
৪. মালয়েশিয়া
৫. কুয়েত
৬. ওমান
৭. যুক্তরাজ্য
৮. কাতার
৯. ইতালি
১০. বাহরাইন।
[প্রবাসী আয়ের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান নবম(১৩বি. মা. ড.)]
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০১৮ঃ (বাংলাদেশ পৃথিবীর ৪২তম অর্থনীতির দেশ)
১. আমাদের পঙ্গপালের সংখ্যাঃ ১৬.০৮ কোটি।
২. উহা বৃদ্ধির হারঃ ১.৩৭%
৩. সাক্ষরতার হারঃ ৭১%
৪. পটল ক্ষেতে যাবার গড় বয়সঃ ৭১.৬ বছর
৫. মাথাপিছু আয়ঃ ১৭৫২$(১,৪৫,৪১৬৳) [যেখানে, ১$ = ৮৩৳]
৬. মাথাপিছু GDP= ১৬৭৭$
৭. GDP প্রবৃদ্ধির হার= ৭.৬৫%
৮. মূল্যস্ফীতি= ৫.৮৩%(জুলাই১৭- এপ্রিল ১৮)
★ কুইজঃ
১। বলুন দেখি? এখানে সরকারের ঘাপলাটা কোথায়??
২। নিচের চিত্র থেকে কী বুঝলেন??
চলুন দেখি, আমাদের মাটির ব্যাঙ্কে কত কি জমলো??
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন (৩ হাজার ৩০০ কোটি ডলার) মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। যা দক্ষিন এশিয়ায় ২য়।। দেশের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ রিজার্ভ। এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ৯ মাসের আমাদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।(৩-৪ মাস হলেই সেফ জোনে থাকে)
বি. দ্রঃ রপ্তানী আয় ও রেমিট্যান্স আয় থেকে রিজার্ভ জমে।
গরীবের কেনাকাটার(আমদানি রপ্তানির) হালচালঃ
আমাদের দেশে বিরাট বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য মোতাবেক ২০১৭-১৮অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বেরে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৬৩ কোটি ডলারে। যা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৪৫১ কোটি ১০ লাখ ডলার। এতে দেখা যাচ্ছে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৯১.২৬ শতাংশ বেড়েছে। তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এ সময় আমদানি ব্যয় বেড়েছে ২৬ শতাংশ এবং অন্যদিকে রপ্তানিআয় বেড়েছে মাত্র ৭.৭৮ শতাংশ।
আরেকটি কথা, একই আয়ের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের সামাজিক সেবার মান অনেক কম। এর ভেতরে অনেক কথা, ওসব টাইপ করা মুড নাই।।
আচ্ছা?
আমাদের মাটির ব্যাঙ্ক থেকে যে কয়েন চুরি হল(রিজার্ভ চুরি) তার খবর কী??
উৎসর্গঃ যারা বিদেশ থেকে কয়েন পাঠায়(আমার কয়েক জন আত্মীয় সহ সকল প্রবাসীদের।)
পুনশ্চঃ প্রতিউত্তরে দেরী হইবে........
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩৫