somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল
পাঠক ছিলাম, লেখক হলাম। পড়ব বেশী, লিখব কম। পছন্দের বিষয় প্রকৃতি, জীবন ও দর্শন। ভালোলাগে প্রবন্ধ ও সম্পাদকীয়। প্রতীক্ষায় আছি একদল বিচক্ষণ লেখকের। যারা সমাজের সমস্যাগুলো বুঝবে, তা নিয়ে ভাববে ও লিখবে। যে লেখায় মানুষ হবে সচেতন, দেশের হবে উন্নয়ন।।জয় বাংলা।।

“ভিতরে ইঁদুর রেখে বাইরে মাটি দিলে, সমস্যার সমাধান হবে না।”

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শিরোনামের উক্তিটি বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের। ওটা আমার পছন্দের উক্তি। আমরা জানি, "দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে"। তবে সমস্যা হল, আমাদের দেশের মহাসড়কের অবস্থা বেহাল। প্রতিবছর নিয়মিতভাবে পিচ উঠে যাচ্ছে, দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে, দুর্নীতির কথা না হয় বাদই রাখলাম।(স্বাধীনতার পর দেশে রাস্তা তৈরীর কাজে যে পরিমান বরাদ্দ হয়েছে, রাস্তাগুলো সোনা দিয়ে মুড়ে দেয়া যেত।) সুতরাং মহাসড়কে লম্ফঝম্প না করে, ঠান্ডা মাথায় গাড়ি চালাতে হবে। গাড়ির ও চালকের লাইসেন্স থাকাটাও বাধ্যতামূলক। তবে ক্ষমতা/পাওয়া থাকলে, আপনি উল্টোপথেও ভাঙা গাড়ি চালাতে পারেন। জানেনই তো মগের মুল্লুকে অনেক কিছুই সম্ভব/জায়েজ।।

পোস্টটি ১৫ই আগষ্ট দিতে চেয়েছিলাম। সেদিন শেখ সাহেবকে নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট আসায় দেয়া হয় নি। ইচ্ছে ছিল লীগের নেতাদের একটু ঝাড়ব। স্পেশালি আমার ক্যাম্পাসের কিছু ছাত্রনেতা ও পাতি নেতাদের(কয়েকদিন আগে ওদের দু'গ্রুপে কামড়া কামড়ি লেগেছি। ওদের একজন ব্লগেও আছে)। হোস্টেলে ওদের পছন্দের স্লোগান ছিল "জ্বালোরে জ্বালো আগুন জ্বালো"।(ফান করে আমি যেটা প্রায়ই বলে থাকি)। ২০১৮ সালে এসে, এখনো যদি ৭০ দশকের মত জ্বালাও পোড়াও করার কথা বলতে হয়! তবে ভাবার বিষয়, আমরা আগালাম কতটুকু?

আরেকটি কথা হল, যে কোন সময় শুধু ৭ই মার্চের ভাষনই বাজানো। এ ভাষন আমার মুখস্ত, শুনতে দারুন লাগে। এটা বাজবে বাজাক, ভালো কথা। কিন্তু অন্যগুলো বাদ কেন? মানে ১৯৭২এর ২৬মার্চের টা, বাকশালের টা(১৯৭৫) কিংবা অন্যসব! আমার তো মনে হয়, দেশ গঠনের জন্য এসব ভাষনই এখন বেশী প্রয়োজন। (আমার কাছে বেশ কয়টা ভাষন আছে। দারুন!)
মাঝে মধ্যে ভাবি, লীগের নেতারা চলছে কোন পথে? সেটি কি আসলেই বঙ্গবন্ধুর পথ? আচ্ছা, আমরা(তথা কথিত মুজিব সৈনিক) কি শেখ মুজিবের আদর্শ বুঝি? মানি?/কাজে লাগাই? নাকি সব লোক দেখানো?? (এখান শুধু লীগ নিয়ে কথা বলা হল। দল, জাশি, জাপা দুরে গিয়ে মরুক।)

উপরের প্রশ্নগুলোর উত্তর আমাদের জানা। জানা না থাকলে মাথা খাটিয়ে নীচ থেকে বের করুন। আমরা আজ কোন পথে...
★★★ বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় কিছু উক্তিঃ
১. অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোন দিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশ সেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।

২. এ স্বাধীনতা আমার ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি আমার বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত না খায়। এই স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি বাংলার মা-বোনেরা কাপড় না পায়। এ স্বাধীনতা আমার পূর্ণ হবে না যদি এদেশের মানুষ যারা আমার যুবক শ্রেণী আছে তারা চাকরি না পায় বা কাজ না পায়।

৩. যিনি যেখানে রয়েছেন, তিনি সেখানে আপন কর্তব্য পালন করলে দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে না।
৪. সমস্ত সরকারী কর্মচারীকেই আমি অনুরোধ করি, যাদের অর্থে আমাদের সংসার চলে তাদের সেবা করুন।
৫. যখন তুমি কোন ভদ্রলোকের সাথে খেলবে তখন তোমাকে ভদ্রলোক হতে হবে, যখন তুমি কোন বেজন্মার সাথে খেলবে তখন অবশ্যই তোমাকে তার চাইতে বড় বেজন্মা হতে হবে। নচেত পরাজয় নিশ্চিত। (এটা আমি ব্লগে কাজে লাগাই);)


★★★ তাজউদ্দীন আহমদের কিছু উক্তিঃ
১. “লেখাপড়া জানতে হয় নিজের বিবেককে শান দেওয়ার জন্যে। শিক্ষার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র চাকরি নয়। শিক্ষা দিয়ে বিবেককে উন্নত করা- এই ব্রত নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।”
২. “বক্তৃতা কমাতে হবে। এখন ভেবে দেখতে হবে বক্তৃতায় যা বলা হয়েছে তা করা হয়েছে কিনা।”
৩. “শুধু বড় বড় কথা বলে এবং অপরের কাঁধে দোষ চাপিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না।”
৪. “আমি দেশের জন্য এমনভাবে কাজ করবো যেন দেশের ইতিহাস লেখার সময় সবাই এদেশটাকেই খুঁজে পায়, কিন্তু আমাকে হারিয়ে ফেলে…”

উক্তিগুলো একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মূল মন্ত্র হওয়ার যোগ্যতা রাখে। নেতারা যে কবে এসব বুঝবে...
এসব উক্তি একটা সাইট থেকে কপি করা। বিস্তারিত জানতে পড়ুন:
১। বঙ্গবন্ধুর অবিস্মরণীয় ২০ উক্তি।
২। তাজউদ্দীন আহমদের কিছু অসাধারণ উক্তি


উপসংহারঃ
প্রথমে মহাসড়ক নিয়ে প্যাচাল পাড়লেও পোস্টটা আসলে রাজনীতির সড়ক নিয়ে লেখা। স্বাধীনতার ৪৭বছর পরে এসে রাজনৈতিক পাওয়া, না পাওয়ার হিসেব মেলাতে পারছি না। হ্যাঁ অনেক কিছু পেয়েছি। গ্রামে গ্রামে ফ্রিজ, টিভি, ডিস, সোলার। শহরে তো আছেই।
তবে বড় কয়েকটা এখনো পাই নি: জাতীয় ঐক্য, দক্ষ প্রশাসন, সুস্থ রাজনীতি।
মাঝেমধ্যে কেন জানি থমকে দাঁড়াই; কৃষকের কষ্ট দেখে, হাতাশাগ্রস্ত বেকার যুবকটাকে দেখে, শিশুর হাসিমাখা মুখ দেখে, সুকান্তের সেই কবিতাটি পড়ে কিংবা জাতীয় সংগীত শুনে। আচ্ছা, সোনার বাংলাকে আমি কি সত্যিই ভালোবাসি? (আজ পোস্টের ভূমিকা যখন লেখা শুরু করি, পাশের স্কুলে সত্যিই জাতীয় সংগীত হচ্ছিল, "আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি...")




(মন্তব্যে গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য।)
জয় বাংলা।


.


[ফ্লাডিং-এর কারণে পোস্টে মন্তব্য সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে। :(]
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:১৩
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×