মিয়ানমার সেনাবাহিনী, এগুলি আসলে সেনাবাহিনী না, মাথামোটা জল্লাদ। কিছু না পারুক মানুষ মারতে পারদর্শী। চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এরা উল্টা পাল্টা বক্তব্য, আচার-আচরণ করেই যাচ্ছে তবে আশার কথা হচ্ছে সারাবিশ্ব তাদেরকে খুবই চাপে রেখেছে। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে তারা আরো উল্টা পাল্টা বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছে। সর্বশেষ বলেছে তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে "আসল সত্য" প্রকাশ করবে, সে সত্য বই আকারে বাজারে পাওয়া যাবে। তাদের সেনাবাহিনীর নিজস্ব প্রকাশনা থেকে একটা বই প্রকাশ করেছে। নাম দিয়েছে "মিয়ারমারের রাজনীতি ও সেনাবাহিনী"। বইটি প্রকাশ করার আগে জল্লাদ গুলি হোম ওয়ার্ক ভালো করে করেনি বুঝাই যাচ্ছে। বাকি বিশ্বের সবাইকে এরা নিজেদের মত মাথা মোটা ভাবছে!
বইটিতে জল্লাদ গুলি তিনটি ছবিই ভুয়া ছবি দিয়েছে। যে ছবিটি আমি পোস্টে দিয়েছি এই ছবিটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সাথে এমনভাবে জড়িত যে অধিকাংশ মানুষই এর সাথে পরিচিত। এই ছবিটি দিয়ে তারা লিখেছে ১৯৪১ সালে অনুপ্রবেশকারী বাঙ্গালীরা কিভাবে স্থানীদের হত্যা করছে তার কথা! আরেকটি ছবি দিয়েছে যেটা রুয়ান্ডায় সহিংসতার পর ১৯৯৬ সালে হুটু শরণার্থীদের দেশত্যাগের ছবি। তারা লিখেছে ব্রিটিশ আমলে বাঙ্গালীরা অবৈধভাবে মায়ানমার প্রবেশ করছে। মজার ব্যাপার হল মার্থা রিয়েলের সেই ছবিটি পুলিৎসার পুরস্কারের ওয়েবসাইটেও রয়েছে। তারা শুধু রঙ্গিন ছবিটাকে সাদাকালো করে দিয়েছে! তৃতীয় যে ছবিটি তারা ব্যবহার করেছে সেটা ২০১৫ সালে ইয়াঙ্গুন থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার ছবি। তারা আবার সে ছবি সাধাকালো করে লিখেছে বাঙ্গালীরা অনুপ্রবেশ করার সময় নাকি মিয়ানমার নৌবাহিনীর হাতে আটক হয়েছে!
বইটির মুখবন্ধে লেফটেন্যান্ট কর্নেল চিয়াও চিয়াও লিখেছেন, রাখাইনে ‘বাঙালিদের ইতিহাস প্রকাশ্যে আনতেই’ তারা ‘প্রামাণ্য ছবিসহ’ এই সংকলনটি প্রকাশ করেছে।
তার আরেকটি বই লিখা উচিত যার নাম হবে "আমার জন্মের ইতিহাস, প্রামাণ্য ছবিসহ"। যেখানে শুকুর বাচ্চার জন্মকালীন ছবি থাকবে সংযুক্তি হিসেবে!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০