জনপ্রিয় কবিতার কবি ও সাংবাদিক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ছিলেন একজন নিভৃতচারী মানুষ। তিনি একাধারে কবি, সাংবাদিক ও শিক্ষক ছিলেন। সাহিত্যচর্চা, সাংবাদিকতা ও শিক্ষকতা- এই তিন ক্ষেত্রেই তিনি দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের খ্যাতি মূলত নীতিকবি হিসেবে। তাঁর মতো আর কোনো কবি শুধু নীতিকবিতা লিখে এতখানি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি। বলতে গেলে এক্ষেত্রে তাঁর জনপ্রিয়তা ঈর্ষণীয়। উনিশ শতকের শেষ দশকে কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের সদ্ভাবশতক ব্যাপক সমাদৃত ছিল। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ছিলেন দেশ প্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার কবিতায় একদিকে নৈতিক মূল্যবোধ অন্যদিকে দেশ প্রেমের চমৎকার সমন্বয় ঘটেছে। তাঁর লেখনির প্রধান বিষয়বস্তু ছিল দেশপ্রেম ও মানবপ্রেম। তাঁর প্রথম ও শ্রেষ্ঠ কাব্য গ্রন্থ "সদ্ভাবশতক" ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে। বইটির অধিকাংশ কবিতা নীতিমূলক। নীতি ও উপদেশমুলক এ কাব্যগ্রন্থ পারস্য কবি হাফিজ ও শেখ সাদীর কবিতার কাব্যাদর্শে রচিত। বাংলাদেশে সাংবাদিকতার সূচনা পর্বে কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের ভূমিকা গুরুত্বের সাথে বিবেচনার দাবি রাখে। তিনি ঢাকার প্রথম সাহিত্যপত্র মাসিক কবিতা কুসুমাবলী বা কুসুমাঞ্জলি, মাসিক মনোরঞ্জিকা, সাপ্তাহিক বিজ্ঞাপনী এবং সাপ্তাহিক ঢাকাপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তার কাব্য গ্রন্থ ‘সদ্ভাবশতক’ শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তার এই অসামান্যতাকে আজ আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি। নীতি কাব্যের কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের আজ ১০৯তম মৃত্যুৃবার্ষিকী। ১৯০৭ সালের ১৩ জানুয়ারি মস্তিষ্ক বিকৃত অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।মানবপ্রেমী কবি ও সাংবাদিক কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের ১০৯তম মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি। বিস্তারতি জানতে ক্লিক করুন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১১