somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অষ্টাদশ শতকের জগদ্বিখ্যাত ফরাসি দার্শনিক, লেখক ও প্রাবন্ধিক ভলতেয়ারের ৩২৪তম জন্মবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা

২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ফরাসি আলোকময় যুগের অন্যতম সেরা প্রতিভা জগদ্বিখ্যাত ফরাসি লেখক, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক ফ্রাঙ্কো ম্যারিক এ্যারোয়েট ভলতেয়ার। যিনি ছদ্মনাম ভলতেয়ার (Voltaire) নামেই বেশি পরিচিত। মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা উঠলে তাই ভলতেয়ারকে আমাদের স্মরণে রাখতেই হবে। মানুষকে অন্যায়ভাবে শাস্তি দেয়ার কঠোর সমালোচক ছিলেন তিনি। তার কথায় একজন নিরপরাধ মানুষকে বাঁচাতে যদি একজন অপরাধীকে মুক্ত করতে হয় তাহলে সেটা করাই শ্রেয়। মৃত্যুর দুই মাস আগে মানুষকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন যে, আমি আমার শত্রুকে ঘৃণা না করেই মৃত্যুবরণ করব। মত প্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিকের অধিকার, রাষ্ট্র থেকে চার্চের পৃথকীকরণ প্রভৃতি বিষয়ের পক্ষে তিনি কথা বলেছেন। তার চিন্তা ফরাসি এবং আমেরিকান বিপ্লবকে প্রভাবিত করেছিল। সাহিত্যের প্রায় সর্বত্র সদম্ভ বিচরণ ছিল ভলতেয়ারের। বাকচাতুর্য ও দার্শনিক ছলাকলার জন্য তিনি বিখ্যাত ছিলেন। ব্যঙ্গ কবিতা রচনার মাধ্যমেই ভলতেয়ার সাহিত্যজগতে আত্মপ্রকাশ করেন। খ্রিস্টান গির্জা ও তৎকালীন ফরাসি সামাজিক আচার ছিল তার ব্যঙ্গবিদ্রুপের লক্ষ্য। ভলতেয়ার তার সাহিত্যজীবনে সর্বোচ্চ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন একজন গদ্যলেখক হিসেবে। ভলতেয়ারের সাহিত্যকর্মের মধ্যে দু’ হাজার গ্রন্থ এবং ২০ হাজার চিঠি রয়েছে। তিনি আজ পর্যন্ত স্মরনীয় হয়ে আছেন বিশ্বের একজন শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক পরিচয়েও। ১৬৯৪ সালের আজকের দিনে তিনি প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। আজ তার ৩২৪তম জন্মবার্ষিকী। জগদ্বিখ্যাত ফরাসি লেখক, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্মবার্ষিকীতে ফুলেল শুভেচ্ছা।


ভলতেয়ার ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দের ২১ নভেম্বর প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন। ভলতেয়ারের আসল নাম ফ্রাঙ্কো ম্যারিক এ্যারোয়েট। একসময় এ্যারোয়েট অজ্ঞাত কারনে ভলতেয়ার নাম গ্রহন করেন। ভলতেয়ারের বাবা ফ্রাঁসোয়া আরুরে ছিলেন নোটারি ও সরকারের ট্রেজারি দফতরের এক সাধারণ কর্মকর্তা। মা মার্গারেট দোমার। তাদের ৫ সন্তানের মধ্যে ভলতেয়ার ছিলেন সর্বকনিষ্ঠতম। ১৭০৪-১১ সাল পর্যন্ত ভলতেয়ার কলেজ লুই ল্য গ্রঁ নামক বিদ্যালয়ে জেস্যুট পাদ্রিদের কাছে পড়াশোনা করেন। এখানেই ল্যাতিন ও গ্রিক ভাষা শেখেন। পরবর্তী জীবনে ভলতেয়ার ইতালীয়, স্পেনীয় ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা অর্জন করেন। নাগরিক স্বাধীনতা, বিশেষত ধর্মের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের পক্ষে তার অবস্থান ছিল অটল। সে সময় ফ্রান্সের কঠোর সেন্সর আইন উপেক্ষা করে সামাজিক সংস্কারের অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন ভলতেয়ার। স্বৈরাচার, গীর্জা তথা খৃষ্টধর্মকে তিনি ফ্রান্সের সার্বিক বিকাশে বাধা হিসাবে দেখতেন এবং সে কারনেই তার রচনাবলী স্বদেশে নির্মমভাবে সমালোচিত হয়েছিল। কিছু কিছু সমালোচনায় তিনি নিজেও মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়ে বিদ্রুপ করেছিলেন আপাদ-মস্তক। তবে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল গীর্জার ভন্ডামি, মুর্খতাকে জনসন্মুখে তুলে ধরা। তিনি ঘৃনা করতেন মানুষের অজ্ঞতা, মূর্খতা, বাটপারি, অন্যায়-অবিচার, উৎপীড়নকারী স্বভাবকে। সে কারনেই তিনি বলেছেন যেখানে "অজ্ঞতা যত বেশী" সেখানে "অসহিষ্ণুতা এবং নিষ্ঠুরতা তত বেশী"....এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের চিন্তাশক্তি বিকশিত না হওয়ার কারনেই সমাজে এইসব অন্যায় ঘটে থাকে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রের ধর্মীয় অসহিষ্ণুতাকে নিজের লেখায় আক্রমণ করেন তিনি। ফলে রাষ্ট্রের রোষানলে পরে কারাবরণ এবং অবরোধের কবলে পড়েন। ১৭১৫ সালে এক অভিজাতকে বিদ্রূপ করায় তুলে'তে নির্বাসনে পাঠানো হয় তাকে। ১৭১৭ সালে আবার তিনি প্যারিসে ফিরে আসেন। এবার কবিতা লেখার দায়ে বাস্তিলে তাকে এক বছর কারাবরণ করতে হয়।


ভলতেয়ার বলতেন, শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞরাই অশুভ শক্তির পরিণতি সম্বন্ধে জানলে চলবে না, তাঁদের জানাতে হবে দেশের তরুনদের। তবেই তারা যথাযথ উদ্যোগ নিয়ে একে প্রতিহত করতে পারবে। ভলতেয়ার কারা অন্তরীন অবস্থায় মাত্র এগারো মাসে “হেনরিয়ের্ডে” নামে একটা মহাকাব্য রচনা করেন। কাব্যগ্রন্থটি পরর্বতীকালে তাঁকে প্রভূত খ্যাতি এনে দিয়েছিল। তাঁকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিদের মধ্যে অন্যতম বিবেচনা করা হয়। ১৭১৮ সালে ভলতেয়ার রচনা করেন ’ওয়েডিপে’ নামক এক ট্রাজিক নাটক। অষ্টাদশ শতাব্দীতে ফ্রান্সের বিদগ্ধ সমাজ এই অসাধারন কবিকে হোমার এবং ভার্জিলের সমকক্ষ বলে অভিনন্দিত করেছেন। তিনি সভ্যতার অগ্রগতির সহযোগী এবং মানবতাবাদী ছিলেন। ধারণা করা হয় ১৭২০ সালের দিকে জীবিকা অন্বেষণের জন্য তিনি ফ্রান্স ছেড়ে ইংল্যান্ডে যান। ভলতেয়ার যখন ইংল্যান্ড যান তখন তিনি ছিলেন আত্মীয় পরিচনহীন একজন অখ্যাত ও অপরিচিত কবি। তবে একথাও সত্যি যে ভলতেয়ারের মতো লেখক দার্শনিক সে সময় ইংল্যান্ডে খুব একটা ছিল না। ব্রিটেনে অবস্থানকালে নানা কৌশলে তিনি অভিজাত মহলের সুনজরে আসার চেষ্টা করেন এবং এতে তিনে ভালোভাবই সক্ষম হয়েছেন। একসময় ব্রিটিশ রাজ্যের রাণী ক্যারোলিনকে উদ্দেশ্য করে একটি কবিতা উৎসর্গ করে এই লেখক ব্রিটিশ রাজ পরিবারের পক্ষথেকে ২শ পাউন্ড ভাতা পেতেন। একারণে ভলতেয়ারকে অনেকে সুবিধাবাদী বলেও অভিহিত করেন। ব্রিটেনে অবস্থানকালে নানা কৌশলে অভিজাত মহলের সুনজরে আসার চেষ্টা করেছেন তিনি। এতে তিনি জাগতিক সুবিধা আদায়ে ভালোভাবেই সক্ষম হয়েছেন। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষাবিদ এমন দাবিই করছেন। ভলতেয়ারের জীবদ্দশায় লেখা বেশ কিছু ইংরেজি লেখনিতে এমন ইঙ্গিতই রয়েছে বলে তাদের দাবি। সম্প্রতি এই লেখাগুলো প্রকাশ করেছেন তিনি। তৎকালীন ইংল্যান্ডের মূলধারায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভলতেয়ার নিজের নামের উচ্চারণও বদলে ব্রিটিশ করে ফেলেন। ফরাসি নামের প্রথম অংশ ‘ফ্রাঁসোয়া’ ইংরেজি ঢংয়ে করে ফেলেন ‘ফ্রান্সিস’। এসব কারণে ভলতেয়ারের লেখার গবেষক প্রফেসর নিকোলাস ক্রোংক মনে করেন, ইংল্যান্ডে অবস্থানের সময় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ভলতেয়ার যারপরনাই সুবিধাবাদী হয়ে উঠেছিলেন।


সাহিত্যের প্রায় সর্বত্র সদম্ভ বিচরণ ছিল ভলতেয়ারের। তাঁর সাহিত্যকর্মের মধ্যে দুই হাজার গ্রন্থ এবং ২০ হাজার চিঠি রয়েছে। ভলতেয়ারের লেখনীকে প্রধানত চার ভাগে বিভক্ত করা হয়- কবিতা, নাটক, ঐতিহাসিক কাজ এবং দার্শনিক লেখা। তার সবচেয়ে বিখ্যাত দুটি মহাকাব্যিক কবিতা হলো হেনরিয়াদে (১৭২৩) এবং মেইড অব অরলিন্স। মেইড অব অরলিন্স অবশ্য তিনি শেষ করে যাননি। ভলতেয়ারের বিখ্যাত নাটকের মধ্যে আছে ট্র্যাজেডি ওয়েদিপাস। ১৭১৮ সালে নাটকটি প্রথম প্রদর্শিত হয়। তার বিখ্যাত নাটকগুলোর মধ্যে আরও আছে মারিয়ামনে, নানাইন প্রভৃতি। 'এসে অন কাস্টমস অ্যান্ড দ্য স্পিরিট অব নেশনস' গ্রন্থে সামাজিক ইতিহাস এবং শিল্পকে সামনে রেখে ভলতেয়ার বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতিকে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ণনা করেছেন। ভলতেয়ার সাহিত্যকে দার্শনিক বর্ণনায় অনবদ্যভাবে ব্যবহার করেছেন। তার দার্শনিক চিন্তার প্রকাশ ঘটেছে বিখ্যাত বিদ্রূপ উপন্যাস 'কাঁদিদ' এ। এছাড়া তার আরও কিছু দার্শনিক কাজ ছোটগল্পের রূপ নিয়েছে; যেমন- মাইক্রোমেগাস এবং প্লেটোস ড্রিম। ১৭৬৪ সালে ভলতেয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক গ্রন্থ প্রকাশ করেন। এ গ্রন্থে বর্ণক্রমে ভলতেয়ার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর তার দার্শনিক চিন্তাকে উপস্থাপন করেছেন। এসব বিষয়ের মধ্যে আছে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভাষা, আইন, প্রকৃতি, বিশ্বাস প্রভৃতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ক্যাথলিক চার্চের বিভিন্ন বিষয়ের সমালোচনা এ গ্রন্থের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় ভলতেয়ারের বিখ্যাত প্রবন্ধগুচ্ছ 'লেটারস অন দ্য ইংলিশ নেশন'। এ রচনায় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন নীতির ক্ষেত্রে ইংরেজদের তিনি ফরাসি রাজতন্ত্রের চেয়ে উন্নত বলে মত দেন। স্বভাবতই এতে ফরাসি রাষ্ট্রকর্তারা ক্ষিপ্ত হন। ফলে প্যারিসের কাছে লোরইন অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন এবং পরবর্তী ১৫ বছর তিনি সেখানেই ছিলেন। এ সময় ভলতেয়ারের সঙ্গে এক বিদুষী বিবাহিত নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই নারী ছিলেন এমিলে দু শাতেলেট। এমিলে ছিলেন সে যুগের একজন বিশিষ্ট গণিতবিদ। আইজ্যাক নিউটনের প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা অনুবাদ এবং সেটির ওপর আলোচনা করেছিলেন তিনি। ভলতেয়ার এবং এমিলে মিলে প্রায় ২১ হাজার বই সংগ্রহ করেছিলেন। ধারণা করা হয় নিউটনের ওপর ভলতেয়ারের লেখা ইলিমেন্টস অব নিউটনস ফিলসফি গ্রন্থের সহ-লেখক ছিলেন এমিলে। ১৭৭৮ সাল নাগাদ ফরাসিরা ভলতেয়ারের চিন্তাকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করে। অষ্টাদশ শতকের কবি ও দার্শনিক ভলতেয়ার ১৭৭৮ সালের ৩০শে মে মৃত্যুবরন করেন। আজ তাঁর ৩২৪তম জন্মবার্ষিকী। জগদ্বিখ্যাত ফরাসি লেখক, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক ভলতেয়ারের জন্মদিনে তাঁর প্রতি আমাদের ফুলেল শুভেচ্ছা।

নূর মোহাম্মদ নূরু
গণমাধ্যমকর্মী
[email protected]
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৩
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×