somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরাশক্তির পথে বাংলাদেশ -১ (ইহা কোন ফান পুষ্ট নহে)

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৩:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ত্থান আর পতন এ নিয়েই যেন বিশ্বের রাজনীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। হাজার বছর আগের প্রবল পরাক্রমশালী রোমান সম্রাট কি ভেবেছিলেন যে তার সম্রাজ্য ভেঙ্গে খান-খান হয়ে যাবে? অথবা কয়েকশত বছর আগেও কি মার্কিনিরা বুঝেছিলো তারা বর্তমান বিশ্বে নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করবে? না, ভাবেনি। ভাবেনি সেই জাপানি জেলে পরিবারটি বা কোরিয়ান কৃষকটি,এই মাত্র কয়েক দশকের ব্যাবধানে তাদের পৌত্রগণ বিশ্ব অর্থনীতির একাংশ নিয়ন্ত্রন করবে। হয়তো সেই একই স্বপ্ন এখন ভিয়েতনামিজ দোকানদার বা চীনা রাখালটি দেখছে। দেখছে হয়তো ভারতীয় সেই চা বিক্রেতাও। তারা যদি স্বপ্ন দেখতে পারে, আমরা কেন পারবোনা? অবশ্যই পারবো, পারতেই হবে আমাদের। কিন্তু এজন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন।তা কিভাবে হতে পারে? এজন্য চাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, সামরিক শক্তি ও দেশপ্রেম।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাঃ প্রথমত আমাদের যাহা প্রয়োজন তাহা হইল একটি স্থিতিশীল সরকার ও পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়ন। বর্তমান তথাকথিত এই শুভঙ্করের ফাঁকিতে পূর্ণ গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে তাহা সম্ভব নয়। তাই আমাদের অতি দ্রুত একটা স্থিতিশীল সরকার গঠনের প্রয়াস চালাইতে হইবে। যেই সরকার কিনা উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অতি দ্রুত করিতে পারে আর তরুন প্রজন্মের পূর্ণ আস্থা রহিয়াছে যেই সরকারের ওপর। সেইখানে থাকবেনা কোন দুর্নিতিবাজ আমলা অথবা ঘুষখোর কেরানী বা পুলিশ। আইন করা হইবে, যাহারা দুর্নিতি করিবে তাহাদের প্রকাশ্যে ফাঁসি ও সম্পত্তি বায়েজাপ্ত। ছাত্র রাজনীতি বলিয়া কিছুই থাকিবেনা। থাকিবে ছাত্রদের জন্য নির্বাচন কিন্তু তা কোন রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তি বিবর্জিত। সরকারের বিরোধীতাকারীদের ওপর দমন চালানো যাবেনা, উল্টা তাদের ভালো সুযোগ সুবিধা দিয়ে হাতে রাখা হবে। বুদ্ধিজীবিদের নির্দেশ দেয়া হবে সরকারের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্য (আশা করা যায় এধরনের চামচামীপূর্ণ কাজে বুদ্ধিজিবীরা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করিবেন)। দেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হইবে। পুলিশকে সেনাবাহিনীর সমতুল্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে যাতে তাহারা দুর্ণিতির প্রয়াস না পায়। এনএসআই-কে যুক্তরাস্ট্রের এফবিআই এর মতন করিয়া ঢালিয়া সাজানো হইবে ও প্রয়োজনে বিদেশে ট্রেনিং-এও পাঠাইতে হইবে। এনএসআই এর জন্য সেরা ও চৌকস তরুনদের নিয়োগ দেওয়া জরুরি ও তাহাদের রেগুলার মাসুদ-রানার বই ফ্রি পড়িতে দেয়া হইবে ;)। পূর্বের ঘুষখোর অফিসারগুলোকে সকলের সামনে কৌপিন পড়াইয়া সারাদেশে ম্যারাথন দেওয়ানো যাইতে পারে ও শৃংখলা ভঙ্গকারীদের ক্রসফায়ার! ডিজিএফআই কে সাজানো হইবে ইসরায়েলের মোসাদের মতন করিয়া (শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়ার সহজতম উপায় হইল তাদের কৌশল রপ্ত করা)।
এইবার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালায়কে ধরা হইবেক। পূর্বের সকল কূটনৈতিক গুলিকে দাওয়াত দেয়া হইবে বিশাল একটা কক্ষে। ইহারপর রুমে ব্যাঘ্র ছেড়ে দেয়া হইবে নাকি গুলি করিয়া হত্যা করা হইবে, সেইটা বিবেচনার ব্যাপার ;) !পররাষ্ট্র নীতির আমুল পরিবর্তন করা হইবে। এইক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আসিবার আগ পর্যন্ত সুবিধাবাদী অবস্থানে থাকাটাই শ্রেয়।সকলেই আমাদের বন্ধু, আমরা কাহারোই শত্রু নই। বিশেষত ভারতের সাথে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ (!) সম্পর্ক রাখা হইবে নিজেদের প্রয়োজনে আর ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ঢাবি হইতে ডক্টরেট ডিগ্রী দেয়ার ব্যবস্থা পাকা করা হইবেক (শয়তানি হাসির ইমো)।এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সেইন্টমার্টিন দ্বীপ নৌবন্দর ব্যাবহারের জন্য ইজাড়া দেয়া হইবেক। তাহাতে ভারত ও মিয়ানমারের সহিত সমুদ্রসীমা লইয়া কূটনৈতিক লড়াইও লোপ পাইবে আর বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের অলিখিত একক মালিকানা পাইবে। যাহারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি বিরোধীতা করিবে (বিশেষত হুজুর ও তথাকথিত বামপন্থি শ্রেনী) তাহাদের মার্কিন গ্রিন কার্ডের মুলা ঝুলাইয়া নিষ্ক্রান্ত করা হৈবে। তাহাতেও নিস্ক্রান্ত না হইলে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবার নাম করিয়া হেইতি ও বাহামায় নির্বাসন দেয়া হৈবে ;)
মৃতপ্রায় সার্ককে ধরিমাছ না ছুই পানির মতন এড়াইয়া গিয়া আসিয়ানের সাথে জোট বাধিতে হৈবে, ইউরো ও আমেরিকার মানবাধিকার সংগঠন গুলির নিকট দেশকে আরও গ্রহণযোগ্য করিয়া তুলিবার জন্য দেশে ধর্ম লইয়া বাড়াবাড়ি প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যাবস্থা করা হইবে। মুসলমানদের জন্য তাহাদের আইন-কানুন (মালয়শিয়ার মতন), হিন্দুদের জন্য হিন্দু আইন,বৌদ্ধ ও খৃস্টানদের জন্য নিজ-নিজ আইন প্রনয়ন করা হইবে। আর যাহারা এত ভেজালে না গিয়ে নাস্তিক থাকিতে চান, তাহাদের জন্য থাকিবে প্রচলিত আইন। অর্থাৎ কে কোন ধরনের আইন বাছিয়া লইবেন তাহা নিজেদের ওপরেই বর্তাইবে, রাষ্ট্রের তাহা লইয়া মাথা ব্যাথার কোন কারন নাই। ইহার পরেও দেশে কোন জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পাওয়া গেলে তাহাদের কঠোর হস্তে নির্মূল করা হইবে। এক্ষেত্রে এনএসআই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করিতে সক্ষম।
মোটকথা আগামী পাচবছরের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা চরম স্থিতিশীল করা হইবে আর এর পরেই পরবর্তি পদক্ষেপ হইবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি।
(পরবর্তি খন্ড শীঘ্রই আসিবে…...)
পরাশক্তির পথে বাংলাদেশ -২
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ দুপুর ১২:৫৯
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×