আমার এক বন্ধু আসে রকি । শিল্পপতির পোলা। বাপের আছে কাল বিজনেস । একুশে ফেব্রুয়ারীতে বাপের কাল টাকা দিয়া কেনা শাহরুকস্ এর লেটেস্ট কালেকশনের খাঁকি পাঞ্জাবি ছুইয়া দেখতে তার ঘেন্না হয় । বন্ধুটা আমার চরম মেধাবী । ভাল গিটার বাজায় । কিন্তু ইয়াবা অথবা স্টিক না খাইলে নাকি তার কন্সেন্ট্রেশনই নাকি বসে না । আল্লার কসম কাইটা কইতাসি বাপের টাকায় সে ইয়াবা কিন্না খায় না । প্রাইভেট পড়াইয়া আর আউট সোর্সিং কইরা সে টাকা রোজগার করে ।
খোদার কসম, বেস্বাবিদ্যালয়ের চত্তরে গণতন্ত্রের সন্তানদের কুকু্রের মত জোড়া লাগান হারাম হইলেও, বাইচা থাকার জন্যে পার্কের বেঞ্চ এ বইসা থাকা পতিতাদের অন্ধ অনুকরন কইরা শিক্ষকদের রাজনীতির নামে ধান্দাবাজি ১০০% হালাল সাবানের মত পবিত্র ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলা যেন এক একটা চর । মহাজন অর্ডার দেয় । আর লাঠিয়াল চর দখল করে । মহাজন কিন্তু সেই চরের একছত্র অধিপতি । লাঠিয়াল সুধুই স্বপ্ন দেইখা যায় । চাদাঁবাজীই পরিবারে অযাচিত যে যুবকের জীবিকা, অদৃশ্য হাতের ঈশারায় যে যুবকের স্বপ্নগুলো হয় পরাজিত, বর্নহীন; দৈনিক ইচ্ছার মধ্যহ্ন প্রদাহে জলন্ত মধ্যবিত্ত ।
স্যুটেড ব্যুটেড আহাম্মক কিছু হিজড়া থাকে...বাস্তব উদাহরন চাইলে আমি বলবো আপনার আশেপাশের যেকোন কাস্টমার কেয়ার এ (চাষাভূষা মূর্খদের বুড় আঙুল দেখান যাদের কাজ) নেত্রদ্বয় অভিক্ষেপ করুন । অথবা চেয়ে দেখুন মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানিতে সদ্য যোগদানকারী এক্সিকিউটিভ টির দিকে । দেখতে পারেন সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মান ধনী বাবা মায়ের আদরের বেসরকারিতে পড়া পাজের হাকান দুলালের দিকে । এ রকম আরও রক্ত মাংসের দৃষ্টান্ত আপনি চাইলে আমি হাজির করতে পারি । সেন্টের শিশি উপুড় করে নিজেকে সুরভীমন্ডিত করে তোলার চেষ্টা করে । চমতকার তাদের দেঁতো হাসি । প্রতি স্ প্তাহে যাদের ফেসিয়াল বা আমার অজানা নামের অই সব কিছু ঘসা মাজা করতে হয় । কন্যা রাসি টাইপের ধোপদূরস্থরা ময়ুরপুচ্ছ ধারন করে শিকার করে হরিনের মাংস। আর হরিন গুলও এরা পুতূল এর মত অভিব্যাক্তিহীন । পাথিব সুখের আশা যারা বিলিয়ে দিচ্ছে জ্যামিতি ।
মধ্যবয়স্ক গয়নাদার,ওজনদার মহিলারা বিয়ের অনুষ্ঠান এ কাষ্ঠহাসি হেসে,মুরগীর ঠ্যাং চিবিয়ে চলে আসে । বিয়ের অনুষ্ঠানে মধ্যমনি হয়ে ডিমে তা দেয়ার ভঙ্গিতে বসে থাকা কনেরা । মৃত ব্যক্তির চল্লিশা উপলক্ষে উদযাপিত অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে অনেকে তেহারির প্যাকেট সাবাড় করে সামাজিকতা রক্ষা করে ।( আই অংশ টুকু হাসান মাহবুব ভাই এর থেকে কপি করা । রেফঃ উৎসব(গল্প) )
আল্লার কসম কাইটা কইতাসি, মেথরপট্টির শুয়োরেরা ঠিক যে অধিকারে ট্যাক্স ফ্রি গু খায়, ঠিক সেই অধিকারেই সাহেব-বিবি-গোলাম আর পেঙ্গুইন মারকা কার্টুন গুলো ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি চালাইয়া যায় এবং সে গাড়ি রাস্তা অতিক্রমের সময় ঘুষ খোর ট্রাফিক পুলিশ যানজট সৃষ্টি করিয়া তাহাদের পথ সুগম করে ।
নির্বাচন টাকার খেলা । কোটি টাকার মনোনয়ন । কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচিত হওয়া । পাচ বছরের বিনিয়োগ । রাস্ট্রকে গিলে খাওয়ার লাইসেন্স অর্জনের মঞ্চস্থ নাটক । গনতন্ত্র হয়েছে সাংবিধানিক মাস্তানতন্ত্র । জনগন একটা বিমর্ত ধারনা, আর্মড ক্যাডার বেস্টিত গনতন্ত্রের বিজ্ঞাপন । দেশের পলাশির প্রান্তর সংসদ ভবন যেখানে বিশ্বাসঘাতকরা মঞ্চস্থ করে প্রহসন । সাংসদরা হচ্ছেন উচ্চবিত্ত ব্যাবসায়ী্, সামাজিক উচ্চমর্যাদাবান বাজনৈতিক, আইন তৈরিকারক, কর ফাকি দানকারী, আর বড় বড় কোম্পানির কমিশন ভোগকারী । আইনের শাষনের ব্রিফকেসে যাদের থাকে কালো টাকা আর যাদের সুযোগ্য সন্তানরা গ্রহন করে ইয়াবা ।
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়া অনেকেই এখন সুধু লেবু চিপে, nonstop মনস্তাত্বিক এবং দলীয় ধর্ষণে বেচারা মুক্তিযুদ্দের চেতনা মূমুর্ষু প্রায় । বেচারা স্বাধীনতার চেতনাকে একটু রেহাই দিন অনুগ্রহ করে ।
সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে মিটিং-মিছিলে মৌন শ্রদ্ধার ভানে, দেশপ্রেমিকরা হাজির হয় বাঙ্গালীত্বের জাহিরে । বুদ্ধিজীবি আমলা আর বুর্জোয়াদের শ্রেণীটা ধনিক, তারাই কিন্ত দখল করছে একুশে পদক । ক্ষমতা নামেত শিল্পকারখানায় শিক্ষিত মুর্খরা হল সস্তা কাচামাল । বিশ্বব্যাঙ্ক চালচ্ছে ভাগ্যের চাকা, আর দেধারসে চলছে চুরি বাটপারি । বাড়ছে ঋণ খেলাপি । ঝড় বন্না আসে । কিন্তু কোন গুদামে কি ঢুকে আমরা তার কিছুই দেখি না ।
সভ্যতার মৌন মূখশের মিথ্যা আবরন, শ্রদ্ধার ভারে নুব্জ, বাঙ্গালীত্বের অপমান, চুরি করা ফুল নিয়া যাই মোরা সৌধে বছরে একদিন, শব্দ গেরিলাদের স্মৃতি তাই আজ বাতাসে উন্মুক্ত সোডিয়াম । চার সন্তানের জননী প্রাথর্নারতা শ্বেত মর্মর মা, সেখানে সশস্র গার্ড অব অনার আর তোরন দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় রাজাকার মইত্যা ।
আমি যা লেখছি তা সম্পুর্ন ফিকশিয়াস নয়, এসব extreme reality অথবা All that i am talking is the residue of pleasure of urine. অনেক চরিত্র, ঘটনা, স্থান, বা কালের সাথে এর মিল খুজে পেলে পেতে পারেন । If any one of you get harassed, please, don’t feel shy to stand on my chair and piss on my head and my clothes without my consent. অথবা মাকসুদের মত বলব আমায় দেশদ্রোহী বলুন অথবা আমি প্যারানয়ড, সাইকো । আমি আমার মৃত্যদন্ড চাই । I promise, জান কবজ করার আগে আজরাইল আমি তোরে দেইখা লমু ।
(ছবিটা এক ফ্রেন্ড এর পিসি তে পাইছি)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



