কেন যেন এখন আর আগের মতো চরম তৃপ্তিদায়ক মনে হয় না। একটি কাজ করছি যেন মনে হয়। কাজ শেষে ক্লান্তি আসে। তৃপ্তি আসে না। কবে থেকে এমন হচ্ছে? এক বছর, নাকি আরও বেশি? পাশে ফারিয়া শুয়ে আছে। ঘুমাচ্ছে। এই নিয়ে আজ কতবার করলাম ওর সাথে। বিশ ত্রিশ বার হবে মনে হয়। পরিচয় হয়েছিলো মনে হয় ছয় মাস আগে,ফেসবুকে ফলোয়ার ছিল আমার। আমিই প্রথমে ফোন করেছিলাম তাকে। প্রথম ফোনেই মেয়েটা অনেক গলে গলে পরছিল।
“আমি আপনার ফেসবুক ফলোয়ার ছিলাম অনেক দিন। আপনি আমার ফ্রেন্ড রিকুইস্ট একসেপ্ট করেন নি কেন এতো দিন”
“অনেক ফলোয়ার আছে, আপনাকে কখনও খেয়াল করি নি”
“আপনার কিন্তু অধিকাংশই নারী ফলোয়ার”
“নারী ভালো লাগে আমার”
কিছুক্ষণ নীরবতা। “আমিও নারী”
“তা আমি দু চোখ দিয়ে দেখতে চাই”
“আপনাকে আমার ভালো লাগে”
“আপনাকেও আমার ভালো লেগেছে”
সেই থেকে শুরু। প্রথমে শুধু গাড়িতেই ঘুরা হতো। গাড়ি একসময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বিল্ডিঙের বাহিরে এসে থামে।
বেশ ভালোই খেলতে পারে ফারিয়া। শরীরের প্রতিটি ভাজে যেন ওর আবেদন লুকিয়ে আছে। নিজেকে ফুটন্ত গোলাপের মতো খুব ধীরে ধীরে মেলে ধরেছে। আমি মাতাল হতে পছন্দ করি। ও আমাকে উন্নত মানের পানীয়র চেয়ে বেশি মাতাল করতো।
এখন আর মাতাল হই না। ক্লান্তি আর মুক্ত হওয়া ছাড়া তেমন কোন অনুভূতি পাই না।
ফোনটি বেজে উঠলো। পুনম ফোন করেছে। অনেকদিন হল ওর সাথে কোন দেখা নাই।
“বল”
“কি করো, কোথায় এখন?”
“ফারিয়ার সাথে”
ছোটোখাটো একটি তুফান বয়ে গেলো পুনমের উপর দিয়ে। তবে এ তুফান নতুন নয়। গত ছয় বছর ধরে এমন অসংখ্য তুফান ওর উপর দিয়ে প্রায় বয়ে যায়। প্রথম প্রথম সে একদম ভেঙে চুড়ে যেতো। প্রতিটি ঝড়ের আঘাতে সে ক্ষত বিক্ষত হয়ে দুমড়ে মুচড়ে যেতো। গলা কাটা গরুর মতো শুধু গোঙাত। আমি বুঝতে পারি প্রতিবারই যখন তাকে আমি নিত্য নতুন মেয়েদের কথা বলি, বর্ণনা করি কার সাথে কেমন করে করি, কে কেমন সুখ দিতে পারে বিছানায় , কার সাথে কতবার করেছি, সে নির্মম ভাবে নিস্তব্ধ হয়ে যায়। তার গলা থেকে এক ভয়ার্ত আর্তনাদ বের হয়ে আসতে চায়। আমার ভয়ে সে তার সব আর্তনাদ গিলে ফেলে। যদি আমি ওর আর্তনাদ শুনে ফোন রেখে দেই!
ওর এই নিস্তব্ধতা আমাকে কেন জানি ভেতরের কোথায় খুব নির্মম ভাবে আঘাত করে। আমার অসহ্য লাগে এই অনুভূতি। আমি কিছু না বলেই ফোন রেখে দেই।
ফারিয়াকে নিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে আসি। ওকে নামিয়ে দিয়ে আমি উদ্দেশ্যহীন ভাবে গাড়ি চালাতে থাকি। জ্যামে গাড়ি থামালাম। পাশে ফুটপাতে একটা মুচিকে আমি প্রায় দেখি। সারাদিনে তার কত আয় হয়? এই মুচির ব্যবসা দিয়েই কি সংসার চলে? তার কয়টা বউ আছে? যখনই দেখি তখনই তাকে খুব শান্ত, চিন্তাহীন, সুখি মনে হয়। হয়তো হাতে সিগারেট থাকবে নয়ত দাঁত খোঁচাবে । কপালে আমি চিন্তার কোন রেখাই দেখি না। এতো সুখি মনে হয় কেন? কি দেখেছে সে জীবনে, কি পেয়েছে সে জীবনে, কি করেছে সে জীবনে? কিছুই না। হাজারো অর্থহীন জন্মের মতো এই মুচিটার জন্ম অর্থহীন। লাখো অপ্রাপ্তি আর অপূর্ণতা নিয়ে নিঃশ্বাস ত্যাগ করার সারিতে তারও নাম থাকবে। তবে কেন তাকে এতো সুখি মনে হয়? কেন এই গরীব স্বাস্থ্যহীন নোংরা কাপড় পরিহিত লোকটিকে দেখলে আমি হিংসা অনুভব করি। সবই তো পেয়েছি আমি। অর্থ সম্পত্তি পরিচিতি আর অসংখ্য নারী। যখন যে নারীই আমার ভালো লেগেছে, আমি পেয়েছি তাকে। যার সাথে যতদিন থাকতে ইচ্ছে করেছে, থেকেছি। যখন ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করেছে ,ছেড়েছি। তবে আমি সুখি না কেন? কোথায় আমি অভাব বোধ করি? কেন মাঝে মাঝে নিঃসঙ্গ অনুভব করি? কেন মাঝে মাঝে আমি পাগলের মতো হাহাকার করি? কেন আমি সব মেয়েদের যখন খুশি তখন ছাড়তে পারি ,পুনমকে কেন আজও পারি নি? এই ছয় বছরে কতবার আমি তাকে দুড়দুড় করে তাড়িয়ে দিয়েছি। সে বার বার ফিরে আসে। আমিও তাকে আবার গ্রহণ করি। কিন্তু কেন তাকে আমি পুরোপুরি ভুলে যাই নি? এমন অনেক মেয়ে আছে যাদের নামও এখন আমি ভুলে গেছি। তবে কেন পুনমের নামটিই ভুলতে পারি নি।
এমন কোন গালি নেই যা ওকে আমি দেই নি। এমন কোন অপমান নেই যা ওকে আমি করি নি। মাগি খানকী বেশ্যা সব ... সব ধরণের অকথ্য ভাষায় তাকে অপমান করেছি। অহেতুক অন্য ছেলেদের সাথে ওকে জড়িয়ে সন্দেহ করি। সে উন্মাদের মতো অস্থির হয়ে আমাকে বুঝানোর চেষ্টা করে, কারো সাথে ওর কোন সম্পর্ক নেই। আমিও জানি অন্য কোন ছেলের প্রতি তার বিন্দুমাত্রও আকর্ষণ নেই। তাকে নিষ্ঠুর কষ্ট দিতেই আমার চরম শান্তি লাগে।
তবে কেন, কিসের আশায় সে আমাকে এমন আঁকড়ে ধরে আছে ।তার সামনে আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অন্য মেয়েদের সাথে প্রেমালাপ করেছি। সে মূক হয়ে সব শুনে। প্রতিটি মেয়ের সাথে সঙ্গমের বর্ণনা আমি নিখুঁত ভাবে ওর সামনে তুলে ধরি। সে জড় পদার্থের মতো সব সহ্য করে। সহ্য করতে করতে মাঝে মাঝে ও উন্মাদ হয়ে যায়। ব্যাকুল হয়ে নিঃশব্দে জল বিসর্জন করে। আমি তার ভেতরে ঘটে যাওয়া ঝড়ের তীব্রতা অনুভব করি। এক অমানুষিক বীভৎস আনন্দ অনুভব করি আমি তার কাতরানো দেখে। তার সামান্য ভুলে আমি ময়লার মতো ছুঁড়ে ফেলে দেই তাকে আস্তাকুরে। সে আপ্রাণ চেষ্টা করতেই থাকে আমাকে তার দিকে ফেরানোর জন্য। তার অক্লান্ত চেষ্টা দেখে দেখে যখন আমি ক্লান্ত তখন আমি ডাস্টবিন থেকে তুলে তাকে আবার বুকে জড়িয়ে ধরি। আমাদের দুজনের উভয়ের এ খুব ভালো করে জানা যে এই জড়িয়ে ধরা সাময়িক। আমি আবার তাকে নিয়ে নোংরা খেলায় মেতে উঠবো। আবার আমি তাকে কষ্টের আঘাতে ভেঙে চুড়ে গুড়ো করবো। তার মর্মান্তিক যন্ত্রণা দেখে আমি নিঃশব্দে পশুর মতো হাসবো।
অসহ্য লাগছে। আধ ঘণ্টা ধরে একই জায়গায় গাড়ি স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আধ ঘণ্টা?! এ কি খুব বেশি সময়? তিন মাস আগে পুনম যখন আমার সাথে দেখা করার জন্য ঢাকায় আসে, যাওয়ার সময় বাসের কি সমস্যা হওয়ার কারণে বাস কাউন্টারে চার ঘণ্টা একা বসে ছিল। বাস ছাড়ায় কথা ছিল ১২ টায়। ছেড়েছে ভোর চারটায়। সে ভয়ে পাগল হয়ে গিয়েছিলো। অপরিচিত মানুষের ভিড়ে সে নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করছিলো। অজানা বিপদের আশংকায় সে বার বার আমাকে ফোন দিচ্ছিল। আমি একবারও তার কল ধরি নি। তখন সবে মাত্র ফারিয়ার সাথে পরিচয়। ওর সাথেই আমি কথার রাজ্যে মগ্ন ছিলাম। একবার জানতেও চাই নি কোন বিপদ হল কিনা। কেন সে আমাকে এতবার কল করছে। আমার সব মনোযোগ নিবিষ্ট ছিল ফারিয়ার দিকে। রাত তিনটায় যখন কথা শেষ হয়, আমি একটি মেসেজ পাই পুনমের। সেখানে সে আকুল আবেদন জানিয়েছিল,
“ আমার খুব ভয় লাগছে, কাউন্টারে কোন মেয়ে নাই, বাস কখন আসবে কেউ বলতে পারছে না। প্লীজ তুমি কল রিসিভ করো, ঢাকায় তুমি ছাড়া আমার পরিচিত কেউ নাই। আমি এখন কি করবো, তোমার পায়ে পড়ি, কল রিসিভ করো”
আমার প্রচণ্ড ঘুম পাচ্ছিল তখন। সারাদিন আমি পুনমের সাথে ছিলাম। অনেক দূরে তাকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম। এখন তিন ঘণ্টা ফারিয়ার সাথে কথা বলেছি। আমি কোন মতে পুনমকে কল করে বললাম, “বাস আসবে। তুমি চুপচাপ বসে থাকো। কিছু হবে না” বলেই আমি কল কেটে দেই। কেটে দেওয়ার আগে অপর পাশ থেকে আমি একটি অসহায় মেয়ের কান্নার বিলাপ শুনি। আমি আবারো এক অমানুষিক শান্তি অনুভব করি। সে রাতে আমার খুব ভালো ঘুম হয়।
পরদিন আমি খুব স্বাভাবিক ভাবেই দিন শুরু করি। ফারিয়াকে মেসেজ দেই। পুনমকে কল করতে গিয়েও করি নি। কিছুক্ষণ পর কল করে দেখি মোবাইল বন্ধ। আমি বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন হই না। আমি জানি সেই আমাকে কল করবে। আমি জানি গতকাল রাতের নির্মম ব্যবহারে সে আমার সাথে রাগ করে থাকতে পারবে না। যদিও অন্য কোন মেয়ে হলে তখনই ইতি জানিয়ে দিয়ে চিরতরে চলে যেতো। আজ পর্যন্ত কোন মেয়ে আমাকে পুনমের মতো ভালোবাসে নি। পুনম আমার জীবন সম্পর্কে সব কিছু জানে। প্রতিটি ঘটনা, দুর্ঘটনা, প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি, সুকর্ম , কুকর্ম... সবই জানে। আমার জীবনের, আমার স্বভাবের সব কিছু জেনে কোন মেয়েই আমাকে ভালবাসবে না। আর বাসবেই বা কেন। কোন মেয়েই তো সহ্য করতে পারবে না তার ভালোবাসার মানুষ অন্য মেয়েদের সাথে সঙ্গম করে। পুনম সব জেনে শুনেই আমাকে ভালোবাসে। অন্য মেয়েদের কখনও কিছু বলা হয় না। যা বলি সবই মিথ্যা। কেউ কেউ পরবর্তীতে সত্য জেনে চলে যায়, বা আমি বিরক্ত হয়ে গেলে ছেড়ে দেই। বাস্তব নির্মম সত্য জেনে শুধু পুনমই আমাকে গভীর ভাবে ভালোবাসে। কেন জানি পুনমকে সব না বলে থাকতে পারি না। যাই ঘটুক ওকে বললেই যেন ঘটনাটি পূর্ণতা পায়। এবং পুনম আমাকে খুব নিখুঁত ভাবে বুঝে। আমি ভবিষ্যতে কি করবো না করবো , যা আমি চিন্তাও করি না, ও ঠিকই সব বলে দিতে পারে। আমি মাঝে মাঝে আশ্চর্য হয়ে যাই, কীভাবে আমাকে সে এমন নির্ভুল ভাবে বুঝে।
জ্যাম ছেড়েছে। আমার চিন্তাও অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। আমি কি পুনমকে ভালোবাসি? যদি ভালবেসেই থাকি তবে ওকে এমন নিদারুণ কষ্ট দেই কেন? এতো আঘাতের পরও সে কখনও আমাকে ছেড়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করে নি, অন্য কোন ছেলের প্রতি দুর্বল হয় নি। তবে আমার কেন নিত্যনতুন মেয়ে না হলে চলে না । যদি ভালো না বাসি তবে কেন তাকে আজও ছাড়তে পারলাম না। কেন তার সাথে এমন সম্পর্ক গড়ে উঠলো যার কোন স্পষ্ট নাম নেই। কিন্তু দুজন দুজনের প্রতি অবিশ্বাস্য ভাবে নির্ভরশীল। আমার তাকে কষ্ট না দিয়ে চলে না , তার আমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালো না বেসে চলে না। এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতিদানে কি তাকে সামান্য ছিটেফোঁটা হলেও ভালোবাসা দিতে পারি না। ওর প্রতি কিছু হলেও আমার আকর্ষণ আছে। না হলে যাকে আমি নিজেই এমন চরম অপমান করি, তাকে আবার গ্রহণ করি কেন? ওকে বুকে টানলে আমি পরম প্রশান্তি পাই কেন? যে কষ্টে জর্জরিত হতে হতে, শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলার চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গিয়ে চেহারায় এক নিকৃষ্ট মলিনতা ছাপ পরে যার, তার সাথে আমি দেখা করি কেন? কেন ভেতর থেকে এই অনুভূতি চলে আসে যে “ ওর চেহারা যেমনই হোক, ওকে আমার ভালো লাগে”।
আমি কল করি পুনমকে। জানি কিছুক্ষণ আগে যখন শুনেছে আমি ফারিয়ার সাথে, সে স্তব্ধ , নির্বিকার, নিশ্চল হয়ে পরেছে। নিকষ অন্ধকারে ডুবে আছে।
“কেমন আছো”
“এই তো আছি, তুমি”
“তোমার কথাই ভাবছিলাম। মনে হচ্ছে এখন তুমি পাশে থাকলে ভালো হতো”
“ঈশ, আমি যদি চলে আসতে পারতাম”
“হুম, দেখি আগামী সপ্তায় আসতে বলবো”
“সত্যি?”
“হুম, তোমাকে দেখতে খুব ইচ্ছে করছে পুনম”
নীরবতা......
“পুনম ?”
“কী”
“তোমাকে অভাব বোধ করি আমি”
“আমিও তোমাকে খুব মিস করি”
“এখন রাখি, বাসায় গিয়ে কল করবো”
“ওকে, সাবধানে ড্রাইভ কোরো”
এমন কথা তাকে আমি আগেও বহুবার বলেছি। এসব শুনে সে যে আনন্দে বিভোর হয়ে যায়, আমি বুঝতে পারি। তার মনেও থাকে না কিছুক্ষণ আগে আমি অন্য কোন নারীর সাথে ছিলাম। সে মনে করতে থাকে, যেন আমি তাকে ভালোবাসি।
করুক মনে, এই মনে করা দিয়ে যদি সে শান্তি পায়, একটু সুখ পায়, ক্ষতি কই। হয়তো আমার দ্বারা তাকে এভাবেই সুখ দেওয়া সম্ভব। অন্য কোন উপায়ে সুখ তাকে দিতে আমি ব্যর্থ। আমি আমার অভ্যাসের ক্রীতদাস।
মোবাইল আবার বেজে উঠে। তামান্নার কল। সুদূর কানাডা থেকে এই মেয়ে প্রায় কল করে। এই রমণীটিও চমৎকার। এবং বিবাহিত।
“হ্যালো, তোমার জন্য একটা সুখবর আছে”
“কি সুখবর”
“আমার দেশে আসার টিকেট কনফার্ম, আগামী মাসেই আসছি”
আগামী মাসেই তবে আরেকটি স্বাদ পেতে যাচ্ছি।
মোবাইলটি আবার কেঁপে উঠে, পুনমের মেসেজ।
“তোমাকে আমি ভীষণ ভালোবাসি”
মাথায় শূন্যতা অনুভব করতে থাকি। বুকের ভেতর কেমন যেন চিনচিন ব্যথা অনুভব করি। একটি সিগারেট ধরাই।
মানুষ হয়তো সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয় তার সবচেয়ে আপন মানুষদের। যারা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও কখন ছেড়ে যাবে না। পুনম, আমি জানি তুমি কখনও আমাকে ছেড়ে যাবে না। তাই তোমার উপরই আমার সকল অত্যাচার।