একটা বৃত্তে বন্দী আমি একলা পাখি,
ইচ্ছে হলেই ভোরের রোদটা গায়ে মাখি।
ইচ্ছে হলেই ভাসাই স্রোতে শত আশার ভেলা,
একটা বৃত্তে বন্দী হয়েই কাটে সারা বেলা।
ইচ্ছে হলেই উড়ে বেড়াই যখন যেথা খুশি,
ইচ্ছেগুলো বৃত্তটাতে নিজে নিজেই পুষি।
ইচ্ছে হলেই ঘাসের বুকে হই শিশিরবিন্দু।
বৃত্তে থেকেই পাড়ি দিই বিশালাকার সিন্ধু।
ইচ্ছেমতো নীল দিগন্তে উড়াই স্বপ্নঘুড়ি,
বৃত্তমধ্যে থেকেই আমি স্বর্গলোকে ঘুরি।
ইচ্ছেমতো গান গেয়ে যাই ইচ্ছেমতো সুরে,
বৃত্ত থেকেই দেখছি আলো, ঐ দেখা যায় দূরে।
ইচ্ছেমতো মেশাই রঙ মনেরই ক্যানভাসে,
আশার আলো দেখতে যে পাই বৃত্তের আশেপাশে।
ইচ্ছেমতো সাজছি আমি নিত্য নতুন রূপে,
কত মানুষ আছে বন্দী বৃত্তের স্তুপে।
সবাই আছে বৃত্তেরই মাঝে, বাইরে নয় তো কেউ,
এরই মাঝে আমি আনছি নবজোয়ারের ঢেউ।
বৃত্তটা ভাই বড় নির্মম। বোঝে না তো কিছু,
যেদিকেই যাই, বৃত্ত থাকে। ছাড়ে না তো পিছু।
তবু আমি হাল ছাড়ি নি। বৃত্তের কোন ধার ধারি নি।
নিজে নিজেই পেরিয়েছি বৃত্তের কড়া গণ্ডি।
মুক্ত বাঁশির সুরে সুরে, একটু একটু করে,
চাইব তোমরা বেড়িয়ে এসো, বাকি আছ যত বন্দী।