ফেবুতে ফান পেজের এডমিন মানে কত বড় গর্ধব সেটা বিষয়ে কম বেশি সবাই জানেন।
তবে সেটি আমার লেখার বিষয় নয়। বাঁশের কেল্লা ছাড়াও ফেবুতে জামায়াত-শিবিরের আরো অনেক পেজ আছে। প্রথমে ফান পেজ এর আদলে থাকলেও এখন মুখোশ খুলে যাচ্ছে। কিছু জনপ্রিয় পেজ নাকি হ্যাকও করা হয়েছে!!!
নিচের এই ছবি দিয়ে মন্তব্য চাওয়া হয়েছে ফেসবুক আপুরা আহেন কুতকুত খেলি :পি ও অই ছেড়ি, ওড়না গলায় না দিয়া বুকে দে, কামে দিবো... নামক পেজ দুটিতে।
জানা বিষয় এই দেশের অধিকাংশ মানুষ হলো মুসলিম এবং তারা ধর্মীয় দুর্বলতা থেকেই "হ্যা" বলবে।" এতে কি হলো?
I) আজাইরা পোস্ট দেওয়া পেজের কাটতি বাড়লো,
II) ধর্ম বিষয়ক আলোচনার সমর্থন যাচাই করা গেল,
III) যুদ্ধপরাধীদের বিনা শর্তে মুক্তি চাই শীর্ষক স্ট্যাটাস দেবার ভবিষ্যত রাস্তা পাকা হলো।
ছবির মাঝখানে একটি দাড়িপাল্লার ছবি দেখতে পাচ্ছেন? প্রথম দেখায় এর কোনো বিশেষত্ব চোখে না পড়তে পারে, কিন্তু এই প্রতীক কোন রাজনৈতিক দলের?
এখন ফেসবুক বা ব্লগের একটি মন্তব্য বা একটি পোস্টকে অবহেলা বা কিছু না বলার দিন কিন্তু আর নেই। এসব যে আমাদের জীবনকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে তার টাটকা উদাহরণ আলোচিত/সমালোচিত ব্লগার আসিফ এর উপরে নৃসংশ আক্রমন!
আরেকটি ভয়ের ব্যপার হলো পেজ দুটিরই ফ্যান সংখ্যা ৬২,৭৩৮ ও ৫১,৮৮১!! অর্থাৎ লক্ষাধিক!!
জামায়াত শিবিরের কর্ম-পরিকল্পনা যদি লক্ষ্য করেন, ওরা মেডিকেল স্টুডেন্টদের হাত করতে রেটিনা নামক মগজ ধলাই কারখানা খুলে রেখেছে!!! আরেকটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়, ""মেধাবীদের সংবর্ধনা দিয়ে নাম-ঠিকানা-মোবাইল-মেইল রেখে দেয়া শিবিরের একটি কাজ!"
কেন এমন করা হয়? কেন স্কুল কলেজে তাদের প্রচারণার এত তোরজোর? ওরা মেধাবীদের হাত করতে চায়, শেষ পর্যন্ত মেধাবিরাই যে জাতির কর্ণধার!!
প্রথমে এদের কোনোভাবে শুধু যুক্ত করার অপেক্ষা, বাকি ঔষধ প্রদান হয়ে থাকে ধর্মের নাম ইমোশনাল ব্লাকমেল করে!!!!!!!
বক্তব্য সর্বস্ব শিবিরের প্রচারনামূলক বইগুলোতে দু একটা ধর্মীয় বাক্য জুড়ে দিয়ে (যেটায় তাদের ফায়দা হবে) প্রচারণা চালানো হয়। জিহাদের বিষয়ে বলা হয়, ইসলামী রাষ্ট্রই শেষ সমাধান বলা হয় বলা হয় কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠা করার কথা।
বাস্তবে তাদের কার্যক্রম একটি নোংরা রাজনৈতিক দলের থেকে কি ভালো কিছু? ইসলামের কথা ছেড়ে দিয়েও দেশের দিকে তাকালে তাদের মাস্টার মাইন্ড সবাই সবসময় পাকিস্তানের প্রতি যে পরিমান প্রীতি দেখিয়েছে, তাতে ভৌগলিকভাবে আমরা কতভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পারি তার ইয়ত্তা নেই। কুরআনের আইন আমিও চাই, তবে সেটা যে অন্তত জামায়াতের মত কোনো সুবিধাবাদী-ধর্মব্যবসায়ী দলের হাত ধরে আসবেনা সেটা বলাই বাহুল্য।
আর হ্যা, এই দেশ হিন্দু মুসলিম সবার, কারো নামে দলিল করে দেয়ার কিছু নেই, কারণ কলেমা পড়ে দেশ মুসলমান হয়না, হয় মানুষ!! এই দেশ সবার, তাই যাই বলবা, সবার কথা ভেবে বলবা....
দেশ ও ধর্মকে ধারণ করুন মনের মধ্যে, দেশকে ভালবাসুন আর দেশ ও ধর্মের ক্ষতি সাধনকারীদের আজীবন ঘৃনা করুন। বাংলাদেশ হিসেবে এগিয়ে যাবার সময় হয়ে গেছে, আর ভারত পাকিস্তানের ছায়ায় আমরা থাকতে পারিনা। আর জামায়াত রাজনীতিতে থাকলে কোনদিন আমরা এই কালো হাতের থাবা থেকে বেরোতে পারবনা।
ওদের বর্জন করুন সমাজের সবস্তরে, রাজনীতিতে ওদের বিতাড়িত দেখতে চাই, আর মনে প্রাণে চাই যুদ্ধপরাধীদের ফাঁসি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




