সমাবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে অর্ধদিবস হরতাল। আগেরবারের মতো এবারও জামায়াতের ডাকা হরতালে সমর্থন জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। আজ বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিএনপির সমন্বয়ক তরিকুল ইসলামের পক্ষে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমেদ সাংবাদিকের বিষয়টি অবহিত করেন।
গত রোববার তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল, জনদুর্ভোগ লাঘব ও দলের আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে জামায়াত। আজ বিকেলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে সমাবেশ করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করে দলটি। কিন্তু দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাদের সমাবেশ করার কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে। তাই সমাবেশ করার অনুমতি না দেওয়া, সরকারের দমনপীড়নের প্রতিবাদ এবং জামায়াতের আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে এই হরতাল আহ্বান করা হয় বলে শফিকুল ইসলাম জানান।
"বুধবার জামায়াতের পূর্বনির্ধারিত একটি সমাবেশ ছিল। কিন্তু এই সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করেছে। এটা অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত। যেহেতু জামায়াত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল হরতাল ডেকেছে। তাই জামায়াতের ডাকা হরতালে সমর্থন জানাচ্ছে বিএনপি।"
"যেখানে ইস্যু থেকে জামায়াত একচুল নড়েনি, বিএনপি বেমালুম মুখের কথায় ইস্যুই পরিবর্তন করে দিয়েছে। পালন করতে না দেওয়া হরতাল ছিল যুদ্ধপরাধীদের মুক্তির দাবিতে, তা করতে না দেওয়ায় যে হরতাল, তাতে বিএনপির সমর্থন। !!!! যাহা লাউ তাহা কদু মানে যেন কি!!!!!?"
# বুধবার রাজধানীতে দুটি গাড়িতে আগুন, দুটি গাড়ি ভাঙচুর ও এক পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের ৩৮ জন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
# রাজধানীতে সমাবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগে কাল বৃহস্পতিবার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। অথচ অনুমতি পেয়েও চট্টগ্রামে আজ বুধবার কোনো সমাবেশ করেনি জামায়াত।
"কি বুঝলেন? টার্গেট করে করা হচ্ছে, শক্তি বুঝে..."
#
I) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হলে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির কবর রচিত হবে। আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হানিফ এ কথা বলেন। বিএনপির রাজনীতিও দুর্বল হয়ে যাবে। তাদের রাজনীতি করার কিছু থাকবে না। এ জন্যই বিএনপি যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের সঙ্গে মাঠে নেমেছে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করাই তাদের লক্ষ্য। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে হানিফ বলেন, ‘এখনো সময় আছে যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গ ছাড়ুন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সরকারকে সহায়তা করুন।’
II) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরকে নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এটা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।’জামায়াত-শিবির যাতে কোনোভাবেই নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় দলের নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
III) আবুল মাল আব্দুল মুহিতও একই সুরে বলেছেন।
I REALLY DO HOPE THEY MEAN WHAT THEY SAY .....
# শতাধিক মানুষ আহত, অর্ধশত পুলিশ মারাত্নকভাবে আহত... শিক্ষার পরিবেশ চরমভাবে বিপর্যয়ের মুখে.... মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হচ্ছে ব্যাহত... জনমনে আতঙ্ক...
এমন একটি জঙ্গি-সন্ত্রাসী ও সাম্প্রদায়িক দল, যার অস্তিত্ব প্রতিমুহুর্তে আমাদের সংবিধানকে করছে কলুষিত, এরকম দেশ ও তার সার্বভৌম বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করা হোক। বন্ধ করে দেওয়া হোক তাদের সকল কার্যক্রম...... বাংলার মাটিতে জামায়াত শিবির চলবেনা, চলতে পারেনা.... অচিরেই নিষিদ্ধ করা হোক জামায়াতকে... আওয়ামিলীগ যদি নোংরা রাজনীতির পাকে পড়ে নিষিদ্ধ না করে, আওয়ামিলীগ কোনদিনও বাংলার মানুষের ক্ষমা পাবেনা...
দেশকে যুদ্ধের আবহে নিয়ে যাওয়া দল, এই দেশে থাকতে পারেনা, এরা দেশদ্রোহী.. এরা তাদেরই দোসর, যারা একাত্তুর চায়নি, বায়ান্ন চায়নি.. চায়নি মুজিব বেঁচে থাকুক... চায়নি বাংলা বেঁচে থাকুক, বাংলা ভালো থাকুক..... জামায়াত-শিবিরকে নিশ্চিন্হ দেখতে চাই...
প্রয়োজনে আরেকটা যুদ্ধ হবে.... আমি যাবো... রাজাকারদের শেষ করতে.... তবু এই বাংলার মাটিকে একাত্তুরের কলংক বয়ে বেড়াতে দিবোনা...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




