অতঃপর একদা ব্লগ চালু হইলো, পুলাপাইন সেইখানে ভ্যাজাল শুরু করলো, ইসলাম বিরোধী কথাবাত্রা লেখে, জামাতি ইসলাম। পুলাপাইনরে ফেসবুকে ঘুরতে দেখা যায়, গলিতে-মোড়ে আর যুবসমাজকে বিড়ি ফুঁকতে বেশী একটা পাওয়া যায় না। বয়ান কই দিব? পুলাপাইন ধীরে ধীরে পেরেম পর্যন্ত পার্ক থেইকা চ্যাটবক্সে ট্র্যান্সফার করালাইল।
তখন ছাগু কহিল, "ম্যা! ইয়ে নেহি হো সাকতা! বিলকুল নেহি!"
সে সাইফুরররস থেইকা ট্রেনিং নিলো, মানুষ হইবেক। সম্প্রতি উহাদেরকে টয়লেট এর ব্যাবহার একদমই বন্ধ করে দিয়ে ব্লগ ও ফেসবুকে ল্যাদিয়ে ব্যাপক প্রশান্তি পাইতে দেখা গিয়েছে। এহেন প্রশান্তির লোভে দলে দলে ছাগু ব্লগ-ফেসবুক সমাজে পদার্পণ করিতে লাগিল।
শুধু নির্দোষ গরুটির যায়গায় ছাগুল আছিল, সবই ছাকা চোদ্রির অবদান।
কিন্তু দুর্জনে কি আর এতো সহজে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেয়? ধীরে ধীরে দেখা গেলো, যেখানেই ল্যাদানর জন্যে একটু শান্তির মুহূর্ত খুঁজে নেয়, সেখানেই ছাগুফাইটার নামক এক মহা বিরক্তিকর প্রাণী এসে হাজির হয়, ল্যাদাইলেই কাঁঠাল পাতা প্রয়োগ পূর্বক তাদেরকে এই রকম অস্বস্তিকর দুর্বল মুহূর্তে আদর করা শুরু করে। শুধুমাত্র সোনার একটি ল্যাদান প্ল্যাটফর্মে তাদেরকে অতি আরামে প্রাইভেসি সহকারে ল্যাদানর সুবিধা দেওয়া হয়েছিল।
কোনভাবেই অন্যস্থলগুলোতে ভালভাবে ল্যাদাইতে না পারার দুঃখে ছাগুরা যখন মরমে মরমে মরিতেছিল, ঠিক তখনই তাদের জীবনে আশার আলো হয়ে এলো এসএমছির ওরস্যালাইন! থুরি, কি কই। ওরস্যালাইন আগেই ছিল। কিন্তু তারও আগে ছিল ঝাতিয়বাত্তি নামে এক লাল-গোলাপি বাত্তি! সেই বাত্তির রঙিন আলো চোখে দেইখা সকল ছাগুর ধড়ে যেন প্রান এলো।
তারপরের ঘটনা পুরোটাই ইতিহাস। যেখানেই ছাগুদের ল্যাদানতে বাঁধা দেওয়া হতো, ঝাতিয়বাত্তির ওরস্যালাইন সেখানে হাজির! ছাগুফাইটারদের বিরুদ্ধে বিশাল যুক্তিবাদী “জিহাদ” শুরু করিলেন ইনারা।
বাংলালিংক এর যুগ বদলাইছে, এদিকে ছাগুর লাইফ সেভিং সকল প্রোডাক্ট “বাতাস-ভবন” এর বেজমেন্ট থেকে তারেইক্কা সিঁধেল চুরার কমপ্লিকেটেড প্যামিলি(এই জন্যে পালু দায়ী) একেবারে বাংলালিংক দামে সাপ্লাই দিয়া যাচ্ছে। এক্কেরে দেশচুরা, ইমানদার চুরার দল, ঠিক প্রত্যেকটা যেন এক একখান জ্যান্ত কুকু!
এই "অন্যরকম" ভালুবাসাই চলছে ।
সে যাই হোক, আইজকাল দিন আরও বদলাইছে, হাউয়া ভবনের সাপ্লাই আরও বাড়ছে! আজকাল ছাগুদের আর কিছু করতে হয় না। কাদের সিদ্দিকিরে নিয়া পুষ্ট দেয় ঝাতিয়বাত্তি, মুজিবরে খোঁচা মাইরা পুষ্ট দেয় ঝাতিয়বাত্তি, শেখ হাঁচি নার চইদ্দ গুষ্টি আর ভারতের পনেরো গুষ্টিরে কিল মাইরা লেখালেখি করে ঝাতিয়বাত্তির মেন্টসেরা, আর আমাদের জনাব ছাগু এখন ওইগুলাতে লাইক দিয়া, শেয়ার কইরা শান্তির প্রবল পরশে বলে উঠে, “ম্যা! লাইফ তো বাড়া হি ছুন্দার হে!”
আজকাল বিশিষ্ট ছাগু সমাজ আইজুদ্দিনেরও ইশট্যাঁট্যাঁসে লাইক দিয়া খাটের তলে বইসা থাকে, শেয়ারের পরে শেয়ার চলতে থাকে ঝাতিয়বাত্তির আলো।
জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো! শাহ্বাগ কি তয় ঝাতিয় বাত্তির কথা কইছিল??
সেলুকাস, এপয়েন্টমেন্ট তো আছিল, তাউ দেখা পাই নাই কেনু???
(এনিওয়ে, নৈতিকতার “ন” এর সাথে যার কোনোদিন দেখা সাক্ষাত করার সুযোগ হয় নাই, সেই গুলাবি বাইয়ের উক্ত অলেখায় “নৈতিক” সমর্থন আছে বলে জেনেছি, খুব খিয়াল কইরা, নৈতিক সমর্থন বলে কথা।)
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




