আরও বিস্তারিততে যাই এই মহানের কীর্তির,
মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে এই স্বঘোষিত প্রিন্সিপাল বুলবুলি মোল্লা দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ আনে ও বিভিন্ন জায়গা দখলের অপচেষ্টা করত। ১৯৯০ সালের দিকে একদিন সকাল বেলা বুলবুলি মোল্লা মাদ্রাসা ছাত্রদের কুরআন শরীফ হাতে দিয়ে বাগবাড়ীস্থ তৎকালীন জেলা পরিষদের একটি জায়গা দখল করে।
এই ব্যাক্তির বাসভবন ঘিরে রয়েছে বিরাট রহস্য। পাঁচ বৎসর চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে তার মাদ্রাসা উন্নয়ন, আলিশান বাড়ি তৈরি এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টকে অনেক ভারি করে তুলে।
এই তথাকথিত প্রিন্সিপাল তার বিভিন্ন বক্তৃতায় আওয়ামী লীগ ও জামাতকে গালিগালাজ করত। অথচ জামাতের পায়ের নিচে ও বিএনপি’র গোলামী করে গড়ে তুলেছে তার কওমী মাদ্রাসায় ৫টি বিশাল অট্টালিকা।
উল্লেখ্য যে, বাতিল হওয়া ২২ জানুয়ারি ২০০৭-এর নির্বাচনে সিলেট ৫ আসন থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দেয় এবং এ উপলক্ষে স্বঘোষিত প্রিন্সিপাল হাবীব লন্ডন যায়। প্রবাসী লন্ডনী সরলমনা ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী লোকদের নিকট হতে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে আনে। মাদ্রাসা উন্নয়নের কথা বলে এসব টাকা আনলেও তার ব্যক্তিগত স্বার্থে ও ধর্মান্ধ সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যয় করেছে বলে প্রবাসীদের ধারণা। তার একান্ত সহযোগী মাওলানা শাহিনুর পাশা তার সকল প্রকার কুকর্মের সাক্ষী ও মদদ দানকারী।
এহেন ব্যাক্তিকে যখন হেফাজতের হেজাজতে দেখতে পাওয়া যায়, ভুরু কুঁচকে আসে বৈকি। আল্লামা শফির মুজাহিদ বাহিনী গঠন করা নিয়ে নাহয় আরেকদিন বলি, আজ বললে অনুভূতিতে বেশী আঘাত পড়ে যেতে পারে।
হেফাজত কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়; ধর্ম রক্ষার জন্যই এই আন্দোলন— লংমার্চের আগে এমনই বলেছিলেন হেফাজতের নেতারা। কার্যত সেরকমটি লক্ষ করা যায়নি লংমার্চ উত্তর শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশে।
[ কুইক কুইজঃ শাপলা চত্বরে যেন কারা সমাবেশ করতে পছন্দ করেন?]
চরমোনাই পীর মাওলানা রেজাউল করীমকে সমাবেশস্থলে ঢুকতে না-দেওয়া হলেও বিএনপি ও জাতীয় পার্টির তিন নেতার প্রতি এর বিপরীত আচরণ করেছে হেফাজত, আমন্ত্রিত ছিলেন জামাতেরও অনেক স্বল্প-পরিচিত এবং দুই একটি বিখ্যাত মুখ।
এদের সৃষ্টি দেওবন্দ থেকে বলে তাঁদের দেওবন্দী বলা হয়। বলা হয় 'ক্বওমী' । তাদের মাদ্রাসা ব্যবস্থাপনা প্রচলিত অন্যগুলো থেকে ভিন্ন। বলা হয় 'তাবলিগ' কারণ দাওয়াতে তাবলীগ তাঁদেরই প্রতিষ্ঠান। হেফাজত এর নেতৃত্ব মুলত হাটহাজারী কেন্দ্রিক এবং খেলাফাত মজলিস কেন্দ্রিক এদের কার্যক্রম। আওয়ামী সরকার এর বিরুদ্ধে এদের বিষেদাগার কিন্তু পুরনো কিছু নয়। হাটহাজারীবাদীরা সবসময় জামাতের বিরোধিতা করেছে সত্য, কিন্তু ধর্মব্যাবসা হুমকির পথে, আওয়ামীলীগ এলে জঙ্গিবাদ এর পথ সংকীর্ণ হয়ে যায়, লিয়াঁজো মুলত সে কারনে হতে পেরেছে। অনলাইনে গত কিছু দিনের সুপরিচিত জামাত এর পেজগুলোতে চোখ বুলিয়ে আসুন? অথবা চোখ বুলান “আমার বর্ণমালা” ব্লগ এ! সেখান থেকেই বিভিন্ন নির্দেশনা আসছে কি না!!
উহাদের আনন্দ যেন ধরে না।
"যদি 'হেফাজতে ইসলাম' নেতৃবৃন্দ তাদের এই দৃঢ় ও কঠোর অবস্থান বজায় রেখে লংমার্চকে সঠিকভাবে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের ইসলাম ও রাজনীতির অনেক বড় বড় হিসাব-নিকাশ পাল্টে যাওয়ার মোটামুটি একটা নিশ্চিত সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। পাল্টে যাবে বাংলাদেশের ইসলামের গতি ও প্রকৃতি। দেশে বড় একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে এই লংমার্চ থেকে। যা স্মরনীয় হয়ে থাকবে। এসব কিছুই নির্ভর করছে লংমার্চের সফলতার উপর। সফল হলে এমন কিছু একটা পরিবর্তন আসবে যা অন্য আর কোন উপায়ে সম্ভব হবে না।"
হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে সংহতি জানাতে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ভাইস-চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা গতকাল শনিবার বিকাল ৩টায় শাপলা চত্বরে এলে তাদের মঞ্চে ডেকে নেন হেফাজত নেতারা। উল্লেখ্য, বিএনপি হেফাজতের এই আন্দোলনকে আগেই সমর্থন দিয়েচে। লংমার্চে ‘বাধা’ দেওয়ার নিন্দাও জানিয়েছে দলটি। হেফাজতের সমাবেশ থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ফিরে খন্দকার মোশাররফ সাংবাদিকদের বলেন, ইসলাম ও প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ (স.) এর প্রতি কুত্সা রটনাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে ঈমানি দায়িত্ব হিসেবে এ দেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই সমাবেশে এসেছে। আমরাও এই সমাবেশের দাবির প্রতি সংহতি ও একাত্মতা প্রকাশ করেছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা আশা করব, ৯০ ভাগ মুসলমানের ভাষা সরকার বুঝবে। অন্যথায় ফলাফল ভালো হবে না। (আমাদের সময় নিউজ)
কোটি টাকার খেল আর বিএনপি থাকবে না, এ হয় না কি!?
বিএনপি-জামায়াতের দেওয়া কোটি টাকা হজম করতে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে কক্সবাজার হেফাজত ইসলামের নেতারা। হেফাজতে ইসলামের কক্সবাজার থেকে যাওয়া লং মার্চে ব্যয় হওয়া কোটি টাকার যোগান কোথা থেকে আসছে? অভিযোগ রয়েছে বিএনপি-জামায়াতের টাকায় লং মার্চের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে হেফাজতে ইসলাম! তবে হেফাজতে ইসলামের নেতারা দাবী করেন, ইসলাম রক্ষায় লংমার্চে অংশ নেওয়া ঈমানী দায়িত্ব। তাই ধর্মপ্রান মুসলমানরা নিজ খরচেই লংমার্চে অংশ নিচ্ছেন। লং মার্চে অংশ নিতে জন প্রতি গাড়ি ভাড়া পড়ছে এক হাজার ৩০০ টাকা। ওই টাকা জমা দিয়েই লংমার্চে অংশ নিতে নাম জমা নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও হেফাজতে ইসলামের নেতারা আরো জানান, তালিকাভূক্ত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষের প্রত্যেক জনকে সাথে নিতে বলা হয়েছে আরো ১ হাজার ৫০০ টাকা করে। যাদের সামর্থ আছে তারা টাকা দিচ্ছেন। আর যাদের সামর্থ নেই কিন্তু লংমার্চে অংশ নিতে ইচ্ছুক তাদের টাকা সামর্থবানরা দিচ্ছেন। হেফাজতে ইসলামের নেতারা ব্যয় হওয়া প্রায় কোটি টাকার উত্স সম্পর্কে এমন তথ্য দিলেও গোপনে বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে এ বিষয়টি হেফাজত ইসলামের উর্ধ্বতন কয়েকজন নেতা ছাড়া অন্যরা কেউ জানেন না।
তাদের উদ্দেশ্য কি?
পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় ইটিভির নারী সাংবাদিক নাদিয়াকে বেদম প্রহার করেছে হেফাজতীরা। গণিমতের মাল ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ার আগে উদ্ধার করে কতিপয় সাংবাদিক ও পুলিশ। আরো চার থেকে পাঁচ নারী সাংবাদিকও লাঞ্ছনার শিকার। নারী বিদ্বেষী এরাই আবার খালেদা জিয়াকে অনেক ভালা পান। আপনি করলে হারাম আর আমি করলে আরাম ধরনের বিষয় আর কি।
সাংবাদিক আর গণজাগরণ মঞ্চ এর উপরে হামলা সহ এরা হামলে পড়েছিল মুজিব এর ছবির উপরেও। হেফাজতে ইসলামীর লং মার্চ শেষ হলেও তাদের তিন শতাধিক বিশেষ প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ক্যাডার হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছে ব্লগার ও অনলাইন এক্টিভিস্টদের।
ওদের ভয় আর কিছু না, ওদের ভয় হচ্ছে বিরুদ্ধ মতবাদ। কারন সে সব ফেস করার মতো জ্ঞান তাদের নাই, ব্যখ্যা করার প্রজ্ঞা নাই, গলা টিপে ধরার সেই প্রাগৈতিহাসিক পথেই তাই তাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করা।
সাফ কথা, এদের আদর্শ ইসলাম নয়, জঙ্গিবাদ এবং জঙ্গিবাদই এদের ডেসটিনি।
ক্ষোভ আসলে কাদের বিরুদ্ধে? ওরাও কি সঠিক ভাবে জানে?
ছবিটা কেমন হল ভাইয়েরা?
ল্যাঞ্জা, লুকানো বড়ই কঠিন।
আর অজ্ঞানতার মাত্রা?
দেশ আর জাতির পিতাই বুঝি প্রধান শত্রু?
ধর্মনুভুতিতে আঘাত আবার কি জিনিষ!!
অনুভূতিতে গুঁতাপ্রাপ্ত ধর্মান্ধ আস্তিকেরা, আগে সংজ্ঞা ঠিক কর তো দেখি, তোদের অনুভূতিতে আসলে কেমনে আঘাত লাগে? অন্ধ নাস্তিকদের গালি গালাজে নাকি এই সভ ভণ্ড আলেমের আবলামিতে?
যেই দেশে ইসলাম এর নেতা এরা, সে দেশে খারাপ মানসিকতার নাস্তিক থাকতে পারে এ আর এমন আকাশ থেকে পরা বিষয় কি! ওই মঞ্চেই নবী দাবী করেছেন আল্লাম শফিকে! (ভিডিও) ওই নেতারাই স্বার্থ উদ্ধারের এই লং ড্রাইভকে হিজরত এর সাথে তুলনা করে ফেললেন। দেওয়ানবাগী হুজুর নাকি আখিরাতে নাজাত দাণ করবে (নাউজুবিল্লাহ না পড়লে আপনার গাল বরাবর অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হবে।), কবরে গিয়ে নাকি বলবে এ আমার বান্দা!! এরে মাফ করতে হবে। উনার নামে পশু জবাই দিলে... আরও কতো কি।
তোমার অনুভূতি আসলে কি জিনিষ? কোথায় থাকে? ধর্মনুভুতিও কি প্যান্টের নীচে রাখো যে সময় মতো আঘাত লাগে??
জঙ্গিবাদ এর প্রকাশ্য উত্থানকে ইসলাম এর নামে চাপা দিতে যাবেন না, চাপা দিয়েছিল আফগানিস্তান, ফলাফল চোখের সামনে।
কিছু নির্দোষ প্রশ্নঃ
১) শাহবাগের নাস্তিক ব্লগার নাকি ধর্ম বিদ্বেষী ব্লগার?
২) সরকার পতন(বিএনপির নাচ কে দেখে!) নাকি নাস্তিকদের বিচার?
৩) অগণতান্ত্রিক(তর্কের খাতিরে ইসলামিকই মেনে নিলাম) দাবীকে সমর্থন দিয়ে, দেশ এর কাঠামো ও সংবিধান লঙ্ঘন এর দাবীকে সমর্থন, নারীদের বস্তাবন্দী এবং বাক স্বাধীনতাকে হত্যার দাবীকে সমর্থন দিয়ে, বিএনপি কি একটি অগণতান্ত্রিক এবং মোল্লা দল হয়ে যায় নি?
৪) ৩ এর উত্তর হ্যাঁ হলে বিএনপির কি নির্বাচনে অংশগ্রহন করার অধিকার রয়েছে যখন সংবিধানই ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া তাদের জন্যে সঠিক?
ছবিঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




