• শিবিরদের নিয়ে শিবির বান্ধবরা একধরনের আহ্লাদেপনা করে থাকে । সেটা হল "বাবা, ওরা ভীষণ স্ট্রং!, হেভী অরগানাইজড"!
বাস্তবে কি আসুন দেখি। যে চট্টগ্রাম কে ওরা 'জামআতের মদীনা শরীফ' বলে দেখুন তো সেখানে কয়টা এমপি আছে জামাতের?
বি এন পি আমলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির হাই কমান্ড কে ওরা বুঝিয়েছিলো মীর নাসির কে মনোনয়ন দিলে বিজয় নিশ্চিত। জামাত-শিবিরের ২ লাখ নিশ্চিত ভোট, সাথে বিএনপির ভোট আর কি লাগে। বি এনপির গো বর্জ্য মস্তিষ্ক কথাটা বিশ্বাস করল। নোমান কে বাদ দিয়ে নাসিরকে বেছে নিলো। ফল হল উলটা।
লগী বইঠার ঘটনা টা দেখুন। দুইশ গজের ভেতর ছিল ওদের সমাবেশ। জামাতের বড় বড় নেতারা অখানে ছিল। চারটা শিবির পড়ে গেল লগী বইঠার মিছিলে। কেউ আগায়া ও আসলোনা। বরং ওদের নেতার চিপার মধ্যে দাড়ায়া চিল্লাইতেছিলো “মারো মারো বৃষ্টির মত মারো”।
জামাত আসলে সুবিধাবাদের রাজনীতি। তাই তারা রাজনীতির চেয়ে ব্যবসায় বেশী সফল। সুবিধার জন্য ওরা করে নাই হেন কাজ নেই। ওরা মুখে আল্লার আইনের কথা বলে। ক্ষমতায় গেলে আল্লাহর আইনের কোন খবর নাই। সারাটা জীবন ইতিহাসের বিপরীত স্রোতে তারা অবস্থান করে এসেছে। জনমানুষএর মন এদের পাঠ্য নয়। বৃটিশ আমলে যখন সবাই পাকিস্তান আন্দোলনে জীবণ পাত করছে ও রা তখন বৃটিশ দের পদলেহন করেছে। লাভ হয়নি। পাকিস্তান জন্ম নিয়েছে। আবার ৭১ এও একই কাজ। বাংলাদেশের বিরোধীতা করতে গিয়ে বলেছিল “ ভারতীয় দালালদের মনের আশা কখনোই পুরণ হবেনা, পাকিস্তানের জোয়ান বীর সেনবাহীনি সব ঠান্ডা করে দেবে ইত্যাদি।“ যারা সময়কে ধরতে পারে না তারা কোন ভাবেই রাজনীতিক নয়।
যাই হোক, এই যে শক্তিমত্তার বাগাড়ম্বর, এটা আসলে হাইপ। এই টাইপের জনবিচ্ছিন্ন দল গুলো আসলে টিকে থাকে একধরনের প্রোপাগান্ডার উপরে। এটাই তাদের কৌশল।
ছাগু ও ছাগু বান্ধবরা শাহবাগ নিয়েও প্রোপাগান্ডার ভেতরেই আছে। ওরা প্রতিদিন ই নতুন নতুন গুজব ছড়াচ্ছে। “ ওইটা বাম ও আওয়ামী গাঞ্জাখোর আর বেশ্যাদের সমাবেশ। প্রকৃত জনগন এর সাথে নেই। “
ভাই আপনাদের সবিনয়ে জানাই মগবাজার বা নয়াপল্টনে এরকম একটা গনজাগরনের আয়োজন করেন না। সেখানে সাগর-রুনী, পদ্মাসেত্ তত্বাবধায়ক প্রভৃতি ইস্যু নিয়ে কথা বলবেন। দেখিনা আপনাদের তৌহিদি জনতা কয়জন আসে?
কাপুরুষের মত রাতের অন্ধকারে, একা, নিরস্ত্র একজন রাজীব কে হত্যা করা কোন শক্তিমত্যা নয়। তাহলে ঠেকবাজ ছিচকেরাই এই সমাজের শক্তিশালী জনগোষ্ঠী বলতে হবে।