এই যুদ্ধাপরাধীকে প্রত্যাখান করুন : মতিউর রহমান নিজামী (পাবনা-১)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় নৃশংস ঘাতক দল আল-বদরের গোটা পাকিস্তানের সভাপতি ছিলেন 'মইত্যা দালাল' ওরফে মতিউর রহমান নিজামী। এই কুখ্যাত ঘাতক ও দালালের কুকীর্তির শেষ নেই। ভয়ংকর এই যুদ্ধাপরাধী পাবনা-১ থেকে সংসদ নির্বাচনে দাড়িয়েছে। তাকে প্রত্যাখান করুন।
শুনুন তার সদম্ভ উক্তি:
জেনে নিন তার কুকীর্তির কিছু বিবরণ :
মতিউর রহমান নিজামী, পিতা খন্দকার লুতফর রহমান, গ্রাম- মম্মথপুর, পো.অ- বেড়া সোনাতলা, থানা-সাথিয়া, জেলা- পাবনা বর্তমানে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামীর আমির, গত বিএনপি জামাত জোট সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং জামাতের সংসদীয় নেতা।
১৯৭১ সালে এই জামাত নেতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে তার যাবতীয় কর্মতৎপরতা পরিচালিত করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি জামাতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের (বর্তমানে ইসলামী ছাত্র শিবির) সভাপতি ছিলেন। তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে মুক্তিযুদ্ধকে প্রতিহত ও মুক্তিযোদ্ধাদের নির্মূল করার জন্য আল-বদর বাহিনী গঠন করা হয়। মতিউর রহমান নিজামী ছিলেন ওই আল-বদর বাহিনীর প্রধান। নিজামীর ওই বদর বাহিনীর উদ্দেশ্য ছিলো পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর সহযোগী হিসেবে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধরত বাঙালী জনগোষ্ঠিকে পাকিস্তানী তথা ইসলামী জীবন দর্শনে বিশ্বাসী জনগোষ্ঠিতে পরিণত করা। আল-বদরের নেতারা বুদ্ধিজীবি হত্যার নীলনক্সা প্রণয়ন করেন এবং তাদের নির্দেশে ডিসেম্বর মাসে ঢাকা সহ সারা দেশে শত শত বরেণ্য বুদ্ধিজীবিকে হত্যা করা হয়। নিজামীর নেতৃত্বে পরিচালিত আল-বদর বাহিনীর হাতে বুদ্ধিজীবি হত্যার ভয়াবহ বিবরণ দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে ডাউনলোড করে নিন এই পিডিএফ ফাইলটি:
Click This Link
মতিউর রহমান নিজামীর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তার এলাকাবাসীও হত্যা-লুটতরাজ, অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ ও নির্যাতন ইত্যাদির অভিযোগ এনেছেন। পাবনার বেড়া থানার বৃশালিকা গ্রামের আমিনুল ইসলাম ডাবলু গণতদন্ত কমিশনকে (গণআদালত-১৯৯৩) জানিয়েছেন তার পিতা সোহরাব আলীকে একাত্তরে নিজামীর নির্দেশেই হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বটেশ্বর সাহা নামের এক তরুণ মুক্তিযোদ্ধাকে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করার।
বিস্তারিত পড়ে নিন ছবি: ২ ও ৩ থেকে
কৃতজ্ঞতা : মুক্তিযুদ্ধ কোষ (৩য় খণ্ড), মাহবুবুর রহমান জালাল ও জন্মযুদ্ধ
প্রথম ছবির কৃতজ্ঞতা ওমর শেহাব ব্লগ
১২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।
আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন
"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?


৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন
এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন
টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।