somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীর শ্লীলতাহানির গোঁড়া কোথায় - ১

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

লেখাটি কিভাবে শুরু করবো তার কোন পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না,আবার ভাবছিলাম ও অনেকবার।একবার ফেইসবুকের পাতায় লেখাটির এক অংশ লিখেছিলাম।তারপর যেহেতু সত্য কিছু কাহিনী সেখানে ছিল তাই তার বাস্তব কুশিলব দের কেউ কেউ আমাকে পরোক্ষভাবে তাদের উস্মা প্রকাশ করেছিল।তবে আমি তাদের বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলাম যে এটা জনহিতকর এবং কাল্পনিক কোন গল্প তৈরি আমি পছন্দ করি না।যাই হউক পরে সেটাকে আর ওভাবে রাখিনি,ডিলিট করে দিয়েছিলাম।কিন্তু তখন থেকেই মনের মধ্যে বিষয়টি খুচা খুচি করছিল যে এরকম একটা লেখা প্রয়োজন। সেই খুচাখুচির ঠেলায় আজ লেখাটি লিখতে বসলাম।
ইভটিজিং,শ্লীলতাহানি আর ধর্ষণ কথা গুলুর সাথে আমরা খুব-ই পরিচিত।বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রতিদিনের পত্রিকার পাতা খুললে যে জিনিষটি সবচেয়ে কমন টা হল ধর্ষণ,শ্লীলতাহানি।কোন সন্দেহ নেই যে সামাজিক নৈতিক জ্ঞানের অবক্ষয়,অশ্লীলতার অবাধ বিচরন আর ধর্মীয় মূল্যবোধের অভাব-ই এর জন্য দায়ী।তবে ধর্মীয় ব্যপারতা আলোচনা এখন আগের মত তেমন কাজ করে না,কারন এই ব্যপারে মানুষ অনুভূতিহীন হয়ে গেছে।তাই ওই ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা আজ করবো না।শুধু আমার দেখা ভাবনা আর বাস্তব কিছু অভিজ্ঞতার আলোকে এই লেখা টা সবার কাছে দিচ্ছি।পাঠক তার বিচার করে পথ খুঁজে নিবেন।
এক গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ৭০-৭৫ ভাগ পুরুষ মানুষ যখন একজন মেয়ের দিকে তাকায় তখন প্রথম তার চোখ যেখানে যায় সেটা হল মেয়েটির বুক এর উপর,তারপর আস্তে আস্তে মুখ দর্শন থেকে সারা শরীর।কথাটির প্রমান খোঁজার জন্য আমি অনেকদিন অনুসন্ধান করলাম।তারপর মনে হল আসলেই তাই।
আমি দেখলাম বন্ধুদের আড্ডায় যখনই বসলাম তারা যত সিরিয়াস বিষয় নিয়েই থাকুক না কেন হঠাত কোন মেয়ের দিকে চোখ পড়লেই তারা ওই মেয়েটার শরীর নিয়ে মন্তব্য শুরু করে দিয়েছে।একজন আরেকজনকে দেখানোর প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে কি কিভাবে নিচ্ছে তার মতামত জানতে চাওয়া,তারপর আস্তে আস্তে তাকে মনের মধ্যে লালন পালন থেকে মনে মনে তাকে নিজের অস্তিত্তের সাথে গেথে ফেলা সব-ই হয়ে যাচ্ছে।এরকম কলেজ ভার্সিটি বা যেখানেই যে কোন ছেলেদের দেখলাম তারা সবাই এই বিষয়টি নিয়ে খুব সিরিয়াস।
তো এই যদি হয় অবস্থা তবে আসলে একটা মেয়ের ধর্ষণ শুরু হয় কোথা থেকে?সেটা কি শুধু জোর করে বিছানায় নিয়ে যাওয়ার পর নাকি তারও আগে থেকে?
মানুষের জন্য সেক্সুয়াল বিষয়টা জন্মের সাথেই জড়িয়ে দেয়া আছে,ইসলাম ধর্মে সেই বিষয়টাকে বৈধ করার জন্য বেবস্থা দেয়া হয়েছে।আবার এর যাতে অন্যায় ব্যবহার না হয় তার পন্থাও দেয়া হয়েছে।যদিও আজকাল সেটা না মানার লোকজন-ই বেশী।
আধুনিকতার ধোঁয়া এর অন্যায় ব্যাবহারকে বারিয়েছে বহুগুন।একজন মেয়ে যখন বেপর্দা চলে বা যদি বলি অশ্লীল ভাবে চলে তবে পুরুষ লোকটি তার দেহের বাহ্যিক অংশ নিয়ে কল্পনা করা শুরু করে,একসময় সেই কল্পনা আরও গভীর হয়,টা থেকে সেটা গভীরতর হয়।তারমানে সেই মেয়েটি বা সেই মহিলার স্বামী তাকে নিয়ে যে ভাবনা ভাবছে বাইরের একজন লোক ও তাই ভাবছে।তাকে প্রকাশ্য না হউক মনে মনে ধর্ষণ করছ।তাই নয় কি ? তাহলে ধর্ষণের শুরুটা কোত্থেকে হয়?
আর যারা নিজেদেরকে সতি বলেন তাদের মধ্যে যারা বেপর্দা চলে অভ্যস্ত তারা তো একরকম কাল্পনিক ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছেন-ই? তাই না ? তাহলে আমরা শুধু ওই ধর্ষণকেই ধর্ষণ বলি কেন ? আর মুলের প্রতিকার না করে তা নিয়ে হই চই কেন করি ?
(চলবে)

Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১২
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×