somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নারীর শ্লীলতাহানির গোঁড়া কোথায় - ২

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের লেখাতে আমার প্রশ্ন যেখানে শেষ হয়েছে তারপর কিছু বাস্তব উদাহরন আমাকে দিতে হচ্ছে।উদাহরন গুলু সমাজের নিত্য ঘটে চলা চিত্রের আলোকে।তবে আমরা খেয়াল করি না বা করলেও এরিয়ে চলি।
ঘটনা ১ :
আমরা এক সাথে জব করি,বয়সে আমার ২/৩ বছরের ছোটো।আর দশটা ছেলের মত।অত্যান্ত আধুনিক মনা, আমার মত conservative না।তো আমাকে একটা ছবি দখিয়ে বলল আমার বন্ধুর বউ।আমি বললাম ও আচ্ছা।আমার আসলে এসব ব্যাপারে interest খুব কম।পরক্ষনেই আর একজন আসলে সে তাকে বলতেছে দেখেছো মালটা বেহুদা।কিচ্ছু নাই।বুঝতে পারলাম কি হচ্ছে।তারপর আরও clear করে বললো।চেহারা যাই আছে,বুক টুক কিচ্ছু নাই।বিষয়টা আমার কাছে খুব খারাপ লাগলো।কিন্তু আমার বলার কিছু ছিল না।
ঘটনা ২ :
একটি বাংলাদেশি shop এ অনেক গুলু staff কাজ করে, তারমধ্যে একটি মেয়ে ও কাজ করে।তো staff দের সকলের সারাক্ষণের দৃষ্টি হল ওই মেয়েটির দিকে।মেয়েটির পর্দার তো বালাই-ই নাই।উপুরন্তু short dress , আধুনিক মানসিকতা সম্পন্ন কাপড় ইত্যাদি শুধু পরেই ক্ষান্ত না,তা প্রদর্শনের মোটামুটি আটঘাট ব্যবস্থা ও করতে সারাক্ষণ নিজেকে ব্যস্ত রাখে।আর এ নিয়ে চলে staff দের মাঝে সারাক্ষণের আলোচনা।নাহ শুধু dress নিয়ে আলোচনা করেই ক্ষান্ত হলে কথা ছিল।আলোচনা চলে এ রকম,ওফ , আজ না উনি বুকটাকে এভাবে ঘুরিয়েছিলেন অমুকের দিকে ,ব্রা টা একটু ফাক রেখেছিলেন,যা লাগছিল না ! ওহ কি সুজুগটাই মিস করলাম, যদি একটু বলতাম তাহলে আজ-ই আমাকে বিছানায় ডাকতো।জামার নিচ দিয়ে না সব দেখা জাচ্ছিল।প্যন্টি টা পায়জামার ফাক দিয়ে ভাসছিল।সে তো অমুকের জন্য দিওয়ানা,অমুক তো তার সাথে রাত কাটায়।
আসলে কিন্তু মেয়েটি স্বামী ছাড়া কারো সাথে রাত কাটায় না।যদিও বাকি কাজ গুলু পর্দা না করার কারনে কখনো ঘটে,কিন্তু staff রা আসলে তাকে নিয়ে রঙ্গ রস করতে বেশ পছন্দ করে।সারাক্ষণ মেয়েটি ছাড়া staff দের আর যেন অন্য কোন বিষয়-ই নাই।সারাক্ষণ তার শরীর আর তার নগ্নতা নিয়ে কথা।
ঘটনা ৩ :
একটা ইংলিশ শপ এ একজন মেয়ে কাজ করে,সাথে কতগুলু ছেলে staff.ছেলেরা মেয়েটাকে দেখলেই সালাম দিবে।মেয়েটাও মুসলমান,আবার ছেলেগুলুও ওখানে মুসলান।তাই সালাম দেয়াটা হয়ে উঠে।বাংলাদেশী,শ্রীলঙ্কান staff সবাই।মেয়েটা বোরখা পরে,তাই কেউ তার দিকে চোখ তুলে তাকায় না।মেয়েটার কাজের ভাল মন্দ বা তার চরিত্রের ভাল দিক নিয়ে আলোচনা হয়।তবে তার শরীর নিয়ে কোন আলোচনা হয় না।সবাই তাকে যথা সম্ভব সম্মান করে কথা বলে।সম্মানের চোখে দেখে।
তিনটি-ই সত্য কাহিনি।তবে আমার চোখে তিনটি কাহিনি আজ সমাজের কোনায় কোনায় ঘটে যাওয়া বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি মনে হয়েছে।তাই উদাহরন গুলু ভাষা গত দিক থেকে অশ্লীল হলেও আমি কথাগুলুর আসল বাক্য গুলু তুলে ধরতেই কোন রকম পরিবর্তন না করেই দিলাম।
দুই নম্বর উদাহরন এর একটা বিশ্লেষণ করলে একটা জিনিষ ভেবে দেখুন তো একজন মহিলা কাপড় চোপড় না খুলেও কয়বার ধর্ষিত হচ্ছে?আর একজন ছেলে এই কল্পনা করে দিনে সে কয়বার ধর্ষণকারী হচ্ছে?
অন্য আর একটা দিক হল , একজন বউ তো শুধু মাত্র তার স্বামীর জন্য।তাই না?তাহলে অন্যকে তা দেখানোর মানে কি?আপনার বউকে যদি অন্য কেউ মনে মনে নগ্ন করে, এটা কি ভাল দেখায়?তো বন্ধুকে যখন নিজের বউএর ছবি দিলেন তা কি আর বিয়ে করা বউএর মত থাকে?কারন এমন মন্তব্য বেশির ভাগ ছেলেই করছে।যেমন করেছে এক নম্বর কাহিনীতে ।
বেপর্দার কারনে সমাজে আজ নৈতিক যে অবক্ষয় ঘটছে, তার ফল হল eveteasing , নারি নির্যাতন,ধর্ষণ ... আর অবশেষে বিয়ে ভাঙ্গন,সংসারের অশান্তি,আত্মহত্যা ।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুমানা কি আমাদের জন্য একটা উদাহরন না?
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মানিক কি এর দ্বারা তাড়িত না? (চলবে)
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:১০
১০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×