গত পরশুদিন আমেরিকার একটি মসজিদে আগুন লাগিয়ে দেবার পর আজ গতকাল কানাডার একটি মসজিদে উগ্র খ্রিস্টান জঙ্গি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নামাজরত ৫ জন শহীদ হয়।তার মধ্যে একটি বাচ্চা ও ছিল।
পয়েন্ট ওয়ানঃ ২০১৫ সালে ফ্রান্সে বোমা হামলার পর কন্ডোলেন্স প্রদর্শনের যে হিড়িক দেখা গিয়েছিল তার বেশীরভাগ ক্ষেত্রে মুসলমানদের দেখা গিয়েছিল।তখন তাদের মধ্যে দুঃখ আর মানবতা জেগে উঠেছিল।
অথচ আজকে কিন্তু অনেকেই এই ঘটনাটা জানেই না।
পয়েন্ট টুঃ গতকালকের ঘটনায় খ্রিস্টান জঙ্গি বা খ্রিস্টান সন্ত্রাসী শব্দগুলো কিন্তু এমন ভাবে উচ্চারিত হয়নি।যতটা কোথাও কোন মুসলিমের ক্ষেত্রে হয়।অথচ দেখা যায় যে না সে মুসলিম অথবা নামে মুসলিম হলেও কাজে অন্য ধরমালম্বি। সিমপ্লি সন্ত্রাসী বলেই কিন্তু ক্ষান্ত।
পয়েন্ট থ্রিঃ বাংলাদেশের মত ছাগলের ৩ নাম্বার বাচ্চার মত দেশগুলো বিদেশে মুসলিম নামের কোন কুলাঙ্গার কোন কাজ করলেই টক শো বসিয়ে দেয় কিন্তু এ নিয়ে কোন উচ্চবাচ্য কিন্তু নেই।
পয়েন্ট ফোরঃ বিগত এক শতাব্দী বা তারও আগ থেকে শতাব্দীর পর শতাব্দীর কোলে মুসলমানের রক্ত বারবার আছড়ে পরলেও খোদ মুসলমান নামধারী মানুষগুলিই চোখে দেখতে পায় না অথচ কোথাও একজন অন্য ধরমালম্বি যদি আক্রান্ত হয় তখন তাদের কন্ডোলেন্স আর কে দেখে !
পয়েন্ট ফাইভঃ বিগত এক শতাব্দীতে খ্রিস্টান দেশ তো অনেক পরের কথা খোদ মুসলিম দেশেও মুসল্মানিত্তের খাতিরে যে পরিমাণ মুসলিম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে তার ১০ ভাগ ও অন্য ধরমালম্বিদের মারা হয়নি।
পয়েন্ট সিক্সঃ ট্রাম্প বা এরকম কাউকে দোষারোপ করার খুব বেশী মানেই হয় না যখন সৌদি আরব নামক একটি রাষ্ট্রের রাষ্ট্র প্রধান আছে।যখন মুসলমান দেশগুলোতে হাসিনা,সিসি দের মত রাষ্ট্রনায়ক আছে।মুসলমান নামধারী এসব রাষ্ট্রপ্রধানরাই যেখানে মুসলমানদের শত্রু সেখানে বিধর্মীরা আমাদের চুমো দিবে না এটাই সত্য।
মূলত অপদার্থ মুসলিম নামধারী মূর্খ গরুগুলো স্বার্থের জন্য কি করে তার সামান্য পরিমাণ সেন্স ও তাদের নেই।হুজগে হঠাত ট্রাম্পের বিরোধিতা করেই ভাবে আমি মুসলমান অথচ নির্দিধায় তারা হাসিনা,সিসি,আসাদ তৈরি করে।
সময় নিজের করে নিতে জ্ঞানের বিকল্প নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৪৬