অঞ্চল ভিত্তিক রেসিজম বা বর্ণবাদ সম্ভবত বাংলাদেশ,ভারত আর পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশী।তার মধ্যে বাংলাদেশে তো দিন দিন এ সমস্যা মারাত্মক মহামারী আকার ধারণ করছে।
ছোট্ট পাড়া থেকে শুরু করে,গ্রাম-গ্রাম,থানা-থানা,শহর-শহর,জেলা-জেলা,বিভাগ-বিভাগ এর লোকজনের মধ্যে এমন সব বর্ণবাদ ছড়িয়ে আছে যেনো বাংলাদেশ এক মহাদেশের ৬৫ হাজার দেশ আলাদা আলাদা সার্বভৌমত্ব নিয়ে আছে।
রাজনৈতিক বিভাজন যেমন এই দেশটার একটা বড় সমস্যা,তার চেয়েও বড় সমস্যা এই বর্ণবাদ।
যেসব দেশকে আমরা বর্ণবাদী বলে আমরা চিনি বা জানি তাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর বর্ণবাদী দেশ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
সামান্য ভাষার একটু এদিক সেদিক বা খাওয়া দাওয়ার রুচির ভিন্নতা বাঙ্গালীদের কাছে এক কঠিন বর্ণবাদের বিষয়।
ছোট করা থেকে রীতিমত মারামারি অত্যাচার পর্যন্ত চলে।
নানা সময় ব্যাক্তিগতভাবে এমন বর্ণবাদের শিকার হয়েছি যাকে পাত্তা দিতে চাই না সবাই বাংলাদেশী ভেবে কিন্তু দিন দিন এর মাত্রা যেন মহীরুহ আকার ধারণ করছে।
খারাপ ভালো সব জায়গায় আছে,তেমনি গরীব ধনীও সবজায়গায় আছে,কেউ যখন ভালোর নিখুঁত শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করতে পারবে না তেমনি ধনীর দিক থেকেও শতভাগ শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা যেমন সম্ভব নয় তেমনি এমন ঘোষণা ভালো লক্ষণ নয় একেবারেই।
বাইরে বিড়াল আর ঘরে বাঘ সেজে যাওয়া বাংলাদেশীরা আভ্যন্তরীণ শক্তিশালী গ্রুপ গড়ে তোলার পরিবর্তে খামচাখামচি করে নিজদের যেভাবে ধ্বংস করছে তাতে বহির্শক্তি বাংলাদেশীদের কে অত্যাচারের সুযোগ পেয়ে গেছে সহজেই।
দিনশেষে বাঙ্গালী পরিচয় যাদের কাছে বড় তারা হয়তো আরও সহনশীল হবেন আর বাঙ্গালী পরিচয় যাদের কাছে তুচ্ছ এবং এলাকার পরিচয় বড় তারা আশা করি বিষয়গুলো বুঝে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি সোনার বাংলা গড়তে এগিয়ে আসবেন।এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১:৩১