somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার মায়ের আঁচল খামছে ধরেছে, বুনো শকুনের দল..

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ব্লগ থেকে বিদায় নিয়ে চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু আজ ফিরে এলাম কারন দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে, কিছু করতে না পারি, আমার কথা আর ক্ষুদ্র মস্তিস্কের ভাবনায় যদি একজন মানুষেরও বিবেক জাগ্রত করতে পারি এই ভেবে। প্রিয় মাতৃভূমি ছেড়ে অনেক দূরে আছি, তাই সক্রিয় ভাবে কিছু করার সুযোগ নেই, কিন্তু ওদের প্রতি যদি নিতান্ত ঘৃণা টুকুও প্রকাশ না করি তবে নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধতা এড়াতে পারব না। তাই আজ কিছু কথা ওদের জিজ্ঞেস করতে খুব ইছছ করছে।

আমার দেশ আমার মা, আর এই মায়ের বুকে আজ ওরা ঠুকর মারছে, ধর্ম কে ব্যবহার করছে তার হাতিয়ার হিসেবে।

ধর্ম। হা, ধর্ম এমন একটি স্পর্শকাতর বিষয় যা দিয়ে যে কোন মানুষকেই খুব সহজে প্রভাবিত করা যায়। ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা মানুষ কে নিঃসন্দেহে কোমল আর নরম মনের অধিকারী করতে পারে। আর এই সুযোগ টা কাজে লাগাচ্ছে দেশের কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী। যাদের মানুষের মতো দুই হাত আর পা থাকা সত্ত্বেও ওদের মানুষ হিসেবে ভাবতে ঘৃণায় গা রি রি করে উঠে। ধর্মের দুহাই দিয়ে ওরা আজ আমার বাংলা মায়ের বুকে আঁচড় বসাচ্ছে।

দেশের আপামর জনতা আসল সত্য তি জানে না যে এই জামাত শিবিরেরা কত পচা নর্দমার কিট, ওদের আসল চেহারা সব সময় ঢেকে রাখে ইসলাম এর ছায়ার নীচে।ওরা তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে পবিত্র ইসলাম কে, যাতে করে সহজেই মানুষ কে আবেগতাড়িত করে ওদের দলে আনা যায়।

শিবির কি ও কত প্রকার, কি করে জন্ম হয় এক একটা শিবিরের বাচ্চার আর তাদের কিভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় ইসলাম কে ভালো ভাবে ব্যবহার করতে তার হাড়ির সব খবর আমি রাখি, আমি জানি তোদের আসল চেহারা। আমার খুব কাছের এক বন্ধু তোদের পাল্লায় পরে অনেক দিন এই সব ট্রেনিং নিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সে সঠিক পথে ফিরে এসেছে।

কোন ধর্মেই হানাহানি ও সহিংশতার অবকাশ নেই, কোন ধর্মই বলে না যে মাতৃভূমির পতাকায় আগুন লাগাও, ছিড়ে ফেল, কোন ধর্মই বলে না পবিত্র মসজিদ এর ভেতর ককটেল ছুড়ো, আগুন লাগিয়ে দাও কার্পেটে।

ধর্মের কোন পুস্তকে লেখা আছে যে "শহীদ মিনার" ভেঙ্গে ফেলো? আর আল্লাহ্‌র মনোনীত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম, যে ধর্মে এই ধরনের সহিংসতার বিন্দু মাত্র সমর্থন নেই। ইসলাম মানেই শান্তির ধর্ম। তবে কেন এই ইসলাম এর মুখোশ ধারি কতিপয় শকুন আজ আমার প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের বুকে, আমার মায়ের বুকে আঁচড় বসাচ্ছে?

এ সব করেছে তাদের ব্যক্তিগত ঘৃণ্য স্বার্থ চরিতার্থ করতে, ব্যবহার করেছে পবিত্র ধর্ম ইসলাম কে সাধারণ মানুষ কে আবেগতাড়িত করতে। আস্তিক নাস্তিক নিয়ে প্যাঁচাল করছে, আরে শকুনের দল, আস্তিক না নাস্তিক নিয়ে তুই নাক গলানোর কে? ধর্ম নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপার, কেউ মেনে চললে চলবে, না চললে তার ইচ্ছে, তোদের বাপের কি?

এখন বলবি ব্লগার থাবা বাবা মানে রাজিব ধর্ম কে অবমাননা করেছে, আমাদের মহানবি (সা) কে অশালীন কথা বলেছে, কিন্তু তোরা ত ভাল করেই জানিস এই লেখা রাজিবের না, কারন রাজিবের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ওই ব্লগ গড়ে ৫-৭ বার ভিজিট হয়েছে, আর সয়ং রাজিব যদি এই সব আসলেই লিখে থাকতো তবে তাতে কমেন্টের বন্যা বয়ে যেত, ভালো আর খারাপ যা ই হোক, কিন্তু লেখা তে কোন কমেন্ট নাই।

তোদের খুশির জন্যে ধরে নিলাম ওটা রাজিবের লেখা, তবে তোদের কোন কুরাআন আর হাদিস -এ লেখা আছে যে কেউ ধর্ম কে নিয়ে কটূক্তি করলে তাকে জবাই করে ফেলতে হবে???

তোদের কোন নেতা কে যখন প্রিয় রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সাতে তুলনা করা হয়েছিলো তখন তো তোরা রাস্তায় নামিস নি? তখন কই ছিলো তোদের এই সব লোক দেখান আন্দোলন আর এই সব ভণ্ডামি? তখন তোরা খোঁয়াড়ে শুয়ে শুয়ে জাবর কাটছিলি।
তোরা যদি সত্যিই প্রিয় নবি মুহাম্মাদ (সা) কে মানতি, তাঁর আদর্শ কে অনুসরণ করতি তবে নিশ্চয়ই তোদের মনে থাকতো বিদায় হজের ভাষণের কথা, যেখানে বলা হয়েছে- " তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না", আর তোরা কি করছিস রে কুকুরের দল? যে যেমন কাজ করেছে, তাঁর ফল সে পাবে শেষ বিচারের দিন, যেদিন সে তাঁর মালিকের কাছে ফিরে যাবে, তোরা বিচার করার কে???
কোন যুক্তি তে তোরা আজ রাস্তায় নেমে এলি? রাস্তায় যখন নেমেছিস, ভালো কথা, শান্তিপূর্ণ ভাবে মিচিল শ্লোগান দিতে পারতি না, এই সব ধ্বংসযজ্ঞ কেন করচিস??


আর করেচিস তো পুলিশ কি হাতে চুড়ি পরে বসে থাকবে আর বসে বসে বসে তোদের এই কীর্তি উপভোগ করবে?
আর এখন বলিস সরকার তোদের উপর আক্রমন করছে? পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে?


তোরা না কি আলেম উলামা? শকুনের দল, আলেম উলামা দের নামে কলঙ্ক তোরা, প্রকৃত আলেম উলামা যারা, তারা একমাত্র আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চায়, তারা তোদের মতো রাস্তায় নেমে আসে না, নরম পন্থা ছেড়ে চরম পন্থা অবলম্বন করে না।

এই তোদের ইসলাম, এই তোদের ইমান? ধিক্কার তোদের আর তোদের এই নুংরামি কে, যার জন্যে আমার মা সমান আমার প্রিয় মাতৃভূমির বুকে আজ তোরা আঘাত করছিস। ছিঃ!

যদি তোরা সত্যবাদী হয়ে থাকিস, তবে ভদ্র ভাষায় আমার উপরে দেখানো যুক্তি গুলো খণ্ডন কর দেখি, আমি কত টুকু ভুল বলেছি আমাকে প্রমান কর তোদের গুষ্টি মিলে। আর যদি না পারিস তবে তোরাও জানিস, আমিও জানি যে তোরা সব ৭১ এর ফাকিস্তানি ঔরসজাত জারজ, যারা আমার মা-বোন এর ইজ্জত লুণ্ঠন কারি, ৩০ লক্ষ শহীদের খুনি আর তাদের সহযোগীদের বিচার বানচাল করতেই আজ এই সব ভণ্ডামি শুরু করেছিস, যাতে সরকার ও পুরো দেশ কে তোদের ভণ্ডামিতে ব্যাতিব্যস্থ রাখতে পারিস। তবে জেনে রাখ- " নিশ্চয়ই আল্লাহ সৎকর্মশীল দের সাতে আছেন - আল-কুরআন" , " আর প্রত্যেক টি কাজের ফলাফল নিয়াত এর উপর নির্ভর করে" - আল- হাদিস।

আর তোদের মনের ভেতর যে নিয়তে এই ভণ্ডামি শুরু করেছিস, তোরা ভালো করেই জানিস তোদের নিজের কবর তোরা নিজেই খুঁড়ছিস। বাংলার মাটি তে তোদের কোন দুসর বা যুদ্ধাপরাধীরা বাঁচতে পারবে না, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা এই বাংলায় থাকার অধিকার তোদেরনেই, হোক যে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামাত, শিবির তথা যে কোন দল বা গুষ্টির, বাঙালি জাতি তোদের কোন দিন ক্ষমা করবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

Testimony of Sixty- By Edward Kennedy বাংলাদেশের রক্তাক্ত সত্যের এক আন্তর্জাতিক স্বীকারোক্তি

লিখেছেন কিরকুট, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৩




১৯৭১ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর বৈপরীত্যের বছর। এটি যেমন ছিল অন্ধকার ও রক্তাক্ত, তেমনি ছিল সত্যের প্রতি অবিচল এক সময়কাল। এই বছরের গণহত্যা, শরণার্থী স্রোত ও মানবিক বিপর্যয়ের বিবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

২০২৪ সালের জুলাই মাস থেকে যেই হত্যাকান্ড শুরু হয়েছে, ইহা কয়েক বছর চলবে।

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭



সামুর সামনের পাতায় এখন মহামতি ব্লগার শ্রাবনধারার ১ খানা পোষ্ট ঝুলছে; উহাতে তিনি "জুলাই বেপ্লবের" ১ জল্লাদ বেপ্লবীকে কে বা কাহারা গুলি করতে পারে, সেটার উপর উনার অনুসন্ধানী... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজাকার হিসাবেই গর্ববোধ করবেন মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:১৮


একজন রাজাকার চিরকাল রাজাকার কিন্তু একবার মুক্তিযোদ্ধা আজীবন মুক্তিযোদ্ধা নয় - হুমায়ুন আজাদের ভবিষ্যৎ বাণী সত্যি হতে চলেছে। বিএনপি থেকে ৫ বার বহিস্কৃত নেতা মেজর আখতারুজ্জামান। আপাদমস্তক টাউট বাটপার একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×