তবে যাই বলুন,সময়টা কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ! এরশাদ সরকারের পতনের কথা আমার ভাসাভাসা মনে আছে, তাই নিয়ে আমার আক্ষেপের শেষ ছিলো না।কলেজে উঠে শিক্ষকদের কাছে শুনতাম সেই উত্তাল দিনের কথা । পরবর্তীতে কেয়ারটেকার সরকারের সময় বিশ্ববিদ্যালয় শেষ ভাগে এসে আমি সেই আন্দোলনের স্বাদ হাড়েহাড়ে টের পেয়েছি।
কিন্তু একটা বিষয় ভেবে ভালো লাগতো, যে আমরা ঝিমিয়ে যাইনি । কিন্তু গতকালকে থেকে মনে হচ্ছে, আমরা ঝিমিয়ে যাচ্ছি, আমরা পরিস্থিতির সাথে সমঝোতা করে চলছি।
আমাদের মেপে কথা বলতে হয় । আসলে ক্ষমতায় যেই যাক না কেন, সেই ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে যায় , যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ ! :/
একটা বিষয় ভেবে হাসি পায়, আমাদের দেশে বর্তমানে একটা A+ নামক একটি খেলনা দিয়ে যাদের মেধাবী বলা হচ্ছে সরকারের শিক্ষা খাতে সফল দেখানোর জন্য, সেই মেধাবীরা কেন বিকল্প পদ্ধতিতে ইন্টারনেট, ফেসবুক চালাতে পারবে না ?! অর্থাৎ আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম সময় উপযোগী না ।
কয়েকদিন আগে দেখলাম রাঙ্গামাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে ! সেই দিন বেশী দুরে না যেদিন দেখবেন, ঘরেঘরে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে গেছে ! আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা ১৬ বছর আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজি বাধ্যতামূলক পড়ার পরেও কেন ইংরেজি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে হিমসিম খাবো?! পাঠ্য ও পাঠদান পদ্ধতি দুটোই খাপছাড়া ।
আমরা পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিতে পারি । কিন্তু আলাদা ভাবে উচ্চ শিক্ষার জন্য নিতান্তই অপ্রতুল বরাদ্দ , সে বিষয়ে আমাদের আলাদা ভাবনা নেই !
আমাদের পুরো জীবন ব্যবস্থাই দুঃখজনক যে কারনেই মেধাবীরা(তাও ভাগ্যবান) আর দেশ মুখো হয়না ।
কিছুই বলার নাই, আক্ষেপ ছাড়া কারন গোড়াতেই গলদ। খুব সম্ভবত আমরাই পৃথিবীর একমাত্র নাগরিক, যাদের কনসেপ্ট,পদ্ধতি ডিজিটাল কিন্তু অধিকার অ্যানালগ !!! অবশেষে সবকিছু তাহলে নষ্টদের অধিকারেই গেল !!!
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৪০