ব্লগার নাস্তিকের ধর্মকথার সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস ও বঙ্গভঙ্গের ভূমিকা নিয়ে আমার দেওয়া এক পোস্টে আলোচনা হচ্ছিল। নাস্তিকের ধর্মকথার সাথে আলোচনা শুধুমাত্র বঙ্গভঙ্গেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আলোচনা এক পর্যায়ে শিল্প - সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতি আরও নানা দিকে বিচরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি নিম্নোক্ত মন্তব্য করেন:
ভাষা তথা সাহিত্যের আধুনিক যুগে পদার্পন কালেও আমরা হিন্দুদের এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইংরেজদের যে ভূমিকা পাই- তার কানাকড়িও মুসলমানদের কাছ থেকে পাই না। ভাষাকে যারা গড়ে তুললো- প্রাণ দিলো- গতি দিলো- সবাই হিন্দু, হুম এটা আমাদের ভাষার জন্য দুর্ভাগ্যজনক- কিন্তু তার দায় তো মুসলমানদেরই। তারাই কিন্তু বাংলা থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছিলো!!!
এই মন্তব্যটি পড়বার পর বড্ড খারাপ লাগল। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে মুসলমানের অবদানকে যখন কেউ কানাকড়ির সমতুল্যও মনে করেন না, তখন তার উত্তর দেবার জন্য পর্বতসম তথ্যের প্রয়োজন বলে আমার মনে হয়। আমি কোন বিষয়ে বিষদ ভাবে না জেনে মন্তব্য করা পছন্দ করি না, যদিও লিখতে লিখতে প্রায়ই বিষদভাবে না জানা বিষয়ে মন্তব্য করা হয়ে যায়। নাস্তিকের ধর্মকথার এই মন্তব্যের পরে বড্ড ইচ্ছা হচ্ছিল বইপত্র ঘাটা শুরু করতে এবং বাংলা সাহিত্যে মুসলমানদের অবদান সম্পর্কে জানতে। কিন্তু, দূর্ভাগ্য যে, নিকট ভবিষ্যতেও সে সুযোগ পাচ্ছি না। যেহেতু এ বিষয়ে বিষদ জানি না তাই নিজে মন্তব্য করছি না।
ব্লগে নানা বিষয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিগন রয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে মুসলমানের অবদান শীর্ষক আলোচনা যদি কেউ করতেন, তবে আমরা যারা এ বিষয়ে নুন্যতম জ্ঞান রাখি না তারা উপকৃত হতাম। কেউ যদি কিছু বইয়ের রেফারেন্স দিতে পারেন, যেন ভবিষ্যতে সময় পেলে কিছু লেখাপড়া করতে পারি তবে ধন্য হতাম।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



