somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মনের লুকানো ক্ষোভ অথবা কষ্ট !!!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

“তুই কিন্তু কাজটা ঠিক করছি না” ।
কেবল পরোটা মুখে পুরেছি এমন সময় সুমি এসে আমার সামনে বসল । ওর মুখের দিকে তাকিয়ে মনে হল যেন আমি খুব বড় কোন অপরাধ করে ফেলেছি ।
“মানুষকে এভাবে কষ্ট দেওয়া ঠিক না” । না চিবিয়েই পরোটাটা গিলে ফেললাম ।
“মানে কি” ?
“মানে তুই বুঝিস না” ?
আমি আর একটু পরোটা মুখে দিলাম । ডিমের মধ্যে মনে হয় একটু লবন বেশি হয়েছে ।
“আসলেই কাজটা ঠিক হয়নি” ।
সুমি বলল “হুম । কাজটা তুই ঠিক করিস নি” ।
“এই দোকানে নাস্তা করতে আসাটা ভুল হয়েছে । পরোটা টাও ঠিক মত ভাজতে পারে না এরা” ।
“অপু ফাজলামো করিস না । আমি এই ফালতু পরোটা নিয়ে কথা বলছি না” ।
“তাহলে” ?
“ তুই পৃথিলার সাথে এমন আচরন কেন করিস ? বেচারা তোর আচরনে কি পরিমান কষ্ট পায় তুই জানিস” ?
আমি কোন কথা বললাম না ।
“কি কথা বলছিস না কেন” ?
“কি বলব” ?
“অপু তুই খুব ভাল করে জানিস পৃথিলা কত ভাল একটা মেয়ে ? তুই ওর সাথে ওমন অচরন করিস কেন” ?
আমি খানিকটা সময় নিয়ে সুমির দিকে তাকালাম ।
“তোর সমস্যা কি” ?
সুমি বলল “মানে কি ? তুই পৃথিলার তরফদারি করছিস কেন” ?
“তরফদারি “??
“আমি অন্য একটা ওয়ার্ড ব্যবহার করতাম । করলাম না । আর আমি পৃথিলার সাথে কি এমন খারাপ ব্যবহার করলাম । আমি তো ওর সাথে কথাই বলি না” ।
সুমি বলল “তাই তো । তোর এই আচরনেই তো পৃথিলা কষ্ট পায় । তুই ওর সাথে কথা বলিস না কেন ? ওকে এভয়েড করিস কেন” ?
আমি হেসে ফেললাম ।
“এটা আমিও লক্ষ্য করেছি পৃথিলা আমাদের মাঝে আসলেই তুই সেখান থেকে চলে যাস । ওকে এভাবে এড়িয়ে চলিস কেন” ?
“এড়িয়ে চললাম কোথায় ? ও যখন আসে আমার তখন কাজ থাকে । এজন্য চলে যাই” ।
“শোন ভুগোল বোঝাবি না । পৃথিলা তোর ব্যবহারে কি পরিমান কষ্ট পায় তুই জানিস” ?
“শোন কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় কষ্ট পায় তাতে আমার কিছু করার নাই” ।
“না । কিছু একটা আছে । তুই ইচ্ছা করে এটা করছিস ? কেন করছিস” ?
কেন জানি মেজাজটা খারাপ হয়ে যায় । সুমি কে বলি “তুই পৃথিলাকে কবে থেকে চিনিস” ?
“এই ফাস্ট ইয়ার থেকে” ।
“তোর ঐ প্রানের ভাল বন্ধুটা জিঞ্জেস করিস যে সে আমাকে কবে থেকে চিনে । আর আমি তাকে এমন ব্যবহায় কেন করি তা সে খুব ভাল করে জানে । বুঝলি যা জানবি না তার জন্য দালালি করবি না” ।
ভেবেছিলাম ওয়ার্ডটা ব্যবহার কয়বো । রাগের জন্য মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল । নাস্তাটা ঠিক মত খেতে পারলাম না । বিল দিয়ে চলে এলাম ।
মেজাজটা খারাপ থেকে কেন জানি মনটা খারাপের দিকে গেল । সুমি যদি জানতো আমি কেন পৃথিলার সাথে এমন করি ? কেন ঐ মেয়েটাকে এড়িয়ে চলি ? কেন কষ্ট দিই যে পৃথিলাকে জীবণের প্রথম ভাল লেগেছিল কেন তাকে এড়িয় চলি । কাস ! সুমি জানতো !! কেউ যানে না ।
সবাই জানে পৃথিলার সাথে আমার এই খানে এসে দেখা । কিন্তু এটা সত্যি না । পৃথিলার সাথে আমার পরিচয় সেই কলেজ লেভেল থেকে । আমি তখন সবে মাত্র গ্রাম থেকে শহরে এসেছি । শহুরে হাবভাব বুঝি না । কেমন যেন এটা বেমানান একটা মানুষ । তবুও সবার সাথে মিশতাম । কোন বাছবিছা না । গ্রামে যেমনটা মিশতাম । এখানেও তাই । আসলে মানুষের না মিশলে আমার ঠিক মত পেতের ভাত হজম হত না ।
খেলা ধুলা পড়াশুনা আর সাথে ছিল পৃথিলার নামের মেয়েটি । পৃথিলাকে দেখার পর সত্যি করে আমি বুঝেছিলাম ভাল লাগা কাকে বলে ! কি চমত্কার দেখতে! কি চমত্কার ওর চোখ! নাক! হাসি ! সবকিছু যেন আমাকে পাগল করে রাখতো ।
প্রথম প্রথম শহরে এসে আমার একদম মন টিকতো না । ভাল লাগতো না । কিন্তু এখন সব ভাল লাগে । পৃথিলার কথা ভাবতে ভাবতে দিন চলে যায় । আর কিছু ভাবি না । এর মধ্যে হঠাত্ করেই পৃথিলার পরিচয় হয়ে যায় । পড়াশুনায় ভালই ছিলাম । ক্লাসে মোটামুটি সবাই ভাল ছাত্র হিসাবেই পরিচিত ছিলাম । একদিন স্যার একটা জটিল থিউরি বোঝালেন । ক্লাসের কেউই ঠিক মত বুঝতে পারলো না ।
ক্লাস ব্রেকের সময় পৃথিলা নিজেই এল আমার কাছে । আমি বই পড়ছিলাম মাথা নিচু ।
“অপু” ?
কন্ঠটা শুনেই বুকের মধ্যে ধড়ক করে উঠল । পৃথিলার কন্ঠ । আমি মাথা তুলে তাকালাম । আমার বুকের ভিতর তখন ঝড় আরাম্ভ হয়ে গেছে । পৃথিলা হাসল ।
“ব্যস্ত” ?
“না । কেন ? বল ...” কোন মতে বললাম ।
“না মানে স্যার আজ কি পড়াল কিছুতে বুঝি নি । একটু বোঝাবা” ? আমি মোটামুটি বুঝে ছিলাম । দুরু দুরু বুক নিয়ে ওকে বুঝিয়ে দিলাম ।
যাওয়ার সময় ও নিজেই আমার মোবাইল নাম্বর নিল ।
বলল “সময় অসময়ে তোমাকে বিরক্ত করবো কিন্তু” । বলে পৃথিলা হাসল । কথাটা শুনে আমার এতো ভাল লাগলো । মনটাই ভাল হয়ে গেল । অদ্ভুদ এক ভাল লাগা সারা মন জুড়ে বয়ে চলল ।
তারপর ও মাঝে মাঝে আমাকে ফোন দিত । আমিও টুকটাক ফোন দিতাম । ওর সাথে কথা বলতেও এতো ভাল লাগতো ! ক্লাসেও ওর সাথে দেখা হত । ও হাসতো আমাকে দেখে । কথা বলত । মনে হত জীবনে আর কিছু চাওয়ার নাই ।
তারপর .... একদিন রাত্রে বেলা । বেশ রাত । পৃথিলা ফোন দিলো । আমি ওর ফোন দেখে বেশ অবাক হলাম । এতো রাতে তো পৃথিলা কোন দিন ফোন দেয় না । ফোন রিসিভ করলাম ।
“হ্যালো” !
কোন ভূমিকা না করেই পৃথিলা বলল “তুমি তোমার বন্ধুদের কি বলেছ” ? ও কন্ঠটা বেশ কঠিন শোনাল ।
“কি বলেছি” ?
“আমাকে নিয়ে কি বলেছ” ?
“কই কিছু বলি নি তো” ।
“শোন অপু এতো নিরিহ সাজার চেষ্টা করবা না । তুমি না বললে ওরা জানল কি ভাবে ? তোমার কয়দিন কথা বলেছি বলে তোমার প্রেমে পড়ে গেছি আমি ? নিজের চেহারা দেখেছ তুমি ? তোমাকে আমি সাবধান করে দিচ্ছি ফারদার তুমি আর আমাকে ফোন করবে না । আমার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ ও করবে না” ।
পৃথিলা ফোন রেখে দিল । আমি ঠিক বুঝলাম না ও এমন করলো কেন ? আমি তো কাউকে কিছু বলি নি । কেবল আমার এক বন্ধুকে বলেছিলাম যে পৃথিলার সাথে প্রায়ই কথা হয় ফোনে । আর কিছু বলি নি । মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল । ও এমন করে কেন বলল ?
ঘটনা এখানে শেষ হলে ভাল হত কিন্তু এখানেই শেষ হল না । পরদিন ক্লাস শেষে পৃথিলা সবাইকে একটু বসতে বলল কি একটা কথা বলবে । আমি খানিকটা অসস্থির মধ্যে পড়লাম ।
পৃথিলা সবাই কে উদ্দেশ্য করে বলল “তোমাদের সবাই কে আজ একটা খ্যাতের গল্প বলার জন্য বসতে বলেছি । আমি খ্যাতের কাছে আমি একদিন একটা থিওরি বোঝার জন্য গিয়েছিলাম । তাই দেখে ওনার মনে হয়েছে আমি তার প্রেমে হাবুদুবু খাচ্ছি । সে মানুষের কাছে বলে বেড়িয়েছে আমি নাকি তাকে নিয়মিত ফোন করি । কথা বলার জন্য আকুপাকু করি । এখন তোমরা বল ঐ খ্যাত টা কি বলা উচিত্” ।
অনেকে বলল নামটা বল । একটু দেখি তাকে ।
পৃথিলা বলল “তাও যদি আমার লেভেলে সে থাকতো একটা কথা ছিল । ঐ খ্যাত ঠিক মত প্যান্ট পরতে না । শার্ট যেন না ,পাঞ্জাবীর মত লাগে । গা দিয়ে ...” পৃথিলা মুখ বিকৃত করল ।
আপনাআপনি আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে এল । আমি আমার চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না । ওর বলা প্রতিটি কথা যেন আমার কান দিয়ে ঢুকছিল না । আমার সব থেকে পছন্দের মানুষটা আমাকে এই ভাবে ছোট করল ? এই ভাবে অপমান করল ?
ঐ দিন খুব কেঁদে ছিলাম । নিজের উপর খুব ঘেন্না জন্মে ছিল । সেদিন প্রথম বারের মত নিজেকে বড় ছোট মনে হয়েছিল । তারপর থেকে আমি কলেজ যাওয়া বন্ধ করে দেই । কেবল পরীক্ষা গুলো দিতাম । আর ক্লাসের কারো সাথে দেখা করতাম না । মোবাইল নাম্বারও বদলে ফেলছিলাম ।
কলেজ শেষ করার পর আমি এখানে ভর্তি হই । আর অবাক হয়ে দেখি পৃথিলাও আমার সাবজেক্টেই ভর্তি হয়েছে । তারপরও কেটে গেছে আরো দুটো বছর । এই বছর গুলোতে আমার অনেক পরিবর্তন এসেছে । বলতে হয় আমি নিজে নিজে পরিবর্তন গুলো এনেছি । আমার নিজের একটা সার্কেল তৈরি হয়েছে । আজ আমাকে মানুষ আর যাই বলুক গ্রামের খ্যাত অন্তত বলতে পারবে না ।
ভার্সিটির প্রথম থেকেই একটা ব্যাপার আমি দেখতাম পৃথিলা আমার সাথে কথা বলতে চাইতো । কিন্তু আমি ওকে এড়িয়ে চলতাম । আস্তে আস্তে পৃথিলা আমার ফ্রেন্ড সার্কেলের মধ্যে ঢুকে পড়ল । তবুও ওকে আমি সব সময় এড়িয়েই চলি ।
রাত্র সুমি ফোন দিল । ওর উপর মেজাজটা খারাপ ছিল এমনিতে । ভেবেছিলাম ফোনটা ধরবো না । তবুও ধরলাম । “তুই কি খুব রেগে আছিস” ?
“না বল” ।
“অপু পৃথিলা আমাকে সব বলেছে” । আমি কোন কথা বললাম না ।
“ওটা একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল” ।
“শোন সুমি আমার ফ্রেন্ড না পৃথিলার ফ্রেন্ড” ?
“আমি দুজনেরই ফ্রেন্ড” ।
“তাহলে থাক তুই ঐ ফেন্ড নিয়ে । তুই ওকে নিয়ে বা ওর কোন কথা আমাকে আর বলবি না । মনে থাকবে” ।
“শোন না একবার কথাটা ....”
“তুই শোন আমার কথা । আমি যা বললাম দ্বিতীয় বার আমি আর বলব না । এখন রাখি । কথা বলতে ভাল লাগছে না” ।
ফোন রাখার পরেও কেন জানি মনটা খারাপই হয়ে গেল । একটুপর এক আননোন নাম্বর থেকে ফোন আসল । আমি মোটামুটি সিওর যে ফোনটা পৃথিলাই করেছে । ধরবো না ধরবো না করেও ধরলাম ফোন টা ।
প্রথমে কিছুক্ষন কথা বলল না কেউ ই ।
“ভাল আছো অপু” ?
“কেন ফোন করেছ” ?
“আমাকে কিছু বলার সুযোগ দাও প্লিজ” ।
কঠিন কিছু বলতে গিয়েও কেন জানি বলতে পারলাম না ।
পৃথিলা বলল “আমি অনেক পরে জেনেছিলাম যে তুমি কিছু বলনি । আমার কি যে খারাপ লাগছিল তোমার সাথে ওমন ব্যবহার করার জন্য । আমি যতবার তোমাকে দেখতাম মনের মধ্যে কি যে একটা অপরাধ বোধ কাজ করতো ! তোমার সাথে কথা বলতে চেয়েছি । কিন্তু তুমি আমাকে সুযোগ দাও নি” । পৃথিলা থামলো কিছুক্ষন ।
তারপর বলল “প্লিজ কিছু বল অপু” ।
“শোন এসব কথা বলে আর এখন কোন লাভ নাই” ।
“অপু প্লিজ । আমার কথা টা একটু শোন” !
“পৃথিলা তুমি যদি ঐ দিনকার কথা কেবল ফোন পর্যন্ত রাখতে আমার এতো কষ্ট হত না । যে কারো রাগ হতে পারে এটা ছিল সাভাবিক । কিন্তু ঐ দিনকে তুমি ক্লাসে ..... কি বলে ছিলে মনে আছে ? আমার প্রতিটা কথা মনে আছে । মনে থাকবে । ঐ দিনকার কথা আমি কোন দিন ভুলতে পারবো না । ঐ দিন কার পর নিজের কাছে আমি নিজে কত ছোট হয়ে গেছি তুমি জানো ? আমি কোন দিন তুমি যাকে আমি সব থেকে বেশি পছন্দ করতাম সেই তুমি আমার সাথে এমন একটা আচরন করতে পারো । তাও আবার সবার সামনে । এতোটা হিউমুলেটেড আমি কথনও নি । আই এম সরি পৃথিলা । আমি কোনদিন এটা ভুলতে পারবো না । আমি রাখি” ।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেঘ ভাসে - বৃষ্টি নামে

লিখেছেন লাইলী আরজুমান খানম লায়লা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১

সেই ছোট বেলার কথা। চৈত্রের দাবানলে আমাদের বিরাট পুকুর প্রায় শুকিয়ে যায় যায় অবস্থা। আশেপাশের জমিজমা শুকিয়ে ফেটে চৌচির। গরমে আমাদের শীতল কুয়া হঠাৎই অশীতল হয়ে উঠলো। আম, জাম, কাঁঠাল,... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×