somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হঠাৎ করেই আজ আমার বিয়ে হয়ে গেল

১৭ ই মে, ২০১২ রাত ৯:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাঠের জানলাটা খুব সাবধানে খোলার চেষ্টা করলাম । যেন কোন আওয়াজ না হয় । তবুও খানিকটা ক্যাচকুচ আওয়াজ বের হয়েই গেল ।জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরে তাকালাম ।
আমার ঘরের ঠিক সামনেই উঠানে চেয়ারের উপর আব্বা বসে আসেন । আমি আবার খাটের উপর ফিরে এলাম ।
কি করবো কিছুই বুঝতে পারছি না । অবশ্য বুঝতে পারলেও কিছু করার ছিল না । এই ঘর থেকে পালাতে পারতাম না কিছুতেই !
ঘরের দরজায় তালা মারা । আর সেই তালার চাবি নিয়ে আব্বার দরজার সামনেই বসে আছে । পালানোর কোন উপায় দেখছি না । যদিও বা কোন ভাবে তালা খোলা যায় তবুও পালানোর সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ ।
আব্বা দরজার সামনে বসে আছে । আমার বাপের কি সাধ্য তার সামনে দিয়ে পালানো !
বাপের কি সাধ্য ?? নিজের ভাবনায় নিজের কাছেই হাসি এল । আসলে বড় ধরেনের শক খেলে মানুষের চিন্তা একটু এলোমেলো হয়ে যায় । আমার অবস্থা ঠিক ঐ রকমই হয়েছে ।

সকালবেলা ঘুমাচ্ছিলাম । আব্বার ফোনে ঘুম ভাঙ্গল ।
-এতো বেলা করে ঘুমাচ্ছ কেন ?
আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাত্র সাতটা বাজে । ছুটির দিনে সাতটা পর্যন্ত ঘুমানো নিশ্চই জায়েজ আছে ! কিন্তু এই কথাটা আব্বাকে বলার সাহস হল না ।
আব্বা আরো কিছুক্ষন ঝাড়ি মারলেন । চুপচাপ শুনলাম । তারপর বললেন
-এখনই বাড়িতে আসো !
আমি বলতে পারলাম না কেন ? ছোট একটা ব্যাগ নিয়ে রওনা দিয়ে দিলাম । ঢাকা থেকে কাছেই আমাদের বাড়ি । ঘন্টা খানেকের রাস্তা । দশটার মধ্যেই পৌছে গেলাম ।
আমাদের বাসাটা বেশ খোলামেলা । দুর থেকেই দেখা যায় কি হচ্ছে । বাড়ি থেকে তখনও খানিক তফাতে , দেখলাম আমাদের বাড়িতে কেমন একটা উৎ‍সব উৎ‍সব ভাব ।
শামীয়ানা টাঙ্গানো হচ্ছে । লোকজন এদিক ওদিক ছোটা ছুটি করছে !! কেন কে জানে ??
আরো একটু কাছে এসে দেখলাম দুটো বড় সাজেই গরুও জবাই করা হয়েছে । মনে মনে ভাবলাম নিশ্চই আব্বা বড় কোন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে । এই জন্য আমাকে আসতে বললেন ।
কিন্তু কি জন্য ? এমন বড় কিছু হলে মা নিশ্চই আমাকে ফোন করে জানাতো ।
বাসায় ঢুকতেই দিপুর সাথে দেখা হল । আমাকে দেখে কেমন অদ্ভুদ ভাবে হাসল । বললাম
-কিরে ওমন করে হাসছিস কেন ? আমাকে এর আগে দেখিস নি?
দিপু বলল
-টের পাবা ।
আর কিছু বলল না । মানে কি ?
আমি অবাক হয়ে দেখলাম বাড়ির প্রতিটি মানুষ দিকে তাকিয়ে আছে আর সবার মুখেই কেমন অদ্ভুদ হাসি ।
এদের সমস্যা কি ? ঘরের মধ্যে ঢুকে দেখি মা বসে বসে পান খাচ্ছে । বলল
-কি হচ্ছে গো মা এসব ? এতো আয়োজন কিসের ?
দেখলাম মাও হাসল । সেই অদ্ভুদ হাসি । মা কিছু বলতে যাবে ঠিক ঐ সময়ে বাবা পেছন থেকে বলে উঠল
-আনয়ারুল আলম ?
চরকির মত ঘুরে বললাম জি আব্বা ?
-তোমার মোবাইল টা আমার হাতে দাও ।
আমি বাধ্য ছেলের মত দিয়ে দিলাম । আমার মোবাইলটা নিলো কেন বুঝলাম না । আব্বা মাকে উদ্দেশ্য কয়ে বলল
-নীলুফা তুমি বাইরে যাও ।
-এখনই কইবেন ? পোলাডা মাত্রইতো আইল ।
মা আরো কিছু বলতে চাচ্ছিল কিন্তু আব্বার মুখের দিকে তাকিয়ে আর কিছু বলল না । ঘরের বাইরে চলে গেল ।
তারপর আব্বা আমার দিকে তাকিয়ে যা বলল তা শোনার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না । আব্বা কেবল একটা কথাই বললেন
-আজ দুপুরে তোমার বিয়ে ।
আর কোন কথা নেই । তারপর ঘুরে চলে গেলেন । যাওয়ার সময় দরজা বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে গেলেন ।
তার মনে এই চিন্তা এসেছিল যে আমি পালাতে পারি ।

কিছুক্ষন পর আব্বা নিজেই জানলার কাছে এলেন । আমার মোবাইলটা আমার কাছে ফেরৎ‍ দিয়ে বলল
-তোমার কোন কে ইচ্ছা করলে ডাকতে পারো । বিয়ে শাদীতে বন্ধুবান্ধবের দরকার আছে । নাও ফোন দাও ।
আমি শুকনো মুখে বললাম
-জি আচ্ছা ।
মোবাইলটা নিয়ে খানিকটা শান্তি লাগল । এতোক্ষনতো একেবারে বন্দী ছিলাম এখন অন্তত একটু মুক্ত ।
আচ্ছা ফোন দিয়ে যদি এখন পুলিস কে খবর দেই তাহলে কি তাড়া এসে আমাকে উদ্ধার করবে ?
না মনে হয় । তাহলে কার কাছে দিবো ? সজিবের কাছে দেই ? ও ই সব থেকে কাছের বন্ধু ।
সজিব কোন না কোন বুদ্ধি দিতে পারবে
-হ্যালো কই তুই ? সকাল বেলা ঘুম থেকে উইঠা দেখি তুই গায়েব । গেলি কই ?
-গ্রামে আসছি ।
-ও । হঠাৎ‍ গ্রামে গেলি ক্যান ?
-আব্বা আসতে বলল ।
-ক্যান ?
-আজ আমার বিয়ে !
সজিব মনে হয় পানি বা ঐ জাতীয় কিছু খাচ্ছি । মুখ থেকে ছিটকে বের হবার আওয়াজ পেলাম ।
-কি....... কি বললি ?
-আজ কে আমার বিয়ে ।
-ক্যামনে ? কালকেও কিছু বললি না । আর আজকে বিয়া ?
-আরে আমিও কি জানি নাকি ? সকাল বেলা আব্বা ফোন দিয়ে বলল বাসায় আসতে । গেলাম । ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে দরজা আটকিয়ে দিয়ে বলল আজ তোমার বিয়ে ।
-কি বলিস ? ফান্দে পরছোস ?
-হুম । কিছু একটা বুদ্ধি দে ।
-পালাইতে পারবি না ?
-উপাই না । আব্বা দরজার সামনে বসে আছে ।
-তাইলে মামা আমি কি করুম ?
কথা সত্য । সজিবের আসলে কিছুই করার নাই । আমি দরজা থেকে বের পারলেও খুব বেশি দুর পালাতে পারবো না । পুরো গ্রাম আব্বার কথায় চলে । কেউ না কেউ ধরে ফেলবেআ ।
-দোস্ত একটা বুদ্ধি পাইছি ।
-কি ?
-নিশিরে ফোন দে ।
-নিশিরে ? ক্যান ?
-আরে নিশিদের বাড়িতো তোদের গ্রামেই । তুই ওরে ফোন দে দেখ ও একটা ব্যবস্থা ঠিকই করে ফেলবে ।
-কিন্তু ও এক মাস ধরে আমার ফোনই ধরছে না ।
-আরে ধরবে । চেষ্টা করতে থাক । ও ছাড়া আর কোন উপায় নাই । আর আমি আইতাছি । বিয়ে না হলে তোকে নিয়ে ঢাকায় আসবো আর যদি হয়েই যায় তাহলে বিয়ের খানা খেয়ে আসবো । বহুদিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয় ।
ফোন রেখে আমি নিশিকে ফোন লাগালাম । আজ একমাস নিশি আমার ফোন রিসিভ করে না । আজকে ধরবে কি না কে জানে ? দেখলাম কপাল ভাল । প্রথম বারেই ধরল ।
-বল ।
-কেমন আছো জান ?
-জান ফান বাদ দাও । কি জন্য ফোন দিয়েছ বল ? আমার অনেক কাজ পরে আছে ।
-কি কাজ ? কি কাজ সেটা তোমার না জানলেও চলবে ! কেন ফোন দিয়েছ তাই বল ?
-আজ আমার বিয়ে ।
নিশি কিছুক্ষন চুপ করে থাকল । তারপর বলল
-ভাল তো । বিয়ে করে ফেলো ।
-আমি ইচ্ছা করে করছি নি । বাবা জোর করে বিয়ে দিচ্ছে ।
-ভাল !! বাবার বাধ্য ছেলের মত বিয়ে করে ফেলো । আমাকে ফোন দিয়েছ কেন ? দাওয়াত দিতে ?
-প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর না ! আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই ।
-তাহলে বল তোমার বাবাকে ।
-আচ্ছা তা না হয় বলব কিন্তু এখন আমাকে উদ্ধার কর প্লিজ ।
-কিভাবে করবো শুনি ?
-তোমার বাবাকে ফোন করে একটু বল যেন আমার বাবাকে একটু বলে ।
-আচ্ছা তুমি চাও যে তোমার জন্য আমি আমার বাবাকে বিপদে ফেলি ।
-মানে কি ?
-মানে বোঝ না ? তোমার বাবা যে পরিমান রাগি । বিয়ে আটকাতে গেলে আমার বাবাকে গুলে করে দিবে । শোন আমি তোমার পিছনে অনেক সময় নষ্ট করেছি । আর না । যে ছেলে পাঁচ বছর ধরে একটা বারও বিয়ের কথাটা বলতে পারলো না যে ছেলে এতো ভীতু এমন ছেলেকে আমি বিয়ে করবো না ।
-প্লিজ একটু বোঝার চেষ্টা কর ।
-কোন বোঝাবুঝি নাই । নিজে পারলে বল । না হয়ে ঐ বাপের পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করে ফেল ।
-প্লিজ একটু ......
নিশি আর শুনলো না । আর একবার ফোন দিবো কিনা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না ।
ফোন দিয়ে লাভ নাই আমি জানি । নিশি আর ফোন ধরবে না । ও যা জেদি । একবার যা বলবে তাই ।
মাস খানেক আগে একদিন এসে বলল
-তুমি কি আমাকে বিয়ে করবা ?
প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো ঠাট্টা করছে । কিন্তু মুখ দেখে বুঝলাম যে ও সিরিয়াস । বেশ কিছুদিন থেকেই ও বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিল ।
কিন্তু আমি এড়িয়ে যাচ্ছিলাম । আসলে আমারও ইচ্ছা নিশিকে বিয়ে করার ।
কিন্তু আব্বা কে কিভাবে বলি ? আব্বার সামনে এ কথা বলার আমার সাহস নাই । আর একা একা বিয়ে করার মত যে বুকের পাটা লাগে সেটাও আমার নাই । আব্বা আমাকে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবে !
-কি বিয়ে করবা তুমি ?
-আব্বাকে কিভাবে বলব ?
-আমি কি জানি ? তোমার বাবা তুমি বলবা ? এই কথাটা বললে নিশ্চই উনি তোমাকে খেয়ে ফেলবে না ।
-তুমি আমার আব্বা কে চিনো না । আমাকে চিবিয়ে খেয়েই ফেলবে ।
-ওকে ঠিক আছে । তাহলে আমার কথা ভূলে যাও । ঠিক আছে ? আজকের পর তুমি আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবে না । কোন ভীতু কাপুরুষের সাথে আমি কোন রকম সম্পর্ক রাখবো না ।

তারপর থেকে নিশি আর আমার সাথে কোন রকম যোগাযোগ রাখে নি । আমি ফোন করলেও ও আর ফোন ধরে নি ।
সজিব দুপুরের মধ্যেই চলে এল । ভেবেছিলাম ও হয়তো কিছু একটা করবে কিন্তু অবাক হয়ে দেখলাম নিজেই বিয়ের কাজে খুব উৎসাহী ।
বিয়ে টা ওর হলে ভাল হত !!
দুপুর বেলা আমাকে ঘর থেকে বের করা হল । গায়ে হলুদ হবে । আব্বা নতুন লুঙ্গি আর গেঞ্জী এনে পড়তে বললেন । আমাকে উঠানের মাঝখানে বসানো হল ।
কোথা থেকে জানি একঝাক পোলাপাইন আমাকে ঘিরে ধরল । আমার সারা গায়ে হলুদ ডলতে শুরু করল । আস্তে আস্তে সবাই ই এল ।
সজিবও এল হলুদ দিতে । ওকে দেখে মেজাজটা খারাপ হল । বললাম
-তুই বিয়ে আটকানোর কি করলি ?
সজিব যেন আকাশ থেকে পড়ল ।
-বিয়ে আটকাবো কোন দুঃখে ? এতো সুন্দর আয়োজন !! চুপচাপ বিয়ে করে ফেল ।
সজিব আর দাড়াল না ।
বিকেলের কিছু পরে আমার বিয়ে হয়ে গেল । আসলে গায়ে হলুদের পর আমি একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছিলাম । কি হচ্ছ না হচ্ছে কিছু বুঝতেই পারছিলাম না । কেবল এইটুকু মনে আছে চুটুক দাড়ি ওয়ালা এক লোক আমাকে বলল
-বাবা কবুল বল ।
-জি??
-কবুল বল বাবা !
সাথে সাথে আব্বাব ও বলে উঠল
-কবুল বল ।
আমার আর কিছু খেয়াল হল না । আব্বা কবুল বলতে বলেছে তাই বলে ফেললাম
-কবুল ।

যখন মোটামুটি স্থির হলাম তখন রাত হয়ে গেছে । সজিবের সাথেই ছিলাম । ও কি বকবক করছিল কে জানে আমার মাথা দিয়ে কিছুই ঢুকছিল না । বারবার মনে হচ্ছিল সকালবেলাই জীবিত ছিলাম এখন বিবাহিত হয়ে গেলাম ।
এতো কাল কেবল আব্বার কথা মত জীবন কাটিয়েছি এখন তার সাথে যুক্ত হল বউ এর খবরদারী ।
আমার নিজের লাইফ বলেকি কিছু নাই ?
একবার মনটা বিদ্রোহ করে উঠল । আমার নিজের লাইফ বলে কি কিছু নাই ?
আমি এই বিয়ে মানি না ।
আমি বাসর ঘরে ঢুকবো না ।
কেউ আমাকে বাধ্য করতে পারবে না ।
-আনয়ারুল আলম !
-জি আব্বা !
-রাত হচ্ছে ।
-জি আব্বা !
-বউ মা অনেক ধরে অপেক্ষা করছে । ঘরে যাও ।
-জি আব্বা ।

সজিব আমাকে ঘরের সামনে নিয়ে গেল । হাটছিল কিন্তু পায়ে কোন বল পাচ্ছিলাম না । চিরো পরিচিত এই ঘরটাও কেমন যেন অপরিচিত মনে হচ্চে । সজিব কে বললাম
-ভয় লাগছে রে ।
সজিব হাসল । বলল
-আরে ভয় পাশ কেন ? কিছু হবে না । যা আল্লাহর নাম নিয়ে যা । আর ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করিস ।
আমি দরজা বন্ধ কয়লাম । দেখলাম খাটের উপর পুরো ঘোমটা দিয়ে কেউ একজন বসে আছে ।
আরে কেউ একজন আবার কি ?
ঐটা আমার বউ ! কি আশ্চার্য আমার বউ ! আমার বউ ।
আমি আর একটু কাছে এগিয়ে গেলাম । মেয়েটা নিশ্চই টের পেয়েছে আমি ঘরে ঢুকেছি ।
নাকি একবার জানান দিবো !!
কিছু একটা বলতে গেলাম ঠিক তখনই ধুপ করে কারেন্ট চলে গেল । পুরো ঘর জুড়ে তখন অন্ধকার । এভাবেই কেটে গেল কিছুক্ষন ।
মেয়েটা খাটের উপর বসে আছে । আর আমি দাড়িয়ে আছি খাট থেকে কিছুটা দুরে ।
আচ্ছা মেয়েটা কি অন্ধকারে ভয় পায় ? আমার কি কিছু বলা উচিত্‍ ? ভয় পেও না , আমি আছি এই টাইপের কিছু ।
কিন্তু কোন কথাই মুখ দিয়ে বের হল না ।
রুম থেকে কি বের হব ?
-কি আশ্চার্য খাম্বার মত দাড়িয়ে আছো কেন ?
আমি মোটামুটি ধাক্কার মত খেলাম ।
-আলো জ্বালবে তো !
নিশি ?? নিশি এল কোথা থেকে ?
আমি কাঁপা হাতে মোবাইলটা বের করে আলো জ্বাললাম । নিশি ততক্ষনে ঘোমটা খুলে ফেলেছে ।
ও কিভাবে এল ?
-কি ব্যাপার ওখানে ওভাবে দাড়িয়ে আছো কেন ? মোম টোম জ্বালাও । অন্ধকায়ে বসে থাকবো নাকি ? আজিব তো !!
আমি দরজা খুলে বাইরে যেতেই দেখলাম সজিব একটা মোম নিয়ে এগিয়ে আসছে । আমার মুখ দেখেই নিশ্চই বুঝতএ পেড়েছে । আমাকে বলল
-কেমন শক খাইলা মামা ?
-তুই জানতি ।
-আগে থেকে না । এখানে আসার পর থেকে জানলাম । সব নিশির প্লান । ঐ তোর বাবা কে কনভান্স করেছে । সব বুদ্ধি ওরই । যা যা জলদি যা । বাসর রাতে বউকে রেখে বেশিক্ষন বাইরে থাকাটা ঠিক না ।

আমি মোমের আলো নিয়ে আবার ঘরের দিকে পা বাড়ালাম !!!
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭
৬৪টি মন্তব্য ৬৩টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×