মেয়েটাকে আজকে দেখে খানিকটা চমকে উঠলাম । আজ একেবারেই অন্য রকম লাগছে মেয়েটাকে । সেদিনের সাথে যেন আজ কোন মিলই নাই ।
বিশেষ করে পোষাকে এতো পরিনর্তন । ঠিক হজম করতে পারছি না ।
সেদিন মেয়েটি কি চমৎকার সেলোয়ার কামিজ পরেছিল । হলুদ আর নীল রংয়ের জিপছি ।
মেয়েটাকে দেখতে কি চমৎকারই না লাগছিল !!
আর আজ টাইট ব্লু জিনসের সাথে টাইট সাদা টিশার্ট !! চোখে রোদ চশমা । অবশ্য আজকেও সুন্দরই লাগছে । তবে সেদিন বেশি সুন্দর লাগছিম ।
মেয়েটার নাম আমি ঠিক জানি না । কেবল জানি যে আমি যেখানে থাকি তার পাশের বিল্ডিংয়ে থাকে !
সব সময়ই দেখি মেয়েটাকে ! কিন্তু এমন হট পোষাকে এর আগে দেখিনি ।
এরকম মেয়েদের থেকে আমি একটু দুরেই থাকি । বেশি স্মার্ট মেয়ের প্রতি আমার আবার এলার্জি আছে । আমি একটু দুরে দুরেই থাকি । এদের সাথে কথা বলাটা ঠিক নিরাপদ মনে করি না আমি ।
ঐদিন অবশ্য মেয়েটাকে আমি চমকে দিয়েছিলাম ।
কি করবো ঐদিনকে মেয়েটাকে আসলেই আমার খুব ভাল লেগেছিল । চেহারায় কেমন একটা কোমল কোমল আর মোলায়েম ভাব ছিল । মনে হচ্ছিল যে এর সাথে কথা বলাটা নিরাপদ । মেয়েটা রাগ করবে না অথবা বিরক্ত হবে না ।
ঐদিন সকাল বেলা হোটেল নাস্তা খেয়ে ফিরছিলাম । বাড়ির কাছাকছি আসতেই মেয়েটাকে দেখলাম । এর আগেও দেখছি কিন্তু আজ কেন জানি কথা বলতে ইচ্ছা হল ।
আমি এগিয়ে গেলাম মেয়েটার দিকে । আমার এমনিতে চকলেট খাওয়ার শখ । ঐ দিনও হাতে চকলেট ছিল । সরাসরি মেয়েটার সামনে গিয়ে একটা চকলেট এগিয়ে দিলাম ।
মেয়েটা খনিকটা চমকে উঠল । কিন্তু সামলে নিল পরক্ষনে
চোখে জিজ্ঞাসা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল ।
আমি বললাম
-বোম না ! চকলেট ! নিন !
মেয়েটা কিছু না বলে আমার দিকে তাকিয়ে রইল । আমি আবার বললাম
-আরে আমি ছেলেধরা না যে চকলেট খাইয়ে আপনাকে অজ্ঞান করে ফেলবো । তাপপর আপনাকে কিডন্যাপ করে আপনার বাবা কাছ থেকে টাকা দাবী করবো । এটা একটা চকলেট । দারুন টেষ্ট! খেয়ে দেখেন !!
-আপনি কে ?
-যাক কিছু তো বললেন !! আমি আপনার পাশের বিল্ডিংয়ে থাকি । নিন প্লিজ নিন !!
মেয়েটা চকলেট টা নিল । আমার আরো কিছু বলার ইচ্ছা ছিল । কিন্তু আমি আর দাড়ালাম না । কেবল থেঙ্কিউ দিয়ে হাটা দিলাম ।
আমি খুব ভাল করেই জানি মেয়েটা আমার দিকেই তাকিয়ে আছে ! আর আমার কথাই ভাবছে !! পেছন দিকে একবার তাকানোর ইচ্ছে ছিল কিন্তু তাকালাম না । থাকুক কিছু কৌতুহল ।
কিন্তু আজকে মেয়েটা এড়িয়ে যেতে চাইলাম । জিনস পরা মেয়ে দের থেকে আমি একটু দুরে দুরে থাকি । কিন্তু আজ মেয়েটা আমাকেই ডাক দিল । তাও আবার আমার আমার নাম ধরে !!
-অপু সাহেব !!
আমি সত্যি অবাক না হয়ে পারলাম না । আমি মেয়েটার নাম জানি না । কিন্তু মেয়টা আমার নাম জানলো কিভাবে ??
আমি এগিয়ে গেলাম ।
-কেমন আছেন ?
-ভাল ।
-আজকে চকলেট দিবেন না ?
আজকে মেয়েটা মধ্যে কেমন একটা কনফিডেন্স আছে । ঐদিন ছিল না । আমি খুব ভাল করে জানি এই রকম পোষাক পরলেই মেয়েদের এটিটিউড পরিবর্তন হয়ে যায় ।
আমার পকেটে চকলেট ছিল । আমি বের করে দিলাম ।
মেয়েটা আমার সামনেই চকলেট টা খুলে মুখে দিল ।
ওহ!! কি ভঙ্গি !!
-আপনার চকলেট টা অনেক স্বাধের । ঐদিন ধন্যবাদ দেওয়া হয় নি ।
আজ কে দিলাম । থেঙ্কিউ ।
-ওয়েল কাম !!
-আচ্ছা আপনি কি সবাই কে চকলেট দিয়ে বেড়ান ?? নাকি শুধু মেয়েদের ?
আমমি বুঝতেই পারছিলাম এই মেয়েটা এখন আমাকে আক্রমন করবে ! আরো কত কিছু বলবে কে জানে !!
এখানে থাকাটা খুব বেশু নিরাপদ না । আমি বললাম
-আমার একটা কাজ আছে । আমি আপনার সাথে পরে কথা বলি ?
-হ্যা বলেন । সমস্যা নাই ! তবে একটা কথা ..
-বলুন ।
-এবার থেকে যতবার আামর সামনে আসবেন আমাকে চকলেট খাওয়াবেন । মনে থাকে যেন !
-আচ্ছা !
আমি আর দাড়ালাম না । কি বলবে কে জানে !! আমি জানি ঐদিনের শোধ মেয়েটা আমার কাছ থেকে নেবেই ! আগে জানলে তো খাওয়াতাম না ।
আমার কথাঃ এইটা কোন গল্প না । আমার পাশের বিল্ডিংয়ে আসলেই এমন একটা মেয়ে থাকে । মাঝে মাঝে মেয়েটার সাথে দেখা হয় । সব সময় মেয়েটাকে সেলয়ার কামিজেই দেখি । কিন্তু ঐদিন মেয়েটাকে জিনস আর টিশার্টে দেখে চমকে গেছিলাম । তাই আমার পাশের বিল্ডিংয়ের মেয়েটাকে উৎসর্গ করে এই লেখাটা লিখলাম । আর মনে করুন পিকচারটা তারই
আলোচিত ব্লগ
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ
মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!
বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন