somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার গার্লফ্রেন্ডের সাথে একটি উত্তেজনাকর রুম ডেটিং....

১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছোট্ট মফস্বল শহরের প্রধান সমস্যা হচ্ছে এখানে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে শান্তিমত ডেটিং করা যায় না । কারো না কারোর চোখে ঠিক ধরা পড়তে হয় ।
আর আমার গার্লফ্রেন্ড নিশি , মোটামুটি সুপরিচিত একজন মানুষ ।
অন্য কিছু ভেবে বসবেন না । সুপরিচিত বলতে অন্য দিককার কিছু বোঝাই নি ।
আসলে আমাদের শহরের অর্ধেক মানুষই হল ওদের আত্মীয় । তাই মোটামুটি অর্ধেক লোকই ওকে চেনে । তাই ওকে নিয়ে রাস্তায় বের হবার কথা চিন্তাও করা যায় না ।
কেউ যদি দেখে ফেলে ডেটিংয়ের স্বাধ চিরো দিনের জন্য মিটে যাবে ।
কিন্তু মনতো আর মানে না । নিশিকে তো দেখতে মন চায় ।
ও কলেজে যায় । আমিও কলেজে যাই ।
দুর থেকেই কেবল ওকে দেখি । কারন বেশি কাছে গেলেও সমস্যা । কে না কে দেখে ফেলে !
ঐ দিন কলেজে ওকে দুর থেকেই দেখছিলাম দেখলাম ও ফোন করল আমাকে ।
-বল ।
-শিউলীদের বাড়ির সামনে যাও । আমি আসছি ।
আমি জলদি শিউলীদের বাড়ীর দিকে রওনা হলাম ।
শিউলী নিশির প্রায় সমবয়সী । সম্পর্কে ওর ভাতিজি হয় । কলেজের পাশেই ওদের বাড়ী ।
কালে ভাদ্রে যখন শিউলীর বাবা মা বাসায় থাকে না আমরা ওদের বাসায় দেখা করি । দুএকটা সুখদুঃখের কথা বলি আরকি ।
আজও মনে হচ্ছে সেরকম একটা সুযোগ এসেছে ।
আমি শিউলীদের বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হলাম । দেখলাম প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই শিউলী সামনের গেট খুলে দাড়াল ।
-আঙ্কেল ভাল আছেন ?
এতো বড় মেয়ে যদি আঙ্কেল বলে , শুনতে কি ভাল লাগে ? কিন্তু কিছু করার নাই । শিউলীর সাথে সম্পর্ক টাই এমন ।
-আসেন ।
আমি চুপপাপ ঘরে ঢুকে পড়লাম । আগেও এ বাসায় এসেছি । আমি বসার ঘরের দিকে পা বাড়ালাম । কিছুক্ষনের মধ্যেই নিশি এসে পড়ল ।
আহা ! কতদিন পর নিশিকে কাছ থেকে দেখলাম । ইচ্ছা করলেই এখন ওকে ছুয়েও দেখতে পারবো ! ওকে জড়িয়েও ধরা যেতে পারে অথবা চুমও খেতে পারবো !
নিশি মনে হয় আমার মনের কথা খানিকটা আচ করতে পেরেছিল । বলল
-শোন আলতুফালতু কোন চিন্তা করবা না ।
-আরে আলতু ফালতু মানে ? তুমি কিভাবে বুঝলে যে আমি আলতু ফালতু চিন্তা করছি ?
-তোমার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে !
আমি আয়নাতে নিজের চেহারা দেখলাম । কই কিছুইতো বোঝা যাচ্ছে না ।
-বলেছে তোমাকে ! আমি এখন চিন্তা করছিলাম তোমার ঐ মিষ্টি ঠোটে কয়টা চুম খাবো ! এটা কি ফালতু চিন্তা বল ? বলতে পারো এটা আমার জীবনের সুন্দরতম চিন্তা গুলোর একটা ।
-আহা ! শখ কত ! তুমি চাইলেই আমি তোমাকে চুম খেতে দিবো ?
-দিবা না মানে ? দাড়াও
বলে যখন নিশিকে ধরতে যাবো ঠিক তখন বাড়ীর কলিংবেল বেজে উঠল ।
সাড়ে সর্বোনাশ !
কেউ এসছে !
কে এসেছে ?
যদি আমাকে এখানে দেখে ?
খবর আছে !
বুকের মধ্যে খানিকটা ভয় আর উত্তেজনা অনুভব করি ।
কি হবে !
নিশির মুখ দেখেও বুঝতে পারি যে ও নিজেও খানিকটা চিন্তিত । শিউলী ঘরে ঢুকলো । বলল
-বাড়ির কাজের মেয়েটা এসেছে । আঙ্কেল কে বলেন না একটু খাটের নিচে পলাতে । কাজের মেয়েটা দেখে ফেললে আম্মুকে বলে দেবে !
নিশি আমার দিকে তাকাল । বলল
-প্লিজ ।
-কিন্তু তাই বলে খাটের তলে ?
-যাও না সোনা ! একটু কষ্ট কর ! আমার জন্য এই টুকু করতে পারবে না ?
কি আর করবো ? চট জলদি খাটের নিচে ঢুকে পড়লাম । আমি খাটের নিচে ঢোকার কিছুক্ষনের মধ্যেই কাজের মেয়েকে দেখতে পেলাম এ ঘরে আসতে । কাজের মেয়ে বলল
-আপামনি আপনার আম্মু ঘর মুছতে বলে গেছে । আর কিছু কি করা লাগবে ?
-না না ঘর মোছা লাগবে না ।
আমার বুকের মধ্যে কেমন একটা চাপ অনুভব করলাম । এখন যদি ঘর মুছতে শুরু করে আমাকে নির্ঘাত দেখে ফেলবে ! আর দেখলেই শিউলীর মার কাছে খবর চলে যাবে ।
হায় হায় এখন কি করি । শিউলী আবার বলল
-না না ঘর মোছা লাগবে না ।
-না আপামনি ঘর না মুছলে আম্মা আমারে বকবো । আমারে ভাল কইরা কইয়া গেছে ।
এই কথা বলেই কাজের মেয়ে দেখলাম ঘর থেকে বেরিয়ে গেল । মনে হয় বালতি আনতে গেল । কিছুক্ষন পর শুনতে পেলাম শিউলী বলছে
-আগে এই ঘরটা মোছেন ।
একটু পরই নিশি খাটের নিচে উকি দিল । বলল
-রেডি থাকো ।
-কেন ? দৌড় দিতে হবে নাকি?
-ঔরকমই । কাজের মেয়ে এখন বাথরুমের পাশের ঘরটা মুছতেছে । ওটা মোছা শেষ হলেই এঘরের পাশের ঘরটা মুছবে । ও যখন পাশের ঘরে ঢুকবে তুমি তখন চটকরে বেরিয়ে বাথরুমের পাশের ঘরে ঢুকবে ।
আমি বললাম
-বাথরুমে গিয়ে ঢুকি ?
-আরে গাধা নাকি ? পানির বালতি রাখতে যাবে না ? তখন কই যাবা ?
-হুম ! তাও তো ঠিক !
আসলে অস্থিরতা আর উত্তেজনায় আমার মাথা ঠিক মত কাজ করছে না । কিন্তু নিশিকে দেখলাম বেশ শান্ত ।
নিশি চলে যাবার পরপরই আমার মনের উত্তেজনা আরো একধাপ বেড়ে গেল ।
বারবার মনে হচ্ছে সঠিক সময়ে খাটের নিচ থেকে বের হতে পারবো তো ?
যদি কাজের মেয়ে আমাকে দেখে ফেলে ?
ছোট বেলায় আমরা পলাপলি খেলতাম । সেখানে একজন চোর হত আমরা সবাই লুকাতাম । তারপর সেই চোর আমাদের খুজে বের করতো । আর একটা নিয়ম ছিল যদি ঐ চোরের চোখের আড়ালে যদি ওকে ছুয়ে দেওয়া যেত তাহলে ওকে আবার চোর হতে হত ।
ঐ খেলায় একটা উত্তেজনা ছিল । ঠিক মত চোরকে ছুয়ে দিতে পারবো তো !
আমার বুকের মধ্যে এখন ঠিক ঐ রকম উত্তেজনা অনুভুত হচ্ছে । ঐ মহিলা যথন পাশের ঘরে যাবে আমি ওনার চোখের আড়ালে বের হতে পারবো তো ?
যদি আমাকে দেখে ফেলে ?
আমি অপেক্ষা করতে থাকি । আমার বুকের মধ্যে উত্তেজনাও একটু একটু করে বাড়তে থাকে ।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুন, ২০১২ রাত ৯:৪০
৫২টি মন্তব্য ৫২টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×