somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েটি একটা কলগার্ল , তাই তাকে আমি ভালবাসতে পারি না

২৪ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মামুনের বিস্তৃত হাসি দেখে মনে হল ঘটনা কিছু আছে । তা না হলে তো ও আমাকে এই দুপুর বেলা আসতে বলবে না । আমি দরজা দিয়ে না ঢুকেই বললাম
-আন্টি বাসায় নাই ।
টম এন্ড জেরীর টম যখন কোন কিছুতে খুশি হয়ে মাথা দুপাশে নাড়ে, মামুন ঠিক ঐ ভাবে এদিক ওদিক মাথা নাড়লো ।
-তুই বাসায় মেয়ে নিয়ে এসেছিস?
মামুন এবার উপর নিচে মাথা নাড়ল । তার মানে নিয়ে এসেছে ।
মামুনের সব কিছু আমার ভাল লাগে কেবল | এই মেয়ে আসক্তিটা আমার ভাল লাগে না মোটেও । সুযোগ পেলেই ও বাসায় মেয়ে নিয়ে আসে । নিজের গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আসলে অন্য কথা ছিল । একেবারে প্রসটিটিউট ।
আমি বললাম
-আমি যাই ।
-আরে শোন না ? মামুন আমার হাট ধরে টান দিল । বলল
-আমি জানি তোর সাথে নিশির প্রবলেম চলছে । এই জন্য তোকে দেকেছি । নিশির উপর রাগটা তুই এই মেয়েটার উপর ঝাড় । দেখবি মজা পাবি ।
আমি কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকি মামুনের দিকে । অবাক হই ওর লজিক দেখে ।
মামুন আবার বলে বলে
-আরে একবার দেখ । যদি ভাল না লাগে বাদ । আর এই মেয়েটা অন্য গুলার মত না । মেয়েটা একটা কলেজে পড়ে । পেশাদার না । কেবল খরচ চালানোর জন্য এসব করে । দেখ মজা লাগবে ।

মামুন আমাকে প্রায় জোর করেই ঘরে ঢুকিয়ে দিল ।
আমি ঘরে ঢুকে মোটামুটি একটু ধাক্কার মত খেলাম । মেয়েটা খাটের উপর শুয়ে আছে । মোটামুটি বেআবরু অবস্থায় । আমাকে ঘরে ঢুকতে দেখে একটু চমকালো । উঠে গিয়ে নিজে কে খানিকটা ঢাকার চেষ্টা করলো ।
হঠাৎ মেয়েটর চোখের সাথে চোখ পড়ল । আমি আবার চমকালাম । মেয়েটার চোখটা কেমন যেন । ঠিক কলগার্লদএর মত না ।
মামুনের সাথে থেকে থেকে আমাকে বেশ কিছু কলগার্ল দেখার সৌভাগ্য হয়েছে । ঐ মেয়ে গুলার চোখ একটুও সুন্দর হয় না । কেমন একটা কুৎসিত ভাব থাকে । দেখলেই কেমন যে করে । কিন্তু এই মেয়েটার চোখ একদম এরকম না । কেমন একটা বিষন্ন ভাব আছে । কেমন একটা মোলায়েম ভাব আছে ।
আমি যেভাবে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছি, মেয়েটাও ঠিক একই ভাবে তাকিয়ে আছে । মেয়েটা একসময় চোখ সরিয়ে নিয়ে বলল
-আমি একটু ক্লান্ত । আপনি কি একটু পরে......
আমি ঘর থেকে বের হয়ে গেলাম ।
ছিঃ কি কাজ করতে যাচ্ছিলাম আমি ???
মামুন বলল
-কি হল মামা? পছন্দ হয় নাই ?
-তুই না আর বদলাবি না । নিজে তো পাপ করবি আামকে দিয়েও পাপ করাবি । এসব কাজ আমাকে দিয়ে হবে না ।
মামুন হাসলো । বলল
-জানিস অপু এই জন্য তোকে আমার এতো পছন্দ । আমি জানি তোকে দিয়ে এমন কাজ হবে না । না হলে এমন মাল হাতে কাছে পেয়ে কেউ ছেড়ে দেয় ??
আমি রাস্তার নেমে এলাম । মনটা কেবল বিষন্নই রইল ।
বার বার কেবল ঐ মেয়েটার বিষন্ন চোখ আমার চোখে পড়ল । আহারে বেচারী । বেচে থাকার জন্য কত কিছুই না করতে হচ্ছে । কত নোংরা কজ করতে হচ্ছে !

মেয়েটার কথা আমি হয়তো ভুলেই যেতাম কিন্তু মেয়েটার সাথে আমার আবার দেখা হয়ে গেল । আমাদের ভার্সিটির ক্যান্টিনে বসে বসে চা খচ্ছিলাম । মেজাজটা খানিকটা খারাপ ছিল । একটু আগে দেখলাম নিশি এমনের সাথে কোথায় যেন গেল । আমি জানি আমাকে জ্বালানোর জন্য ও এমন টা করছে । করুক । এই বার আমি আর ছাড় দিবো না । দেখি জল কত দুর গড়ায় । এমন সময় পেছন থেকে মিষ্টি একটা কন্ঠ বলল
-অপু ভাই, ভাল আছেন ?
আমি তাকিয়ে দেখি মেয়েটা দাড়িয়ে আছে ।
আজ মেয়েটাকে কেমন সুন্দর লাগছে । বলতে গেলে অন্য রকম । সেদিন যে ভাবে দেখিলাম আজ দেখলাম অন্য ভাবে ।
হালকা নীল রংয়ের সেলোয়ার কামিজে মেয়েটাক সুন্দরই লাগছে ।
আমি কি বলবো ঠিক বুঝতে পাছিলাম না । মেয়েটি আবার বলল
-ভাল আছেন?
বলে টেবিলের আর একটু কাছে চলে এল ।
-আমি বসবো একটু ?
মেয়েটি আমার অনুমুতির অপেক্ষার দাড়িয়ে রইল ।
-বস । এখানে?
মেয়েটি বসল । বলল
-এই এক বন্ধুর সাথে দেখা করতে এসেছিলাম । যাওয়ার সময় আপনাকে দেখলাম । মনে হল একটু কথা বলে যাই ! আপনি রাগ করেন নি তো?
-না রাগ করার কি আছে ?
-না, অনেকে আবার রাগ করে । তারা ঠিক আমাকে মানুষ বলে ভাবে না তো । কেবল ভোগ পন্য মনে করে ।
আমি কি বলবো ঠিক বুঝলাম না । মেয়েটি আবার বলল
-আপনি ঐদিন চলে যাওয়ায় আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম । প্রথমে ভাবলাম .......
মেয়েটা একটু চুপ করলো । আসলে নোংরা কথা গুলো হয়তো বলতে চাইছিল না । তার পর বলল
-তারপর আপনার বন্ধুর কাছ থেকে আপনার কথা শুনলাম ।
-কি শুনলে?
-শুনলাম যে আপনি খুব ভাল ছেলে । কখনও খারাপ কাজ করেন না ।
মেয়েটা চুপ করে গেল । আমিও কোন কথা খুজে পেলাম না । তারপর মনে হল আরে মেয়েটা তো আমার নাম জানে । নিশ্চই মামুন বলেছে । কিন্তু মেয়েটার নাম টো জানা হলা না । বললাম
-আরে তোমার নামটাই টো জানা হল না ? কি নাম তোমার?
মেয়েটা কেমন যেন হাসল । বলল
-আজকাল কেউ আর আমার নাম জিজ্ঞেস করে না । অনেকদিন পর আপনি জিজ্ঞেস করলেন । ভাল লাগলো । আমার নাম লাবলী । বাবার রবি ঠাকুরের শেষের কবিতা খুব পছন্দ ছিল । তাই আমার নাম রেখেছিল লাবন্য । সেখান থেকে লাবনী । আচ্ছা আমি যাই অপু ভাই । ভাল থাকবেন ।
মেয়েটি উঠে পড়ল । যেতে গিয়ে আামর ঘুরে তাকিয়ে বলল
-আপনার মত মানুষ ঢাকা শহরে আছে আামর জানা ছিল না । জেনে ভাল লাগছে যে এই শহরে অন্তত একটা মানুষ আছে, যার কাছে আমি পন্য না । একজান মানুষ !
লাবনী চলে গেল । আ্মি মেয়েটা দিকে তাকিয়ে রইলাম । ক্যান্টিনের দরজার কাছে গিয়ে লাবনী ফিরে তাকালো । তারপর হাত নাড়ল ।

তারপর তেকে লাবনীর সাথে আমার প্রায়ই দেখা হতে লাগলো । বেশির ভাগ সময়ই আমাদএর ভার্সিটি আসে পাশে । প্রথম প্রথম ভাবলাম হয়তো এমনিতেই দেখা হয়ে যাচ্ছে । কিন্তু পরে বুঝলাম যে মেয়েটা চাচ্ছে যে আমার সাথে তার দেখা হোক । আমি সরাসরি একদিন জানতে চাইলাম ওর কাছে ।
লাবলী কিছুক্ষন চুপ করে থেকে মাথা নেড়ে আমার কথার সম্মতি জানাল । আমি বললাম
-কারন টা বলবে
-না ।
-কেন?
-কারনট আআমি বলতে পারবো না । তবে আপনি যদি না চান তাহলে আমি আর আসবো না ।
-আমি তো এমন কথা বলি নি । কেবল কারনটা জানতে চাইছি ।
-লাবলী কেমন ঝাপছা চোখে আামর দিকে তাকালো । ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আমার বুকের মধ্যে কমন করে উঠল । এ কেমন ঘোর লাগা দৃষ্টি ।
আমি কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম লাবলীর দিকে !
মেয়েটা তো .......!!
এসব আমি কি ভাবছি !! এটা হতে পারে না । এটাকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না । কঠিন কিছু বলতে হবে ।
কিন্তু আমার কিছু বলতে হল না । নিশিকে আসতে দেখলাম ।
নিশির সাথে সমস্যা মিটে গেছে । আমাদের টেবিলের সামনে এসে বলল
-তুমি এখানে?? আর তোমাকে কত জায়গায় খুজলাম । চল আমার সাথে ।
নিশিকে বললাম
-নিশি, এ হচ্ছে লাবনী ।
নিশি লাবনীর দিকে তাকিয়ে হাসলো ।
তারপর লাবনীকে বললাম
-এ নিশি । আমার গার্লফ্রেন্ড ।
লাবনী একটু যেন চমকালো । তারপর বলল
-আচ্ছা অপু ভাই আমি তাহলে যাই ।
আামকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে লাবনী উঠেগেল । দরজার কাছে গিয়ে আবার ফিরে তাকাল আমার দিকে । সেই ঘোর লাগানো ঝাপসা দৃষ্টি চোখ । আমার কেন জানি ঐ দৃষ্টিটা বুকে বিধেই রইল । ভুলতে পারলাম না কিছুতেই ।

তারপর বেশ কিছুদিন লাবনীর কোন দেখা নাই । মামুনের কাছে খোজ নিলাম । মামুনও কিছু বলতে পারলো না ।
দেখা হল আরো কয়েক দিন পর ।
ঐদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল । আমি রিক্সা নিয়ে হলের দিকে যাচ্ছিলাম । দেখলাম একয়া মেয়ে বড় কড়ই গাছ টার নিচে দারিয়ে আছে একা । কেমন যেন পরিচিত মনে হল । আরো একটু কাছে যেতেই চিনতে পারলাম যে লাবনী । আমি ওকে রিক্সার তুলে নিলাম । বললাম
-এখানে কি করছো
-আপনার জন্য অপেক্ষা করছিলাম ।
-মানে?
-মানে, আপনাকে কেন জানি খুব দেখতে ইচ্ছা করছিল ।
কথাবার্তার লাইন অন্য দিকে চলে যাচ্ছিল দেখে আমি বললাম
-তোমার কি খবর ?
লাবনি হাসল ।
দুজনেই যেন কেমন চুপ হয়ে গেলাম । অনেকক্ষন পর লাবনী বলল
-আপনাকে কাছে একটা জিনিস চাইবো অপু ভাই?
-কি?
-আমার হাতটা একটু ধরবেন ? মাত্র একটাবার !
লাবনীর কন্ঠে কি ছিল আমমি জানি না । কিন্তু আমি ওর হাতটা ধরলাম।
লাবনী হু হু করে কেঁদে দিল । কাঁদতে কাঁদতেই বলল
-আমার জীবনে কেবল এই একটি স্বপ্নই ছিল । একটা মানুষ থাকবে যে আমাকে ভালবাসবে । প্রান দিয়ে ভালবাসবে । কিন্তু এমন কেউ আামর জন্য তৈরি হয় নি । আামর মত মানুষ দের জন্য এমন কেউ থাকে না ।
খনিকক্ষন চুপ করে থেকে আবার বলল
-অপু, আমার দেহের সব কিছুই কেমন অপবিত্র হয়ে গেছে । কিন্তু আমি এখনও আমার ঠোট দিয়ে কাউকে চুম খাইনি । কাউ কে না !
লাবনী কি বলতে চাইল আমি ঠিক বুঝতে পারলাম ।
কিন্তু সব কিছু প্রশ্রয় দেওয়ার কোন মানে হয় না । মেয়েটি একটি কলগার্ল । সোজা বাংলায়.......। কথাটা মনে আসতেই মনে হল আমি কি করছি ? কেন করছি ?
একটা পতিতার সাথে বসে আছি । একই রিক্সায় চড়তেছি !!
আমি আমার হাত লাবনীর হাত থেকে সরিয়ে নিলাম ।

চারিদিকে বৃষ্টিতে ভেসে যাচ্ছে । পর্দা দিয়েও পানি আটকানো যাচ্ছে না । দুজনেই ভিজে গিয়েছি । লাবনীর পুরো মুখ দিয়ে পানি ঝরছে । কিন্তু তবুও আমি ওর চোখে পানি ঠিকই চিনতে পারলাম ।
লাবনী আর থাকলো না । বৃষ্টির মধ্যেই নেমে গেল ।
আমার কেন জানি কষ্ট হতে লাগল মেয়েটার জন্য ।একজন কলগার্লের জন্য আমার কষ্ট হতে লাগল .....।
আশ্চর্য......
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জুন, ২০১২ দুপুর ২:৫৯
৩৪টি মন্তব্য ৩৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×