ইফতারী কিনে বাসায় আসছিলাম । সবে মাত্র তিন তালায় উঠেছি দেখি বাড়িয়ালার মেয়ে দরজা ঠেলে বের হচ্ছে । আমি প্রথমে ভাবলাম মেয়েটার দিকে তাকাবো না ।
আসলেই আমি এই মেয়েটার দিকে সাধারনত তাকাই না । যখনই আসতে যেতে দেখা হয় আমি মাথা নিচ করে চলে যাই । কখনও চোখাচোখি হয় না । কিন্তু আজ আমি সিড়ির হাফ ভাগে এসে দাড়িয়ে পড়লাম । কি মনে হল আমি মেয়েটার দিকে চোখ তুলে চাইলাম ।
ইস !
কি টলটলে চোখ মেয়েটার !
আমার বুকের নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে গেল । এই মেয়েটার চোখ এতো সুন্দর কেন ?
আমি আমার চোখটা সরিয়ে নিতে চাইলাম কিন্তু পারলাম না কেন জানি । আর অবাক হবার বিষয় মেয়েটাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।
একই ভাবে !
আচ্ছা আমি যা ভাবছি মেয়েটাও কি এমনটা ভাবছে ?
নাহ !
আমার চোখ মেয়েটার মত এতো সুন্দর না ! তাহলে মেয়েটা আমার দিকে এমন ভাবে তাকিয়ে আছে কেন ?
আমি জানি না তবে এভাবে তাকিয়ে থাকাটা মোটেও ঠিক হচ্ছে না । না জানি মেয়েটা কি ভাবছে আমার সম্পর্কে ?
আর দাড়ানো ঠিক হবে না ! আমি আমার মাথা নিচ করে উঠে চলে এলাম । কিন্তু কেন জানি মেয়েটার চোখের চাওনী আমি কিছুতেই ভুলতে পারছি না ।
কেন ? এতোদিন এই বাড়িতে আছি মেয়েটার সাথে কতবার দেখা হয়েছে প্রত্যেকবারই আমি মাথা নিচ করে চলে আসতাম । কোন দিন চোখাচোখি হয়নি ।
আজ প্রথম হল । কেন হল ? না হলেই ভাল হত ।
ঝামেলা হত না ।
-আপনি প্রতিদিন ছাদে আসেন ?
ইফতারির শেষ প্রতিদিনই আমি ছাদে আসি । এই সময়টা কেন জানি খুব শান্তি শান্তি লাগে । আর ছাদের ফুরফুরে বাতাসটাও ভাল লাগে ।
কিন্তু আজ বিকেলের মেয়েটার সাথে চোখাচোখির হবার পর কেন জানি মনের ভিতর শান্তি লাগছে না । ঠিক এই সময় মেয়েটার কন্ঠস্বর শুনতে পেলাম ।
মেয়েটা কে দেখে একটু চমকালাম । অন্য দিন তো মেয়েটা আসে না ছাদে । আজকে কেন আসলো ?
মেয়েটা আবার বলল
-আপনি প্রতিদিন আসেন ছাদে ?
-এই তো !
আমার কথা হারিয়ে গেল । কি বলব ঠিক বুঝতে পারলাম না । মেয়েটি বলল
-আমি আপনার অস্বস্থির কারন হচ্ছি না তো ?
-না না এমন কোন ব্যাপার না ।
মেয়েটি হাসলো ।
যদিও সন্ধ্যা তবুও দিনের আলো একেবারে মিলিয়ে যায় নি । আবছা আলোয় মেয়েটির হাসি যেন ...
কিসের সাথে যে তুলনা করি .. ঠিক বুঝতে পারলাম না ।
মেয়েটি বলল
-আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করি ? অনেকদিন ভেবেছি ! করবো?
- করুন !
-আপনি কি কোন কারনে অপছন্দ করেন ?
কি বলে এই মেয়ে!! এই মেয়ে কে কিভাবে অপছন্দ করবো?
-নাহ ! অপছন্দ কেন করবো বলুন ?
-না আমার মনে হয়েছে কেন জানি ! আপনার সাথে যতবারই দেখা হয়েছে ততবারই আপনি কেমন জানি আমাকে এভোয়েড করে চলে গেছেন । কেমন যেন এড়িয়ে গেছেন ইচ্ছা করেই ।
কথা টা খানিকটা সত্যিই । আমি আসলেই এমনটা করেছি ! কেন করেছি আমি জানি না !
-তাহলে আপনি আমাকে দেখলে ওভাবে চলে কেন যেতেন ?? আমি বলছি না যে আমার সাথে আপনি কথা বলেন নি, এটা হতেই পারে ! কিন্তু আপনার আচরন টা যেন কেমন ছিল !!
-আসলে.........
মেয়েটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে ।আমি তাকাতে পারছি না !
-আসলে আমি ঠিক জানি না কেন করতাম ! আমি ভাবতাম হয়তো আপনি পছন্দ করবেন না ।
মেয়েটি আবার হেসে উঠল । বলল
-আমি পছন্দ করবো না ? এমনটা কেন মনে হল আপনার ?
-আমি জানি না !
মেয়েটি হাসতেই থাকলো ! কি প্রানচঞ্চল হাসি !!
আলোচিত ব্লগ
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন
বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র
একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।
কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।
ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন
Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।
কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।