somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার ছাত্রী যেভাবে আমার গার্লফ্রেন্ড হল !!

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-নতুন স্যার ঠিক হয়েছে ?
নিহিন আমার কথার কোন জবাব দিল না । মাথা নিচ করে বইয়ের দিকে তাকিয়ে রইল । আমি খুব ভাল করেই জানি ও কিছু পড়ছে না । আমার কথার জবাব দিবে না বলে এভাবে তাকিয়ে আছে । আমি আবার বললাম কথাটা
-নতুন স্যার ঠিক হয়েছে ?
-জি না ।
-আশ্চর্য ! কেন ? স্যার ঠিক কর নি কেন ?
-অন্য কোন স্যারের কাছে পড়বো না তাই ?
-মানে কি ?
এবার নিশি আমার দিকে তাকালো চোখ তুলে । খানিকটা তীব্র কন্ঠে বলল
-মানে তো আপনার জানা দরকার নাই । আপনি পড়াবেন না ব্যাস ! আমি কার কাছে পড়বো বা না পড়বো সেটা নিয়ে আপনার না ভাবলেও চলবে ।
আমি খানিকটা আহত হলাম ।
এমন তীব্র জবাব না দিলেও পারতো মেয়েটা ! আজকেই নিহিন কে শেষ বারের মত পড়াতে আসছি । কাল থেকে আর আসবো না ।
নিহিন আর আমার সামনে বসলো না । উঠে চলে গেল । আমি ওর ঘরটাতে বসে রইলাম । চুপচাপ ।

নিহিনদের বাসায় পড়াতে শুরু করেছিলাম কয়েক মাস আগেই । আমার বড় ভাইয়ের বন্ধু রফিক ভাইয়ের মাধ্যমে টিউশনিটা পাই আমি । রফিক ভাই টিউশনি দেওয়ার আগে আমাকে বলল
-পড়াতে যাচ্ছ । কেবল পড়াবেই । অন্য কিছু যেন না শুনি ! মনে রেখ আমার রেফারেন্সে যাচ্ছ তুমি !
আমি মাথা নেড়ে সম্মতি জানালাম । কিন্তু ঠিক কি কারনে রফিক ভাই আমাকে এমন একটা কথা বলল বুঝতে পারলাম না । আমাদের এলাকায় আামর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে । রফিক ভাই এটা ভাল করেই জানেন , বিশেষ করে নারী ঘটিত কোন সমস্যা আমার কোন দিন হয় নি । সারা জীবন কেবল পড়াশুনা নিয়েই ব্যস্ত থেকেছি , অন্য কিছু করার সময় কোথায় !!
প্রথম যেদিন পরাতে এলাম সেদিনই টের পেলাম যে রফিক ভাই এমন একটা কথা আমাকে কেন বলেছিল ।

আমি নিহিনের ঘরে বসে থাকলাম আরো কিছুক্ষন । মনে হল নিহিন আর একবার হয়তো আসবে । কিন্তু আর এল না । একটু পরে ওর মা এল । আমি বিদায় নিয়ে চলে এলাম । ওদের বাড়ি থেকে বের হবার সময় কেন জানি একটা কষ্ট হচ্ছিল । বার বার মনে হচ্ছিল যে নিহিন কে আমি আর দেখতে পাবো না !
ঐ মিষ্টি হাসিটা আর আমাকে পাগল করবে না !
আর আমি চাইলেও ঐ মেয়েটার সাথে কথা বলতে পারবো না !
একবার মনে হল কি দরকার ছিল এমন টা করা !! চুপচাপ থাকতাম ! বলতে না পরলেও অন্তত সপ্তাহে চারটা দিন আমি নিহিনকে দেখতে তো পারতাম । এটাই বা কম ছিল কি ?

রফিকভাই বলেছিলেন যে একটা মেয়েকে পড়াতে হবে কিন্তু নিহিনকে দেখার পর আমি মোটামুটি আমার ভাষা হারিয়ে ফেললাম কিছুক্ষন । ওর সামনে স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগলোই । প্রথম দিন আমি চুপ চাপ বসে ছিলাম । এদিক ওদিক দেখছিলাম । এক জন চা দিয়ে গেল । আমি চায়ে চুমুক দিবো ঠিক তখনই মেয়েটা ঘরে ঢুকলো মাথা নিচ করে । আমার সামনে বসলো । আমি চায়ে চুমুক দিতে ভুলে গেলাম ।
মিষ্টি স্বরে মেয়েটি বলল
-আপনাকে কি স্যার বলতে হবে নাকি ভাইয়া বলে হবে ?
মেয়েটির প্রশ্নে যেন বাস্তবে ফিরে এলাম । বললাম
-কি বললে ?
-এর আগে যে কয়জন পড়াতে এসেছে তারা সবাই ভাইয়া বলতে বলত । কিন্তু আম্মু স্যার বলতে বলেছে ।
-না ঠিক আছে । স্যারই ঠিক আছে । ভাইয়া বললে কেমন পড়া লেখার সম্পর্ক মনে হয় না । স্যার ই বল !!
মেয়েটি চুপ করে রইলো মাথা নিচ করে । আমি আমার চোখ ফিরিয়ে নিলাম । রফিক ভাইয়ের সতর্কবানী মনে পড়লো ।
আমাকে কেবল পড়াতে হবে এই মেয়েটিকে !
শুধুই পড়াতে হবে !!
ঐদিন বাসায় এসে আমার কেন জানি রাতের বেলা আর ঘুম এলো না । কেবলই এপাশ ওপাশ করতে লাগলাম । কি একটা অস্বস্থিরতা আামকে যেন ঘুমাতে দিচ্ছিল না । রাত তখন তিন কিছু বেশি বাজে । আমি আবিষ্কার করলাম যে আমি নিহিনের প্রেমে পড়েছি । কত সহজেই আমি ওর প্রেমে পরে গেলাম ।
আশ্চর্য !!
নিয়মিত পড়াতে যেতাম । নিহিন প্রথম প্রথম কথা কম বললেও আস্তে আস্তে ও স্বভাবিক হয়ে এল । আমিও মোটামুটি সহজ হয়ে এলাম । পড়া লেখা ছাড়াও মেয়েটা অনেক কথা বলত । আমার কেন জানি মনে হত মেয়েটা কথা বলার জন্য মনের মত মানুষ পেত না । ওর কথা শুনেই বোঝা যেত যেন কত দিন ঠিক মত কারো সাথে কথা বলে না ।
আমি ওর কথা শুনতাম মন দিয়ে !! মাঝে মাঝে আমার কথা বলতাম । তবে কথা ও ই বেশি বলত !!

আমি ভেবেছিলাম নিহিন কেবলই আমার সাথে কথা বলে ! এর বেশ কিছু না ! আমি ওর স্যার ! ওর সাথে আমার একটা সহজ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এর বেশি কিছু না । কিন্তু একদিন বুঝতে পারলাম যে ব্যাপার গুলো এতো সহজ না যততা না আমি ভেবেছিলাম !
একদিন ওকে পড়াতে পড়াতে বাথরুমে গেছিলাম । হাত মুখ ধোয়ারও দরকার ছিল । মোবাইলটা বাইরেই ছিল । আমি মোবাইলটা আর সাথে করে নিয়ে গেলাম না। টেবিলের উপর রেখেই বাথরুমে ঢুকলাম । ফিয়ে এসে নিহিনকে আবার পড়াতে বসেছি দেখি ওর মুখটা কেমন যেন ভার ভার !!
কি হল ? একটু আগে তো ভালই ছিল ! আমি কারন টা জানতে চাইলাম ও কিছু বলল না । মাথা নিচ করে বইয়ের দিকে তাকিয়ে রইল । আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না । পড়িয়ে বেরিয়া আসার পর মোবাইল চেক করে দেখি সুমনা ফোন দিয়ে ছিল । সুমনা আমার ক্লাস মেইট !! দুবার ফোন দিয়েছে !! সময়টা দেখে মনে আমি যখন বাধরুমে ঢুকেছিলাম তখন !!
আমার কিছু মনে হল না । আবারও ঠিক একই ঘটনা ঘটলো । এবার আমি লক্ষ্য করলাম নিহিনের মুড আবার অফ হয়ে গেল । একদিন নিহিন আমাকে জিজ্ঞেস করেই ফেলল সুমনার কথা !
-স্যার, সুমনা আপু কি আপনার গার্লফ্রেন্ড ?
আমি খানিকটা আশ্চার্য হই ! বললাম
-তুমি সুমনাকে কিভাবে চিনো ?
নিহিন মাথা নিচু করে রইলো কিছুক্ষন । তারপর বলল
-না আপানর মোবাইলে তো প্রায়ই ওনার কল আসে । চিনি না ঠিক নাম দেখেছি !
নিহিনের চোখে মুখে কেমন একটা ভাবছিল সেটা আমার কছে একদম অচেনা । আমি হেসেই বললাম
-না । গার্লফ্রেন্ড না !
-তাহলে আপনাকে এতোবার ফোন দেয় কেন ?
-ফোনতো দিতেই পারে ! একসাথে পড়ি না আমরা ! ক্লাসমেট না আমার !!
-ক্লাসমেট না ছাই !!!
-কি বললে ?
-না কিছু বলি নাই !
আমি ওর মুখ দেখ স্পষ্টই বুঝতে পারলাম যে অন্য মেয়েরা যে আমাকে ফোন দেয় এটা নিহিন পছন্দ করছে না ।
আমি এতোদিন নিজেকে শাসন করে রেখেছিলাম সেটা কেন জানি খুব কঠিন হয়ে পরলো ।
নিহিনকে রাতের বেলা ভাবনা টা আরো যেন বাড়িয়ে দিলাম । কেবলই ওর কথাই মনে হত । অন্য কিছু না ।
তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম আর না ।
এই মেয়েটার কাছ থেকে আমাকে দুরে যেতে হবে ! চোখের সামনে ওকে এভাবে দেখতে থাকলে একটা সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রন করা কষ্টকর হয়ে যাবে ।
যেদিন বললাম যে আমি আর তোমাকে পড়াতে আসতে পারবো না, নিহিন কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইলো !!
-কেন স্যার ? আর কেন পড়াতে আসবেন না ?
-আসলে পড়া লেখার খুব চাপ ইদানিং । আমি ঠিক পেরে উঠছি না
ওর মাকেও বললাম কথাটা । বললাম সামনের মাস থেকে নতুন স্যার ঠিক করে নিতে !!

আমি কেবল অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম নিহিনের দিকে । ওদের বাড়িতে পড়ানো ছেড়েছি প্রায় এক মাস । এরই মাঝে মেয়েটার চেহারা কেমন হয়ে গেছে । চোখের নিচে কালী পড়েছে । গাল দুটো কেমন বসে গেছে । আমি নিহিনকে বললাম
-কি হয়েছে তোমার ?
কোন জবাব নাই । মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে মেয়েটা ।
-কথা বল প্লিজ ! কি হয়েছে !
তবুও নিহিন কিছু বলল না । চুপ করে দাড়িয়েই রইলো । আমি জানি এই প্রশ্নের জবাব সে আর দিবে না । তাই জানতে চাইলাম না ।
-এখানে কি কোন কাজে এসেছ?
নিহিন মাথা নাড়লো ।
-কি কাজে ?
আবার চুপ ! এই মেয়েটা কে নিয়ে আমি কি করবো ।
তবে ভার্সিটির ভিতর এভাবে ওর সাথে দাড়িয়ে কথা বলাটা মনে হয় ঠিক হচ্ছে না । কারন হল নিহিনের গায়ে স্কুল ড্রেস । মেয়েটা বোধ হয় স্কুল থেকে সরাসরি চলে এসেছে !!
কিন্তু এখন তো দুপুর বেলা । একটার কিছু বেশি বাজে । এই সময়ে তো স্কুল ছুটি হবার কথা না । তাহলে?
আমি বললাম
-তোমার স্কুল কি ছুটি হয়ে গেছে?
আমি ভেবেছিলাম নিহিন এই প্রশ্নটার জবাবও দিবে না কিন্তু দিল । আমার কথা শুনে ফিক করে হেসে পরলো । এতোক্ষন গম্ভীর ছিল এভাবে হঠাৎ করে হেসে ওঠাটা কেমন যেন লাগলো !!
-হাসলে যে?
নিহিন বলল
-স্কুল পালিয়েছি !
-সেকি কেন ?
-আপনার সাথে দেখা করবো বলে । আপনি তো আর আমার সাথে দেখা করবেন না তাই লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে আমি দেখা করতে এলাম ।
আমি তাজ্জাব হয়ে গেলাম মেয়েটার কথায় । এই টুকু একটা বাচ্চা মেয়ে কি বলছে এসব ?
-তুমি কি বলছো এসব ?
নিহিন গম্ভীর হয়ে গেল । শান্ত গলায় বলল
-আপনি কেন আমাকে পড়ানো বন্ধ করে দিলেন বলেন তো?
-আমি তো আগেই বলেছি আমার পড়া লেখায় সমস্যা হচ্ছিল ।
-যারা মিথ্যা কথা বলতে পারে না তাদের মিথ্যা বলা উচিৎ না । সত্যি করে বলেন । আমি জানি সত্যি কথাটা কি তবুও আপনার মুখ থেকে শুনতে চাই !!
এর চোখ মুখ দেখে আমার আসলেই মনে হল যে আমার মনের কথা টা ও খুব ভাল করে জানে ।
নিহিন ঘাসের উপর বসে পড়লো । আম বসলাম ওর পাশে । অনেকক্ষন চুপ থাকার পর বললাম
-আমি গরিব মানুষ নিহিন । চাঁদের দিকে হাত বাড়ানো আমার সাজে না ।
-তাই না ??
নিহিন আমার দিকে এক ভাবে তাকিয়েই রইল । তারপর আমার হাতে একটা মড়ানো কাগজ দিয়ে বলল
-আমি যাই ।
-একা একা যাবা কিভাবে ? আমি পৌছে দেই । তোমাদের বাসা তো বেশ খানিকটা দুরে ।
নিহিন রাজি হয়ে গেল !! ওকে পৌছে দিলাম ওদের বাসায় । ফিরে আসার সময় মড়ানো কাগজটা খুললাম । ওখানে মাত্র একটা লাইনই লেখা । কিন্তু লাইনটা পড়ে কেন জানি আমার অদ্ভুদ একটা আনন্দ হল ।
নিহিন লিখেছে
আপনাকে ছাড়া আমি মরে যাবো
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:১৪
৪৭টি মন্তব্য ৪৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×