somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েটির কাছে আমার কাঙ্খিত পরাজয়ের গল্প !!

১৬ ই অক্টোবর, ২০১২ বিকাল ৫:০৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সকাল থেকে কোন কাজেই মন বসছে না । বার বার মনে হচ্ছে যেন কি একটা যেন মিস হচ্ছে । আমি খুব চেষ্টা করলাম মোবাইলটার দিকে একটা বারও না টাকাতে কিন্তু বারবারই মোবাইলের দিকে চোখ চলে যাচ্ছে !
নাহ !
কোন মেসেজ আছে নি ।
আচ্ছা একটা রিপ্লে কি দেওয়া যায় না ?
কালকে এই সময়ে আমার ইনবক্সে এতোক্ষনে অন্তত একশটা মেসেজ চলে আসতো আর আজ ?
এখনও একটাও না ।
এই মেয়ে গুলো এতো জেদি হয় কেন ?
আচ্ছা ঠিক আছে মেয়েরা একটু আধটু জেদ ধরে ।
এটা করতে হবে ওটা করে দাও সেই টা চাই ।
দিবা না কেন ?
দিতে হবে ।
ঠিক আছ তাই বলে কি সবই মেনে নেওয়া যায় ?
সমস্যা বেধেছে এই খানেই ।

নিহিনর এই একই কথা যে ওর সব কথা আমাকে শুনতে হবে । কোন অবজেকশন করা যাবে না । আরে এই টা কি সম্ভব নাকি ? একটা মানুষের সব কথা কি শোনা যায় ? আমার কত রকম লিমিটেশন আছে না, এটা তো বুঝতে হবে । নিহিন সে কথা শুনবে না । বাচ্চার মত জেদ ধরে বসে আছে ।
যতক্ষন না আমি রাজি হব না ততক্ষন সে আমার সাথে কোন কথা বলবে না আমার মেসেজের কোন রিপ্লে দিবে না আর আমার কল রিসিভও করবে না ।

এখন মনে হচ্ছে কি কুলাক্ষনেই না নিহিনর সামনে কথাটা তুলেছিলাম । নিহিন সাদা পরতে একদম পছন্দ করে না । কিন্তু আমার সাদা খুব পছন্দ । বিশেষ করে সাদা চুরিদার । আর সাদা লেগিংহ ।
নিহিনর এক কথা এসব টাইটস সে পরবে না ।
পরবে না মানে পরবে না । আমি বললাম
-আমার জন্যও পরবে না ।
নিহিন মুখ বাকীয়ে বলল
-ইস ! আমার বয়েই গেছে ।
আমি কোন কিছু না ভেবেই বললাম
-আচ্ছা তুমি যদি আমার পছন্দ মত পোষাক পর , তাহলে তুমি যা বলবে এর পর থেকে আমি তাই শুনব ।
নিহিন আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
-সত্যি তো !
-হুম সত্যি ।
-কথা দিচ্ছ কিন্তু । যা বলব তাই কিন্তু শোনা লাগবে ।

নিহিনর বলার ভঙ্গিটা এমন ছিল যে আমার মনে একটু কেমন যেন লাগল । আমি যতদুর নিহিনকে চিনি ও এমন কি বলে বসতে পারে যা আমার পক্ষে করা সম্ভব নাও হতে পারে । তখন তো পরবো বিপদে । আমি একটু হেসে বললাম
-মানে সবই শুনবো , তবে ..
-তবে ? কোন তবে ফবে না । যা বলব শুনতে হবে ।
-আরে সব কিছু করা কি সম্ভব ? প্রত্যেক মানুষেরই তো কিছু লিমিটেশন থাকে । সেইটা তো তোমাকে মাথায় রাখতে হবে তাই না ?
-না আমি যা বলব তাই শুনতে হবে ।
-এরকম বাচ্চা মেয়ের মত করে জেদ ধরলে কি হয় ?
-যা বলব শুনতে হবে !
কি রে একই রেকর্ড বাজছে ।
যা বলব শুনতে হবে ।
যা বলব শুনতে হবে ।
আমাকে পাগল পেয়েছ । আমি রাজি হই আর ফান্ডে পরি । আমি ফান্ডে পরতে রাজি নই ।

তারপর থেকে নিহিনর ঐ একই কথা । আমি যতক্ষন না রাজি হব ও ততক্ষন আমার সাথে কথা বলবে না ।
আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিলাম যে এই মেয়ে টাকে বেশি লাই দেওয়া যাবে না । এই রকম অযৌক্তিক দাবী মেনে নিলে ভবিষ্যতে আমার অবস্থা আরো খারাপ হবে ।
কি হবে কথা না বললে ?
নিহিন যদি কথা না বলে থাকতে পারে তাহলে আমি কেন পারবো না ? সকাল থেকে ওকে প্রায় ২০ টার উপর মেসেজ পাঠিয়েছি কত বার কল দিয়েছি নিহিনর একটা মেসেজের রিপ্লে দেয় নি কলও ধরে নি ।
যাও !
আমি আর ফোন দিবো না ।

কি হবে ঐ মেয়েকে ফোন না দিলে ? আমি ফোনটা বন্ধ করে রেখে দিলাম পাশে । কিন্তু দশমিনিটও বন্ধ রাখতে পারলাম না ।
কেন যেন মনে হল নিহিন আমাকে এসএমএস পাঠিয়েছে । আমি সেলফোনটা অন করলেই মেসেজটা দেখতে পাবো । আমি তাড়াতাড়ি মোবাইলটা চালু করলাম ।
কিন্তু কোথায় কি ?
কোন এসএমএস আসলো না ।
আচ্ছা নিহিনর কি আমার কথা একটুও মনে পরছে না । ওর কি একবারও মনে হচ্ছে না যে আমি কেমন অস্থির হয়ে আছি ।
আমি ঘড়িতে সময় দেখলাম । প্রায় চার ঘন্টা । চার ঘন্টা নিহিনর কোন এসএমএস আসে নি ।
মাত্র চার ঘন্টা ?
আশ্চর্য !
আমার মনে হল যেন কত বছর আমি নিহিনর সাথে যোগাযোগ করি নি । কত দিন ওর মেসেজ ওপেন করি নি ।
আশ্চর্য !
নিহিনর সাথে আমার মোবাইলে কথা হয় কম । কিন্তু আমরা প্রচুর মেসেজ চালাচালি করি । আমার মোবাইলে পাঁচশর মত মেসেজ স্টোর করে রাখা যায় । আমি দুজন এতো মেসেজ পাঠাই যে দু দিনে মেসেজ ইনবক্স ফুল হয়ে যায় ।
আর আজকে ?
কোন মেসেজ নাই ?
একদম ফাঁকা ! এই মেয়েটা এমন কেন করে ?
একটা মেসেজ পাঠালে কি হয় ?
আমি বাধরুমে গেলাম । কমডের উপর সবে মাত্র বসেছি ঠিক তখনই মনে হল মেসেজ টোনটা বেজে উঠল ।
আমাকে আর ঠেকায় কে ।
আর একটু হলে ঐ অবস্থায় উঠে পরতাম কিন্তু বহুকষ্টে নিজেকে রোধ করলাম ।
কাজ অর্ধেক রেখেই আসলাম মোবাইলের কাছে ।
মোবাইলটা হাতে নিয়েই মনটা ভাল হয়ে গেল ।
এসছে ।
মেসেজ এসছে । জলদি জলদি মেসেজটা ওপেন করলাম । দেখি মহারানী কি লিখেছে

200 Minits & 200 sms kinun matro 50 takai. akhone dail korun ...

কি রে ভাই নিহিন এই মেসেজ কেন পাঠাবে !
তখনই সেন্ডারের নামের দিকে চোখ গেল । মেজাজটাই খারাপ হয়ে গেল । আসলে এতো তাড়া হুড়ার মধ্যে ছিলাম যে ঠিক মত দেখিই নি যে কে পাঠিয়েছে ?
শালার অপারেটর মেসেজ !
নাহ এই যন্ত্রনা আর সহ্য করবো না । যা হয় দেখা যাবে । মোবাইলটা হাতে নিয়ে নিহিনকে একটা মেসেজ পাঠিয়ে দিলাম । ওকে লিখলাম

আচ্ছা ঠিক আছে । হার মানছি । তুমি যা বলবে শুনবো । মেসেজের
রিপ্লে আসলো সঙ্গে সঙ্গেই ।
একটা স্মাইলি ।
তারপর আর একটা মেসেজ
আমার সুইট জানপাখিটা ! একটা চুমর ইমো ।

আবার বাথরুমে ঢুকলাম । এবার একটু শান্তি মত কাজটা করা যাবে ।
আহা !
মোবাইল নিয়েই বাধরুমে ঢুকলাম । মেসেজ এলে ওখান থেকেই রিপ্লে দিবো । আবার যেন কাজের মাঝে দৌড়াদৌড়ি না করতে হয় ।
নিহিনর ফোন এসে হাজির কাজ করার মাঝ খানে ।
-কি কর পাখি ?
নিহিনকে কি করে বলি কি করছি ! বললাম
-এই তো করছি । তেমন কিছু না । বল ।
নিহিন বলল
-আচ্ছা শুনো আজ আমার সাথে দেখা কর ।
-আজ ? কখন ?
-বিকেলে ।
-না না প্লিজ বিকেলে না । বিকেলে আমার টিউশনি আছে ।
-কোন না শুনবো না । তুমি বলেছ যা আমি বলবো তাই তুমি শুনবা । শুনতে হবে ।
এই জন্যই ঠিক এই জন্যই আমি রাজি হতে চাই নি ।
-দেখ প্লিজ ......
-কোন কথা না । আমি বেইলী রোডে আছি । আসো ।
-ও আচ্ছা ।

এটা একটা ভাল কথা । আমার টিউশনী ঠিক বেইলী রোডের পাশে । যাক হয়ে যাবে ।

নিহিন ঠিক জারুল গাছটার নিচে বসে ছিল । আমাকে দেখেই উঠে দাড়াল । আমি কেবল কিছুক্ষনের জন্য থ হয়ে গেলাম ।
ওর পরনে সাদা শর্ট কামিজ সাথে সাদা লেগিংস । চোখে কাজল দিয়েছে । আর হাত ভর্তি মেহেদী ।
আমি কিছুক্ষন কোন কথাই বলতে পারলাম না ।
কেবল মনে হল এই মেয়েটার জন্য সব কিছু করা যায় । সব কিছু ।
সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহিনর সাথেই রইলাম । একটু অন্ধকার নামলে নিহিন বলল
-এইবার তুমি টিউশনিতে যাও । ঠিক আছে ।
-আর তুমি ?
-আমি বাসায় যাই ।
-আমার যেতে ইচ্ছা করছে না ।
-আসতেই চাচ্ছিলে না আর এখন যেতে চাচ্ছ না ।
-আসলে তোমাকে এতো সুন্দর আর হট লাগছে যে ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না ।
-তুমি এতো ফাজিল হয়ে গেছ না ? এসব কি কথা ?
-আরে বাবা সত্য কথা বললাম ।
-হয়েছে যাও এখন ।
আমি জানি ওর কথাটা শুনে ভাল লেগেছে । ওর মুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছে ।ওকে বললাম
-চল মিন্টু রোডের দিকে যাই ।
-সত্যি যাবে না টিউশনীতে ?
-না । তোমাকে ছেড়ে আমি কোথাও যাবো না ।

মিন্টু রোডে যখন হাটছি তখন অন্ধকার নেমে এসেছে । ইস ! কি চমৎকার একটা সময় । নিহিনকে মনে হচ্ছে যেন কোন অপ্সরী । চারিদিকে আধারের মাঝে একটু সাদার ছোয়া । আমি ওর হাত ধরে হাটতেছি ! খুব ভাল লাগছে !
আমার খুব ওকে চুম খেতে ইচ্ছা হল । ওর ঠোট দুটো এতো চমৎকার । কম্পিউটারে যখন ওর ছবি দেখি জুম করে ওর ঠোটদুটো খুব ভাল করে দেখি । এতো ...... থাক কেমন লাগে আর বললাম না ।
হাটতে হাটতে নিহিন আমার সামনে এসে দাড়ালো । বলল
-কিছু খেতে ইচ্ছা করছে ।
-কি খাবে ?
নিহিন এমন চোখে তাকালো মনে হল কিছু বলতে চায় । আমি আবার বললাম
-কি খাবে বল ।
নিহিন আমার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে বলল
-তুমি আসলেই একটা গাধা ! সব কথা কি মুখে বলা যায় ? কি সুন্দর পরিবেশ ! তোমার পাশে হাটতে কি যা ভাল লাগছে ! এই সময় বুঝ না কি খেতে ভাল লাগে ?
আমি আবার বললাম
- কি খেতে ? এই সময় কিন্তু চটপট খুব ভাল লাগবে !
-তোমার মাথা !

এই বলে নিহিন আমি কিছু বুঝার আগেই আমি ওর নরম ঠোট দুটির স্পর্শ পেলাম আমার ঠোটে !!!!!!!








সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৪
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×