somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চুক্তিবদ্ধ গার্লফ্রেন্ড !!

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি নিশিকে আর বেশি রাগিয়ে দিতে চাই না । তাই চুপ করে রইলাম ! কিন্তু আমাকে চুপ করে থাকতে দেখে নিশি যেন আর একটু বেশি রেগে গেল । আমার দিকে আবার তাকিয়ে বলল
-কি ব্যাপার কথা বলছো না কেন ?
আমি নিরিহ বালকের মত বললাম
-তুমি না বলেছ যখন তুমি রেগে যাবে আমি যেন কোন কথা না বলি ! আমাদের কন্ট্রাকেও তো এই কথাটা ছিল ।
নিশি বলল
-এই কথাটা খুব মনে আছে ? আর অন্য কথা গুলো ? সেগুলো ?
-আআআ দেখো ... পরিবেশ পরিস্থিতি মাঝে মাঝা মানুষকে ...
-ফিলোসপি ফলাবা না ! আমার সামনে থেকে এখন চলে যাবা ! আর কোন দিন আমার সামনে আসবে না । আমাকে ফোন দিবা না !
-মেসেজ পাঠানো যাবে ?
নিশি কথার মাঝখানে বাঁধা পেয়ে যেন আরও একটু খানি রেগে গেল ।
-তোমার সাথে কথা বলা আর কলের পাইপের সাথে কথা বলাটা এক । তুই যদি আর একবার আমাকে ফোন দিয়েছিস !
নিশি আর দাড়াল না । ঘুরে হাটা দিলো ।
আমার একবার মনে হল ওকে এখনই ফোন দিয়ে ওর রাগটা আর একটু বাড়িয়ে দেই । কিন্তু পরে ভাবলাম থাক আর রাগ বাড়িয়ে লাভ নেই । রেগে গিয়ে মোবাইলটা ছুড়ে মারতে পারে ।
অবশ্য আমি খুব বেশি চিন্তিত হলাম না । নিশির রাগ বেশিক্ষন থাকবে না । যদিও আজকে ওর রেগে যাওয়াটা যুক্তি সংগতই ছিল । বেচারীকে প্রায় ঘন্টা খানেক এখানে বসিয়ে রেখেছি ।
নিশির সাথে রিলেশনের তিন নম্বর শর্তই ছিল ওকে কখনও বসিয়ে রাখা যাবে না । অবশ্য আমি কোন শর্তটাই ঠিক মত রাখতে পেরেছি ?
প্রত্যেকটাই তো ভেঙ্গেছি !
শর্ত ! কথাটা মনে হতেই কেমন জানি হাসি হাসল । নিশি আমাকে কতগুলো শর্ত দিয়েছিল ।
যখন প্রথমে ওকে প্রোপজ করেছিলাম নিশি কিছুক্ষন আমার দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন । আমার বুকের ভিতর ঢিপঢিপ করছিল । নিশি কি বলে এটা শোনার জন্য । কিন্তু নিশি যেটা বলল সেটা শোনার জন্য আমি মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না । নিশি বলল
-বিকেল বেলা টিএসসিতে আসবা । এফোর সাইজের একটা অপসেট পেপার নিয়ে ।
-এফোর অপসেট পেপার ?
নিশি আর দাড়াল না । আমি দ্বিধায় পরে গেলাম । প্রোপোজ করলাম উত্তরে হ্যা বলবে অথবা না বলবে কিন্তু কি বলল এফোর অফসেট পেপার আনতে কেন ?
আমি বিকেল বেলা অপসেট পেপার নিয়ে হাজির হলাম । নিশি আসলো একটু পরেই । আমার সামনে বসে বলল
-এনেছ কাগজ ?
আমি খানিকটা ভয়ে ভয়ে বললাম
-এনেছি ।
-আচ্ছা ! এবার লেখ !
লিখবো ?
কিভাবে লিখবো ? আমি বললাম
-কলম আনি নাই তো । তুমি বলেছিলে কাগজ আনতে ! কলম আনতে তো বল নি ।
নিশি আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষন । আমি মনে হল এইবারই বুঝি সব গেল । আমার ভালবাসা বুঝি শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল । আমি বললাম
-তুমি একটু বস । আমি এখনই কিনে আনছি ।
কোন মতে দৌড়ে গিয়ে কিনে আনলাম । আমাকে কলম কিনে আনতে দেখে নিশির গাম্ভির্য খানিকটা কমে এল । বলল
-লেখ ।
আমি লিখতে শুরু করলাম । নিশি বলল
-চুক্তি নামা ।
আমি লিখলাম ।
-নাম্বর এক । আমি যা বলব তাই হবে !
-আমি ?
নিশি বলল
-তুমি লেখ তুমি যা বরবে তাই হবে ।
তাই লিখলাম । তারপর নিশি বলে গেল । আর আমি লিখে গেলাম কোন
২. কোন হার্ট ফিলিংস না ।
৩. নো হাগ এন্ড নো কিস । তবে হাত ধরা যাবে ।
৪. কখন নিশিকে বসিয়ে রাখা যাবে না ।
৫. ঝগড়া বাঁধলে চুপ করে থাকতে হবে । এবং পরাজয় স্বীকার করে নিতে হবে ।
৬. সপ্তাহে নিয়ম করে সময় দিতে হবে !
৭. বিয়ের কথা বলা যাবে না !
৮. রিলেশন ১ বছরের বেশি ষ্টে করবে না !
৯. সেখানে দেখা করতে বলা হবে ঠিক সেখানেই দেখা করতে হবে !
১০. অন্য কোন মেয়ের দিকে ভুলেও তাকানো যাবে না !
আমি বেশ কিছুক্ষন শর্ত গুলোর দিকে তাকিয়ে রইলাম ! আমি কি প্রেম করতে যাচ্ছি নাকি জেল খানায় যাচ্ছি ?
আমি বললাম
-এই টুকুই ? আর নেই !
নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-আপাতত এটুকুই ! কিছু জায়গা ফাঁকা রাখো ! সামনে দরকার হলে আরো লিখবো !
-আচ্ছা !
এইবার নিশি আমার দিকে তাকিয়ে বলল
-এবার বল তুমি এসব মানতে রাজি আছো ?
আমি কিছুক্ষন ভাবলাম চুপ করে ! আসলে আমার মাথায় তখন অন্য কিছু ছিল না । নিশিকে যেহেতু পছন্দ হয়েছিল অন্য কোন কিছু আমি ভাবছিলাম না ।
আমি বললাম
-আমি সব মানতে রাজি আছি !
নিশি একটু হাসলো কেবল !
আমার মনে আছে প্রথম যেদিন আমি একটা শর্ত ভেঙ্গেছিলাম । দুই নাম্বরটা । নিশির সেদিন গ্রামের বাড়ি যাবার কথা ছিল । আমি রেল স্টেশনে এসেছিলাম ওকে এগিয়ে দিতে । খুব কাছে যেতে পারছিলাম না । সাথে ওর বাবা মা ছিল । দুর থেকেই দেখছিলাম ওকে ।
ট্রেন টা যখন চলা শুরু করলো আমার কেন জানি মনে কিছু একটা আমার কাছ থেকে দুরে চলে যাচ্ছে । আমি ট্রেনের সাথে সাথে হাটতে লাগলাম । জানলা দিয়ে নিশিকে দেখতে পাচ্ছি । নিশি নিজেও আমাকে দেখতে পাচ্ছে । ট্রেনের গতি বাড়ছে সাথে সাথে আমার নিজেরও । এক সময় ট্রেনটা প্লটফম ছাড়িয়ে গেল আমকে থামতে হল ।
আমি কেন জানি তখন খুব অসহায় বোধ করছিলাম । আমি নিশিকে ফোন করতে যাবো ঠিক তখনই নিশির ফোন এসে হাজির ।
আমি কিছু বলার আগেই নিশি বলল
-তুমি তোমার শর্ত ভঙ্গ করেছ !
-কোথায় করলাম ?
-আমি বলেছিলাম কোন হার্ট ফিলিংস না । তাহলে এটা কি ছিল ?
আমি কিছু না বলে চুপ করে রইলাম ।
নিশি আবার বলল
-আমি চলে যাচ্ছি দেখে তোমার চোখে আমি একটা আকুলতা একটা অস্থিরতা দেখতে পেলাম । এটা কেন হল ?
আমি আবারও চুপ করে রইলাম ।
-বল !
-তাহলে তো তুমিও শর্ত ভেঙ্গেছ !
-মানে ?
-মানে আমিও ঠিক একই জিনিস দেখেছি তোমার চোখে !
ওপাশ থেকে খানিক নিরবতা ! তারপর নিশি বলল
-আচ্ছা আমি রাখি !
আমার কথা আর না শুনেই নিশি ফোন রেখে দিল । আমি খুব ভাল করেই জানি আমার কথাই ও চিন্তায় পড়ে গেছে ! হাহাহাহা
সব চেয়ে কঠিন শর্তটা ভেঙ্গেছিলাম আরো কিছুদিন পরে । সেদিন খুব বৃষ্টি হচ্ছিল । নিশির সাথে রিক্সা করে ফিরছিলাম । কাটাবনে আসতে না আসতে তুমুল বৃষ্টি ! কোন মনে পলিথিন দিয়ে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছি ! এমন সময় আমার চোকখ গেল নিশির দিকে । ও নিজেও বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে । কিন্তু খুব বেশি লাভ হচ্ছে বলে মনে হয় না !
আমি তাকিয়ে আছি নিশির দিকে । বৃষ্টির পানি ওকে প্রায় ভিজিয়ে দিচ্ছে । ওর কিছু চুল ভিজে গেছে ! গালের সাথে কেমন লেপ্টে আছে । আমার কি হল আমি জানি না আমি ওর গালে লেপ্টে থাকা চুল গুলো হাত দিয়ে সরিয়ে দিলাম । নিশি তখন আমার দিকে ভাল করে লক্ষ্য করে নি । ও তখনও বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত ।
আমি নিশির আর একটু কাছে গিয়ে ওর ভেজা গালে চুম খেলাম । কিভাবে খেলাম আমি নিজেও জানি না কিন্তু আমি নিজেকে ধরে রাখতেই পারি নি । নিশি প্রথম কিছুক্ষন অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল । তারপর বলল
-কি করলে তুমি এটা ?
আমি লজ্জায় পড়ে গেলাম ।
সত্যিই তো কি করলাম আমি এটা ?
এটা করা মোটেই ঠিক হয় নি আমার !!
আমি কেবল বললাম
-সরি !
-সরি ?
বাসায় নামার আগ পর্যন্ত নিশি আর একটা কথাও বলল না ! কেবল নামার পর বলল
-আই গেস এটাই আমাদের শেষ দেখা ! তুমি তোমার কথা ব্রেক করেছ । সুতরাং .....
নিশি কঠিন মুখে ভিতরে চলে গেল ।
আমি একটু ভয়ই পেয়েছিলাম । ভেবেছিলাম আর হয়তো হল না । ওকে কত বার ফোন দিলাম কত মেসেজ পাঠালম কোন রিপ্লে নাই । যখন প্রায় আশা ছেড়ে দিয়েছি ঠিক তখনই নিশি আবার ফোন করে দেখা করতে বলল ।
দেখা হওয়ার সাথে সাথে কত কথা যে বলতে লাগলাম । কতবার সরি বলতে শুরু করলাম । একটা সুযোগ যখন পেয়েছি কিছুতেই হাত ছাড়া করতে রাজি নই ।
নিশি মুখ গম্ভীর করে বলল
-এই বারই শেষ ! এর পরে কিন্তু আর সুযোগ দিবো না ।
আমি বললাম
-আর সুযোগ দিতে হবে না ! আসলে কি যে বলব ! তখন বৃষ্টিতে তোমার ভেজা গালটা এমন সুন্দর লাগছিল যে আমি কিছুতেই নিজেকে ধরে রাখতে পারি নি ! আর তুমি তো জানোই তোমার গা....।
নিশি আমাকে চুপ করিয়ে দিয়ে বলল
-আচ্ছা ! আচ্ছা বুঝছি । এবার চুপ !
আমি নিশির আর একটু কাছে গিয়ে বসলাম । বললাম
-এখন আমার কি করতে ইচ্ছা করছে জানো ?
-কি ?
-আমার এতো আনন্দ হচ্ছে যে মনে হচ্ছে তোমাকে খুব জোরে একটা হাগ করি ! করবো ?
নিশি চোখ গরম করে বলল
-আবার ? আমি কিন্তু চলে যাবো.
-না না না !! আমি এমনি বললাম
এই রকম ভাবেই আস্তে আস্তে নিশির সব চুক্তিই গুলোই ভেঙ্গেছি আমি । কোন শর্ত ভাঙ্গলেই নিশি চোখ গরম করে বলত তুমি এটা কি করলে ? আজকের পর থেকে তুমি আর কোন দিন আমার সাথে যোগাযোগ করবা না?
যেদিন একটু বেশি রেগে যেত সেদিন তুই তুকারিতে চলে যেত ! একবার তো রাস্তার ভিতরে আমার হাত কামড়ে ধরলো । আমি হাসতে হাসতে শেষ !
অবশ্য ঐ দিনও একটা গুরুতর কাজ করেছিলাম । এর সাথে করে যাচ্ছিলাম শাহবাগের দিকে ! চারুকলার সামনে আসতেই দেখলাম একটা মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে ! আসলে যত ভালই হই একটু এদিক ওদিক চোখ চলে যাই । নিশি আমার পাশে বসে আছে । যখন নিশি দেখলো আমার চোখ মেয়েটার দিকে !!
আর যাবে কই ??
আমাকে পারলে রাস্তার ভিতরেই চিবিয়ে খায় !!
-তুই ঐ মেয়েটার দিকে তাকালি ক্যান ?
আমি সঙ্গে সঙ্গে বললাম
-কোথায় ? না আমি তাকাই নাই !!
-তাকাস নাই !
এই বলে আমার হাতে কামড় বসিয়ে দিল !
-আওওওওও !
আমিকোন মতে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বললাম
-এটা কি ?
নিশি তখন রাগে ফুসছে !!
আমি বললাম
-বোঝা যাচ্ছে তোমার গায়ে এখনও বন মানবীর রক্ত আছে । কাঁচা মাংস খাওয়ার এতো সখ !!
নিশি আরও একটু যেন রেগে গেল !
-তুই নাম রিক্সা থেকে ! এখনই নাম !!
এই ভাবেই নিশির সাথে কতবার যে আমার ব্রেকআপ হয়েছে তার কোন ঠিক নাই ! নিশি বলেছিল রিলেশন এক বছরের বেশি রিলেশন রাখবে না । কিন্তু আজ তিন বছরের কাছাকাছি হতে চলল আমরাএক সাথে আছি ! আজ আবার আমাদের ব্রেকআপ হয়েছে ! আমি খুব ভাল করেই জানি আজকেই আবার সব ঠিক হয়ে যাবে !
রাতে নিশিকে ফোন দিলাম । প্রথমবার ফোন ধরলো না । দ্বিতীয় বারেও না । তৃতীয় বার ফোন দিলাম না ! একটু অপেক্ষা করতে লাগলাম ! দুই মিনিটও হয় নি নিশির ফোন এসে হাজির !
ফোন রিসিভ করেই নিশি বলল
-দুই বার ফোন দিতেই হাপিয়ে গেলি ! ফাজিল ! এই ভালবাসিস !
-আরে তুই তোকারি কেন কর ?
-তুই একটা ফাজিল ! বদমাস !
-আচ্ছা ঠিক আছে আমি ফাজিল !
-বসমাইশ !
-আচ্ছা বদমাইশ ! আর কিছু ?
-তুই একটা ডাইনি!
আমি বললাম
-আরে আমি ডাইনি হইলাম কিভাবে ! ডাইনি তো স্ত্রী লিঙ্গ ! তুমি হতে পারো ডাইনি !
- কি ? আমি ডাইনি ! তাহলে তুই রাক্ষস!!!
-তুমি আমার সুইট ভ্যাম্পায়্যার!!
-তুই ড্রাকুলা !!
-ওকে আমি ড্রাকুলা তাই এখন.........
-চোর, তোর ড্রাকুলা আমি বের করতেসি .....
-আচ্ছা বাবা ! তুমি যা বলবে সব আমি ! ঠিক আছে ? আর কিছু বানাবা আমাকে ?
-তুমি ....উউউমমম
যাক তুমি তে তো এসেছে ! আমি বললাম
-অনেকক্ষন ধরে দাড়িয়ে আছি ! একটু বারান্দায় আসো না ?
নিশি চুপ করে গেল ! কিছুক্ষন পরেই বারান্দায় এসে হাজির ! আমি ওর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লাম ।
নিশি এক হাতে ফোন ধরে রেখে অন্য হাত দিয়ে আমাকে মারার ভঙ্গি করলো ! বলল
-এতো রাতে কেন এসেছো ! বাইরে কি ঠান্ডা পরেছে !
-হুম ! তাই তো দেখছি !
-আর ঠিক মত শীতের কাপড়ও পর নি ! তুমি কি একটা কাজ কর না ! বুঝি না !
-আচ্ছা বাবা ! ঠিক আছে ! এখন একটু নিচে নামো প্লিজ ! তোমাকে কাছ থেকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছে !
-আহা !! মামা বাড়ির আবদার !! এখন আমি রুম থেকে নামবো না ! আমার মাথা খারাপ হয়েছে ! অত শখ থাকে তুমি উপরে আসো !
-আরে আমি চার তলায় কেমন করে আসবো ! একতলা হত দেখতাম চেষ্টা করে ।
নিশি আমাকে টাটা জানিয়ে বলল
-তাহলে তুমি বিদায় হও !! কাল দেখা হবে ।
-না আমি যাবো না । তুমি যদি না আসো তাহলে আমি যাবো না ! এখানেই দাড়িয়ে থাকবো ।
নিশিকে দেখলাম একটু সোজা হয়ে দাড়াতে ।
একটু খানি চুপ করে বলল
-দাড়িয়ে থাকো । সারা রাত দাড়িয়ে থাকো । আমি যাই । আমার ঘুম আসছে । বাই ।
নিশি ফোন রেখে দিল । তারপর ঘরের ভিতরে চলে গেল । আমি দাড়িয়ে রইলাম । আমি জানি ও আসবে । আসবেই .।
ঠিক পনের মিনিট পরেই নিশি এসে হাজির । কালো রংয়ের একটা চাদর জড়িয়ে !
-কি আসবে না বলে ?
নিশি আমাকে কপট রাগ দেখিয়ে বলল
-তোমার মত ফাজিলের সাথে কথা বলে লাভ নাই । দেখতে চাইছিলা দেখলা । এখন যাও । আমি খুব রিস্ক নিয়ে এসেছি । যাও ! বাবা যদি টের পায় !! আমার খবর আছে !
তারপরের কিছু ঘটনা না বলি !
৫ মিনিট পর !
নিশি বলল
-যাও এখন ! কালকে দেখা হবে ! আর শোন, বাইরে অনেক ঠান্ডা ! এই চাদরটা নিয়ে যাও !
নিশি আমাকে ওর গায়ের চাদরটা দিয়ে দিল । বলল
-সাবধনে যেও ! কেমন !
নিশির বাড়ির ভিতরে চলে গেল । আমি নিশির চাদরটা গায়ে জড়িয়ে হাটতে লাগলাম !!
আহা !! জীবন কত সুন্দর !!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
৪৩টি মন্তব্য ৪৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×